কেউ আমাকে ভালবাসেনি
একটু ভালবাসার অভিনয় কেউ হয়তো করেছিল,
আপন করে কেউ ভালবাসার কথা বলেনি।
মন্ডল পাড়ার সামিয়াকে গোলাপ দেব বলে চার রাস্তার মোড়ে বট তলায় লুকিয়ে ছিলাম,
জামাল কে চড় মারা দেখে সে গোলাপ ধর্ম বইয়ের পবিত্র পাতায় শুকিয়ে গেল,
অন্য ক্লাসে উঠে পড়েছিলাম বলে গোলাপের ভাগ্যে কি জুটেছিল আর মনে পড়েনি।
তারপর সাইকেল চড়া শিখেছিলাম বহুকষ্টে রিমির এলাকায় তাকে দেখতে যাব বলে
কিন্তু অন্যপাড়ার ছেলেরা বাইকে নিয়ে রিমিকে ভাগিয়ে নিল, রিমিও ভালবাসলো না।
সাইকেল টা আজো পড়ে আছে অনাদরে, আর চড়তে ইচ্ছে হয়নি।
ঠাকুর বাড়ির শ্যামাকে ভাল লেগেছিল,
হয়তো তারও, কিন্তু শ্যাম বর্ণ শ্যামাও ধর্মের বাধায় ভালবাসতে পারেনি।
প্রাইভেটে তিন্নি কে চোখ মেলে দেখতাম।
মনে হতো তিন্নিও হয়তো দেখতো আমাকে,
তিন্নির চোখ হালকা বাকানো ছিল, তবুও ভালই লাগতো ,বেশ ভাল
একদিন শুনেছিলাম সে নাকি খোজ করে ছিল
সেদিন রাতে ঘুম না হলেও ক্লান্তি আসেনি, স্বপ্ন দেখেছিলাম জেগে জেগে।
তিন্নি যখন আবিরের কথা জিজ্ঞাসা করলো, সব স্বপ্ন ভেঙ্গে গেল, কি যে কষ্ট কেউ বুঝলো না।
এমি নাকি আমার কবিতা পছন্দ করতো, শুনে ভালই লেগেছিল।
এবার আর স্বপ্ন নয় এমি রোজ আমার থেকে কবিতা নিতো,
আর সে কি প্রশংশা যেন রাজকবি হব আমি।
কিন্তু হায় সে কবিতা পাওয়া গেল তামিমের বইয়ের পাতায়, এমির হাতের লেখায়।
আমায় কেউ ভালই বাসেনি, ভালবাসতেই পারেনি।