উপন্যাসের নাম: অন্ধকারের ছায়া
সিরিজ ২: পাণ্ডুলিপির রহস্য
প্রথম অধ্যায়: অজানা নাম
আরিয়া পাণ্ডুলিপি নিয়ে গভীর রাতে বসে। এটি একটি পুরনো ভাষায় লেখা, কিন্তু বেশ কিছু অংশ আধুনিক হিন্দিতে অনূদিত। পাণ্ডুলিপির শুরুর কয়েক পৃষ্ঠায় লেখা:
"আমি রমেশ শর্মা, আমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত এখন মৃত্যুর দিকে ছুটছে। যে অন্ধকার আমাকে তাড়া করছে, তা শুধু আমাকেই নয়, আমার পূর্বপুরুষদেরও গ্রাস করেছে।"
এই কথাগুলো পড়ে আরিয়া চমকে যায়। রমেশ শর্মার পাণ্ডুলিপি পড়তে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, তার পরিবার শত বছর ধরে একটি গুপ্তধনের রক্ষক ছিল। কিন্তু সেই গুপ্তধনের সঙ্গে জড়িত ছিল একটি ভয়ানক অভিশাপ।
দ্বিতীয় অধ্যায়: ছায়ার আক্রমণ
আরিয়া পাণ্ডুলিপির সত্যতা যাচাই করার জন্য সিমলার একটি পুরনো গ্রন্থাগারে যান। সেখানে তিনি গবেষক রাহুল মিত্রের সঙ্গে পরিচিত হন। রাহুল এই ধরনের প্রাচীন রহস্য নিয়ে কাজ করেন। তিনি জানান, রমেশ শর্মার বর্ণনা করা "অন্ধকার" শুধুই ভৌতিক ব্যাপার নয়, বরং এটি একটি প্রাচীন তন্ত্রসাধনার ফল।
যখন তারা গ্রন্থাগারের এক পুরনো বইয়ে একই ধরনের অভিশাপের বর্ণনা খুঁজে পান, তখন আচমকাই চারপাশে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। লাইট বন্ধ হয়ে যায়, বইয়ের তাক থেকে একের পর এক বই পড়ে যায়। তারা যেন কোনো ছায়ার উপস্থিতি অনুভব করেন।
তৃতীয় অধ্যায়: পাণ্ডুলিপির গোপন বার্তা
গ্রন্থাগার থেকে ফিরে আরিয়া পাণ্ডুলিপি আবার খোলেন। এবার তিনি একটি কোড খুঁজে পান, যা মনে হয় একটি জায়গার নাম। এটি "কালাদাঁদা" নামক একটি দুর্গের দিক নির্দেশ করে।
তিনি রাহুলের সাহায্যে খুঁজে বের করেন, কালাদাঁদা দুর্গ হলো একটি পরিত্যক্ত স্থান, যেখানে বহু আগে একটি হত্যাযজ্ঞ হয়েছিল। সেই জায়গাটি স্থানীয়দের মতে অভিশপ্ত।
চতুর্থ অধ্যায়: কালাদাঁদার পথে
আরিয়া ও রাহুল দুর্গের দিকে যাত্রা করেন। পথে তাদের গাড়ি হঠাৎ করে নষ্ট হয়ে যায়, চারপাশে ঘন কুয়াশা নেমে আসে। তারা একটি ভাঙা মন্দিরের সামনে দাঁড়ায়, যেখানে প্রাচীন শিলালিপি দেখা যায়। সেখানে লেখা থাকে, "যা খুলবে, তা বন্ধ হবে না।"
মন্দিরে প্রবেশ করতেই তারা খুঁজে পায় রমেশ শর্মার আরেকটি চিঠি, যেখানে লেখা ছিল:
"এখানেই শুরু। সতর্ক থাকো।"
দুর্গে পৌঁছে আরিয়া ও রাহুল একটি গোপন ঘর আবিষ্কার করেন, যেখানে একটি ধাতব বাক্স রাখা। বাক্সটি খুলতেই ভেতর থেকে ভয়ানক কিছু বের হয়—একটি কালো ছায়া, যা তাদের আক্রমণ করে।
তারা কোনো রকমে ছায়ার হাত থেকে বেঁচে দুর্গ থেকে পালায়। কিন্তু আরিয়া বুঝতে পারে, এই ছায়া এখন তাকে তাড়া করবে যতক্ষণ না সে রহস্যের শেষ সমাধান খুঁজে পায়।