Posts

উপন্যাস

অন্ধকারের ছায়া

December 31, 2024

Jahanara Yesmin

12
View

উপন্যাসের নাম: অন্ধকারের ছায়া

সিরিজ ৪: চক্রের শুরু ও শেষ

প্রথম অধ্যায়: অতীতের ছায়া

আরিয়া ধীরে ধীরে জ্ঞান ফিরে পায়। সে একটি অদ্ভুত জায়গায় নিজেকে আবিষ্কার করে—চারপাশে সবকিছু সাদা, যেন এক শূন্য জগত। হঠাৎ, একটি অচেনা কণ্ঠ শোনা যায়:
"তুমি এখানে আসতে বাধ্য হয়েছিলে, আরিয়া। এটা শুধু তোমার কাহিনির অংশ।"

কণ্ঠটি বলে, এই অভিশাপ কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং একটি দীর্ঘ পরিকল্পনার অংশ। আরিয়া জানতে পারে, তার পূর্বপুরুষদের কেউ একজন অভিশপ্ত দরজা সিল করেছিলেন, কিন্তু সেই অভিশাপ তাদের রক্তে মিশে গিয়েছে।

এখন, অভিশাপ মুক্ত করতে হলে আরিয়াকে চক্রটি সম্পূর্ণ করতে হবে।

দ্বিতীয় অধ্যায়: নতুন মিত্র

জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর আরিয়া নিজেকে একটি পরিত্যক্ত কক্ষে আবিষ্কার করে। সেখানে রাহুল আহত অবস্থায় পড়ে আছে। যদিও তার উপর বিশ্বাস নেই, আরিয়া তাকে সাহায্য করে।

তারা বুঝতে পারে, দুর্গের গোপন দরজাটি পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। দরজা সিল করার জন্য একটি বিশেষ চাবির প্রয়োজন, যা "তেজস্বী চক্র" নামে পরিচিত একটি প্রাচীন প্রতীকের অংশ।

তাদের সঙ্গে যোগ দেয় রাহুলের পুরনো বন্ধু, ইশা। ইশা একজন প্রত্নতত্ত্ববিদ, যিনি তেজস্বী চক্রের অবস্থান জানেন। কিন্তু তিনিও এই রহস্যের শিকার হতে পারেন।

তৃতীয় অধ্যায়: ছায়ার আক্রমণ

তেজস্বী চক্র খোঁজার পথে তাদের উপর ছায়াটি বারবার আক্রমণ করে। এবার ছায়া আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। আরিয়া লক্ষ্য করে, প্রতিবার ছায়ার আক্রমণে তার শারীরিক শক্তি কমে যাচ্ছে।

তারা জানতে পারে, ছায়াটি শুধু ভয় দেখায় না—এটি ধীরে ধীরে আরিয়ার জীবনশক্তি শুষে নিচ্ছে।

চতুর্থ অধ্যায়: চক্রের সন্ধান

ইশার সহায়তায় তারা এক প্রাচীন গ্রামে পৌঁছায়, যেখানে তেজস্বী চক্রের শেষ অংশটি লুকিয়ে আছে। গ্রামবাসীরা জানায়, এটি একটি পাহাড়ি মন্দিরে রক্ষিত আছে, কিন্তু সেই মন্দির অভিশপ্ত।

তারা মন্দিরে প্রবেশ করে। ভেতরে পাথরের একটি বিশাল মূর্তি রয়েছে, যার চোখে রক্তের মতো লাল আলো জ্বলজ্বল করছে। মূর্তির পায়ের কাছে একটি বাক্স পাওয়া যায়। বাক্সের ভেতরেই চাবিটি লুকানো।

তবে বাক্স খুলতে হলে একটি পুরনো ধাঁধার উত্তর দিতে হবে। ধাঁধাটি এমন:
"যা জন্ম নেয়, তা আবার মরে। কিন্তু যা মরে, তা সবসময় বেঁচে থাকে। আমি কে?"

আরিয়া উত্তর খুঁজতে গিয়ে ভাবে, এবং বুঝতে পারে উত্তরটি "ছায়া"।

পঞ্চম অধ্যায়: চক্রের পূর্ণতা

তারা চাবি সংগ্রহ করে এবং অভিশপ্ত দরজার দিকে ফিরে যায়। কিন্তু দরজা বন্ধ করার মুহূর্তে রাহুল আচমকা তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে। সে জানায়, সে আসলে ছায়ার অধীনে কাজ করছে এবং চায় দরজা সম্পূর্ণ খুলে যাক।

আরিয়া রাহুলকে থামানোর চেষ্টা করে। ইশার সাহায্যে সে একটি জটিল প্রাচীন মন্ত্র ব্যবহার করে ছায়াকে আটকে ফেলে। অবশেষে, আরিয়া চাবি দিয়ে দরজাটি স্থায়ীভাবে সিল করতে সক্ষম হয়।

 

দরজা বন্ধ হলেও আরিয়া বুঝতে পারে, অভিশাপ পুরোপুরি শেষ হয়নি। কারণ ছায়াটি তার মধ্যে কিছু চিহ্ন রেখে গেছে।

গল্পটি এমন একটি নোটে শেষ হয়, যেখানে আরিয়া জানায়:
"যুদ্ধ শেষ হয়েছে, কিন্তু আমি জানি, যুদ্ধের বীজ আমার মধ্যেই রয়ে গেছে।"

আপনি চাইলে গল্পটি এখানেই শেষ করতে পারেন বা একটি নতুন অধ্যায় শুরু করে রহস্য আরও বাড়িয়ে তুলতে পারেন। পরবর্তী অংশ লিখতে চাইলে আমাকে জানান!

Comments

    Please login to post comment. Login