আপনি যদি সজনে পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য পারফেক্ট হবে। কারণ সুস্থতা সৃষ্টিকর্তার অশেষ নেয়ামত। সকলেই সুস্থ ও সবল থাকতে চাই,এখন প্রশ্ন হল- সজনে পাতা খেলে কি সুস্থ থাকা সম্ভব? উত্তরটি হলো -অবশ্যই সম্ভব কারণ সজনে পাতায় রয়েছে ৩০০ প্রকার রোগের মহা ঔষধ। নিয়মকানুন মেনে এই সজনে পাতা খেলে আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন। আর এই আর্টিকেলে সজনে পাতা সকল উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। চলুন শুরু করা যাক।
১) রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে
২) কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
৩) হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
৪) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
৫) হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে
৬) সজনে পাতায় ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস থাকায় হাড়কে মজবুত করে
৭) সজনে পাতার টক্সিন দ্বারা সৃষ্ট লিভারকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে
৮) ক্লান্তি ভাব কমাতে ও সক্রিয় থাকতে সাহায্য করে
৯) মরিঙ্গা ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণ করে
১০) ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে
১১) মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে
১২) হার্টকে সুস্থ রাখে ও হৃদ রোগের ঝুকি কমায়
১৩) রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে
১৪) মরিঙ্গা ওজন কমাতে সাহায্য করে
১৫) হাঁপানি ও মূত্রথলির উপশম করে
১৬) জ্বর ও সর্দি হলে সজিনা পাতা খেলে উপকার পাওয়া যায়
১৭) সজিনা পাতা খেলে গ্যাসের সমস্যা দূরীভূত হয়
১৮)শ্বাসকষ্ট সমস্যার সমাধান করে
১৯) সজনে পাতা আমাদের শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ারকে বুস্ট করতে সাহায্য করে
২০) সজিনা পাতায় ভিটামিন সি থাকায় আমাদের ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করে
সজনে পাতার উপকারিতা থাকলেও এর কিছু অপকারিতা রয়েছে।
১) সজনে পাতা অল্প পরিমাণে খাওয়া ভালো বেশি পরিমাণে খেলে সজিনা পাতায় বেশি পরিমাণ ফাইবার থাকার কারণে হজমে সমস্যা হয় যেমন ডায়রিয়া বা বমি হতে পারে
২) সজনে পাতার ছাল,ডাল এবং মূল গর্ভবতী মায়েদের খাওয়া উচিত নয় গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকে
৩) মরিঙ্গা খাওয়ার পর কিছু কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে এলার্জি প্রতিক্রিয়া অনুভব হতে পারে. যেমন ত্বকের জ্বালা ও শ্বাস নিতে সমস্যা হয়
৪) যাদের থাইরয়েডের সমস্যা আছে তাদের মরিঙ্গা পরিহার করাই উচিত।
সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম
সজনে পাতার উপকারিতা পেতে হলে অবশ্যই এর ব্যবহার বিধিও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে।
১) ভাজি অথবা ভর্তাঃ সজনে পাতার শাক হিসেবে ভাজি করে খাওয়া যেতে পারে এবং অল্প সিদ্ধ করে ভর্তা হিসেবে খাওয়া যেতে পারে তবে এটি বেশি আচে রান্না করলে এর পুষ্টির গুণ নষ্ট হয়ে যায় যার ফলে এই সজনে পাতা খেলেও কোন উপকারে আসে না
২) জুস হিসাবে খাওয়াঃ সজনে পাতা বেটে অথবা বিলিন্ডারে ব্লেন্ড করে এর জুস হিসেবে খাওয়া যাবে। তবে এই জুস টিকে আরো টেস্ট বাড়ানোর জন্য আদা, রসুন, বিট লবণ, মরিচ ও মধু মিশে মিক্সড করে খেতে হবে তাহলে এই জুসটি আপনার জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ জুস হবে।
৩) সংরক্ষণ করাঃ এই সজনে পাতা টিকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে পাউডার করে ছয় মাস যাবত সংরক্ষণ করে খাওয়া যেতে পারে।
৪) গরম পানিতে সজনে পাতার পাউডার মিশিয়ে চায়ের মতো করে খাওয়া যায়।