একটি ছোট গ্রামে একটি ছোট ছেলে বাস করত, নাম তার রনি। রনি ছিল খুব একা, তার কোন বন্ধু ছিল না। স্কুলে তার তেমন কোন বন্ধু ছিল না, কারণ সে একটু লাজুক ছিল এবং অন্যদের সঙ্গে মিশতে ভয় পেত। কিন্তু একদিন, তার জীবনে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে।
গ্রামের এক প্রান্তে একটি পুরনো আম গাছ ছিল। রনি প্রতিদিন সেই গাছের নিচে বসে বই পড়তে পছন্দ করত। একদিন, যখন সে গাছের তলে বসে ছিল, একটি ছোট পাখি তার সামনে এসে বসে। পাখিটির পালক ছিল রঙিন এবং দেখতে খুব সুন্দর। রনি প্রথমে কিছু বলল না, কিন্তু পাখিটি তার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল।
পাখিটি একটু পর নিজের ঠোঁট দিয়ে একটি ছোট কাগজের টুকরো রনির পায়ের কাছে ফেলে দিল। রনি অবাক হয়ে কাগজটা তুলে নিল। সেখানে লেখা ছিল, "তুমি একা নও, আমি তোমার বন্ধু।"
রনি প্রথমে ভেবেছিল এটি কি কেউ শरারত করছে? কিন্তু পরের দিনও পাখিটি আসল এবং আবার কাগজের টুকরো ফেলল, "আমি তোমার বন্ধুর মতো আছি। তুমি কখনো একা হবে না।"
এভাবেই পাখির সঙ্গে রনির বন্ধুত্ব শুরু হয়। প্রতিদিন পাখিটি আসত এবং রনিকে উৎসাহিত করত, তার বন্ধু হওয়ার জন্য। ধীরে ধীরে রনি অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠল, এবং তার একাকিত্ব দূর হয়ে গেল।
বছর শেষে, রনি বুঝতে পারল, আসল বন্ধুত্ব কখনো মুখ দিয়ে নয়, মন দিয়ে হয়।
শেষ।
এটি আমাদের শেখায় যে, প্রকৃত বন্ধুত্ব কোন না কোন রূপে আসে, এবং কখনও কখনও এমন কিছু ছোট মুহূর্ত আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় প্রেরণা হতে পারে।