Posts

গল্প

যে বষর্ণে প্রণয়ের ছোঁয়া

January 2, 2025

Tushi Sumaiya

Original Author ইনায়া জারিশ

98
View

#যে_বর্ষনে_প্রণয়ের_ছোঁয়া 
#লেখিকা_ইনায়া_জারিশ
{(18+ Alert -) যাদের সমস্যা আছে 18+ গল্পের তারা প্লিজ এড়িয়ে চলবেন }

(কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ ❌)

ছয় ফুট লম্বা, ফর্সা, জিম করা বডি 
অত্যধিক সুদর্শন একটি ছেলে ফোনে কথা বলছে।

একটু পরেই  রুমে প্রবেশ করে আহান নামে একজন ছেলে।
স্যার একটু পরেই আমাদের একটা মিটিং আছে আমাদের এখন যেতে হবে। ঠিক তখনি উঠে দারায়, শার্ট - প্যান্ট ঠিক করে নেয়  এবং চলো বলে বের হয়ে যায়। 
মিটিং টি সুন্দর ভাবে শেষ হয়েছে ! 
এরপর তারা একটি ক্লাবে যায় সেখানে গিয়ে Drinks করতে থাকে, ছেলেটি হলো চৌধুরী বাড়ির বড় ছেলে ইবতিশাম চৌধুরী।
দেখতে ছয় ফুট লম্বা, ফর্সা,  জিম করা বডি, অতি সুদর্শন ছেলে যেকোনো মেয়ে একবার দেখলে পলক ফেলতে ভুলে যাবে ! আর তার চোখের মনি নীলাভ যেটা আর আকর্ষনীয়। সে পড়াশোনার জন্য লন্ডন চলে যায়, পড়াশোনা  শেষে  নিজেদের business এ জয়েন করে লন্ডন এর অফিসে ! 
-
এরপর ক্লাবে থাকা একটি মেয়ে এসে সেখানে বসে থাকা ইবতিশামকে ঘিরে  Lap dance করছে। আর ইবতিশাম হাতে থাকা মদের গ্লাস নিয়ে চুমুক দিচ্ছে একটু পর পর, একপর্যায়ে মেয়েটিকে কোলে তুলে চলছে বরাদ্দকৃত রুমের দিকে !

চৌধুরী বাড়িতে আজকে আনন্দের দিন, আজকে বাড়ির বড় ছেলে লন্ডন থেকে ফিরবে আর ২ দিন পর জানতে পেরেছে সবাই , দীর্ঘ  ৮ বছর পর   তাই সকলে ভীষন খুশি। 
চৌধুরী বাড়িতে থাকেন ২ ভাই।বড় ভাই ইশতিয়াক চৌধুরী তার wife মিসেস রেহেনা তাদের ২ জন সন্তান বড় ছেলে ইবতিশাম আর ছোট ছেলে আরিয়ান।
বাড়ির আর একজন ভাই ইরফান চৌধুরী তার এক ছেলে ও এক মেয়ে ! তার wife মিসেস মীরা। তাদের বড় মেয়ে তিয়াশা যে এখন ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ছে। আর ছোট ছেলে রুহান ৫ এ পড়ে !
আরিয়ান পড়াশোনা শেষে নিজেদের ব্যবসায় যোগ দিয়েছে !

অন্যদিকে খান বাড়িতে রান্নার তোরজোর চলছে আজকে এই বাড়ির মেয়ে আনিশা কে দেখতে আসবে।সব রান্না করা, ঘর গোছানো সব করানো হচ্ছে ইনায়া কে  দিয়ে! ইনায়ার মামার বাড়ি এটা আসলে,একটা এক্সিডেন্ট এ তার বাবা - মা মারা যায় ১২ বছর বয়সে তারপর থেকে সে এই বাড়িতে ! ইনায়ার সাথে এই বাড়ি কেউ এই তেমন ভালো ব্যবহার করে না একমাত্র তার মামা ছাড়া। 
আজকে বাড়ির সব কাজ ইনায়া কেই করতে হচ্ছে ওর রান্নার হাত ভালো তাই মামি তাকে দিয়েই সব করাচ্ছে ! ঐইদিকে আনিশা সাজগোজে ব্যস্ত আজকে এত বড় বাড়ি থেকে দেখতে আসছে।

চৌধুরী  বাড়ির ছেলের জন্য মেয়ে দেখতে যাচ্ছে খান বাড়িতে। সেখানে বাড়ির কর্তীরাও এসেছেন  আরিয়ান এর জন্য তারা পাত্রী দেখতে এসেছেন আসলে আরও সাথে এসেছে আরিয়ান 
আরশ, আরশ হচ্ছে আরিয়ানের ফুফাতো ভাই! আর ইবতিশাম  এর ছোট ভাই  আরিয়ান  ! মূলত  ইবতিশাম বিয়ে করবে না, আর ইবতিশাম অনেক একরোখা,রাগী হওয়ায় তাকে বলে কিছু করানো যায় না তার যা ইচ্ছা নিজেই করে !
তাই আরিয়ানের জন্য মেয়ে দেখতে এসেছে !
 

অন্যদিকে ইবতিশাম সিগারেট খেয়ে চলছে একেক পর এক সোফায় বসে ক্লাবের কেবিনটির ! আর বিছানায় শুয়ে আছে নগ্ন এক মেয়ে একটু পর সে উঠে এসে ইবতিশামকে জরিয়ে ধরে, ইবতিশাম হাতে থাকা সিগারেট ফেলে মেয়েটিকে কিস করতে থাকে ! 
মেয়েটি বলে আমি তোমাকে চাই, সারাজীবন কাছে পেতে চাই আমি ভালোবেসে ফেলেছি তোমায় !
তখনই ইবতিশাম ধাক্কা দিয়ে মেয়েটিকে ফেলে দেয়।

বলে-
এই cold hearted ইবতিশাম কখনও কোনো কাউকে ভালোবাসবে না কখনো না। আমি শুধু মানুষ মারতে পারি কাউকে ভালোবাসতে পারি না। 
আমার অন্ধকার জগৎ শুধুই অন্ধকার সেখানে আলোর স্থান নেই।
 

তবে কি কখনো আলো হয়ে কেউ আসবে না ইবতিশাম এর জিবনে??

এইদিকে আনিশা কে পাত্র পক্ষের সামনে নিয়ে আসা হয়েছে ! যা বোঝা গেল আনিশাকে তাদের পছন্দ হয়েছে ! এখন আরিয়ান আর আনিশা কে আলাদা ঘরে পাঠানো হয়েছে নিজেদের মধ্যে কথা বলার জন্য !

বাইরে অনেক বাতাস মনে হয় বৃষ্টি হবে আবার ছাদে জামাকাপড় রয়েছে না আনলে ভিজে যাবে   ইনায়া ভাবতে থাকে,যাওয়া প্রয়োজন কিন্তু মামি তাকে পাত্র পক্ষ থাকাকালিন সামনে যেতে নিষেধ করেছে আবার এখন না গেলে সব ভিজে যাবে ! তো একটু সামনে  গিয়ে দেখল সবাই কথা বলতে ব্যস্ত তাই ভাবল কেউ দেখবে না ! ও সেই সুযোগে সিড়ি দিয়ে  উপরে উঠে গেল ! আরশের বসে থেকে ভালো লাগছে না তাই সে বাড়ি টা ঘুরে দেখবে বলে উঠে ! 
যখনই সিড়ি বেয়ে নিচে নামছিল ইনায়া আরশ এর সামনাসামনি পড়ে যায় !  আরশ দেখে অতীব সুন্দর ভীতু চাহনী নিয়ে তাকিয়ে আছে একটি মেয়ে !সে পলক ফেলতে ভুলে যায় ! 
এদিকে মিসেস রেহেনা বলে উঠে আরশ ওখানে কি কর তারপর চোখ যায় দাঁড়িয়ে থাকা ইনায়ার দিকে দেখে লম্বা করে ফর্সা একটি মেয়ে কাপড় হাতে দাঁড়িয়ে আছে তখন বলে ও কে? সবার চোখ যায় ইনায়ার  উপর 
তখন ইনায়ার মামা বলে ও আমার বোনের মেয়ে তারপর তাদের এক্সিডেন্ট এর কথা বলে তখন সবার অনেক খারাপ লাগে এত অল্প বয়সে মা - বাবাকে হারিয়েছে !

এদিকে আনিশা আর আরিয়ান চলে আসে তাদের মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে তাদের একে অন্যকে পছন্দ ! 
এরপর বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করে ওরা চলে যায় ! 
আরশের শুধু ইনায়ার মায়াবী মুখটা ভাসছে চোখের সামনে !

1 দিন পর _
ইবতিশাম বাংলাদেশে এসেছে সাথে আহান ও  
স্যার আমাদের কালকে আসার কথা ছিল না আজকে আমরা চলে আসলাম কেন ! কাউকে কিছু না জানিয়ে। তখন ইবতিশাম চুপ থাকতে বলে ধমক দিয়ে ! তখন আহান চুপ হয়ে যায় ভাবে দেখা যাবে রেগে তাকে মেরে দিবে একদম ! আসলে ইবতিশাম একটা গ্যাং লিড করে ! আস্তে আস্তে সবি জানা যাবে।
মূলত  সেই গ্যাং এর কাজেই বাংলাদেশ আসা আজকে ! 
বাংলাদেশ এ ইবতিশাম এর আলাদা একটা নিজের বাড়ি আছে যেটা শহর থেকে একটু দূরে ! 
গ্যাং এর কাজ শেষে সেই বাড়ি যায় রিলাক্স হওয়ার জন্য ! 
তার এখন নারী দেহ প্রয়োজন  কিন্তুু তা আর সম্ভব না ! 
চৌধুরী বাড়ির সকলে ইতিমধ্যে জেনে গেছে ইবতিশাম দেশে চলে এসেছে তাই তারা কয়েক বার কল দিয়েছে তাড়াতাড়ি যাওয়ার জন্য ! 
তাই সে বেড়িয়ে গেল ! একাই ড্রাইফ করবে কারন আহান কিছু কাজের জন্য গ্যাং এর আস্তানায় আছে !
এদিকে ইনায়া আজকে কলেজ থেকে ওর বান্ধবী রিয়ার বাসায় যায় মূলত রিয়াই জোর করে নিয়ে যায় ! রাত থাকতে বলে কিন্তুু ইনায়া বলে না মামি অনেক বকবে আর এদিকে ইনায়ার মামি ও ফোন করে চলে আসতে বলে রাতের রান্না বাকি আছে আসলে সবকাজ ওকে দিয়েই করায় ! 
তাই ইনায়া চলে আসে রিয়া এগিয়ে দিতে চাইলে জানায় পারবে যেতে খুব বেশি দূর না হওয়ায় !
ইনায়া হাটতে থাকে সামনে এগোলে রিকশা পাবে এমন সময় বৃষ্টি শুরু হয়, কেন যেন ইনায়ার এই বৃষ্টিটা ভালো লাগছে খুব সে আর কোনো ছাউনিতে দারিয়ে যায় না, রাস্তাটায় ঠিক 10 মিনিট দূরে দোকানপাট হওয়ায় মানুষ জন ঐই দিকে দারিয়েছে আর এলাকাটা মোটামুটি ভালো ! তখনই একজাক কিছু ছোট ছেলে মেয়ে আসে বৃষ্টিতে আর ওদের সাথেই ভিজতে থাকে ইনায়া !

এদিকে ইবতিশাম গাড়ি ড্রাইফ করছে আর সে সময় কল আসে ফোনে গাড়ি থামিয়ে কলটা ধরে সে সময় বাইরে চোখ যায় পুরুষটির নেত্র প্রলব আটকে যায় - এত মায়াবী মুখশ্রী যার মুখে রয়েছে সরলতা ! টানা টানা হরিনী নেত্র, মুখে একরাশ হাসি ! হঠাৎ বক্ষপিঞ্জরে শীতল হাওয়া বয়ে গেল ! সবকিছুই যেন এখানেই থমকে গেল ! এদিয়ে ইনায়া বৃষ্টিতে ভিজতে  ব্যস্ত সে খেয়ালই  করল না এক যুবক তাকে গভীর দৃষ্টি ফেলে দেখছে ! ইবতিশাম ভাবল এর চেয়ে মনরম দৃশ্য হতে পারে কিনা জানা নেই !  মুগ্ধ হয়ে দেখছে ! বৃষ্টির পানি চুয়িয়ে চুয়িয়ে পড়ছে ইনায়ার চুল বেশ লম্বা আর সামনে ছোট ছোট চুল থাকায় সেখান থেকে পানি চুয়িয়ে চুয়িয়ে পড়ছে ! যা আরও  মহোনীয় লাগছিল ! ইবতিশাম নিজের অজান্তেই গাড়ি থেকে নেমে দাড়াল ইনায়ার সামনে এগিয়ে আসা পুরুষটির চোখে চোখ পড়ল এত মুগ্ধতা নিয়ে তাকিয়ে ছিল ইনায়ার সমস্ত কায়া কেপে উঠল....
ইবতিশাম যখনই ইনায়ার কাছাকাছি চলে আসছিল ঠিক তখনি........

(সবাই লাইক, কমেন্ট করে জানাবেন কেমন হয়েছে আমি একদমই নতুন !)

Comments

    Please login to post comment. Login