এক গ্রামে ছিল তিন বন্ধু: আলিফ, মাহমুদ, এবং রিয়ান। তারা ছোটবেলা থেকেই একসঙ্গে বড় হয়েছে। আলিফ ছিল খুবই সাহসী, মাহমুদ ছিল বুদ্ধিমান, আর রিয়ান ছিল খুব হাসিখুশি ও উদার। তিনজন মিলে সবসময় মজার মজার কাজ করত।
একদিন, গ্রামে খবর এল যে নিকটস্থ বনে একটি গুপ্তধন লুকিয়ে আছে। গ্রামে অনেকেই গুপ্তধনের সন্ধানে গিয়েছিল, কিন্তু কেউই ফিরে আসেনি। তিন বন্ধু সিদ্ধান্ত নিল, তারা একসঙ্গে বনে যাবে এবং গুপ্তধন খুঁজে বের করবে।
তারা জঙ্গলমধ্যে প্রবেশ করল। প্রথমেই তারা একটি নদীর সামনে এসে থামল। নদীটি খুবই প্রবল স্রোতযুক্ত। আলিফ বলল, "আমি দড়ি দিয়ে একটি পুল তৈরি করি।" তিনজন মিলে পুল তৈরি করল এবং নিরাপদে নদী পার হল।
এরপর তারা এক গভীর গর্তে পড়ল। মাহমুদ বলল, "আমাদের দড়ি এবং গাছের ডাল দিয়ে মই বানাতে হবে।" তারা চমৎকার একটি মই বানিয়ে বেরিয়ে এল।
সবশেষে তারা একটি বড় পাহাড়ে পৌঁছাল, যেখানে গুপ্তধনের সিন্দুক লুকানো ছিল। কিন্তু পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে হলে একটি ধাঁধার উত্তর দিতে হবে। ধাঁধাটি ছিল:
"যে জিনিসটি ভাগ করলে কমে না, বরং বাড়ে—সেটা কী?"
তারা তিনজন কিছুক্ষণ ভেবে উত্তর দিল, "বন্ধুত্ব।"
তৎক্ষণাৎ একটি আলো জ্বলে উঠল, এবং সিন্দুকটি খুলে গেল। ভেতরে ছিল সোনা-রূপা আর হীরার অগণিত খনি। কিন্তু তিন বন্ধুর মুখে হাসি ফুটল কারণ তারা বুঝতে পারল, তাদের আসল সম্পদ তাদের বন্ধুত্ব।
তারা গুপ্তধন গ্রামের লোকদের মধ্যে ভাগ করে দিল এবং নিজ নিজ জীবন সুন্দরভাবে কাটাতে লাগল। তাদের বন্ধুত্ব চিরকাল অটুট রইল।
শেষ।