যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস রাজ্যের কয়েকটি স্কুলে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেল সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। রাজ্যের নতুন একটি আইনের অধীনে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। এই আইনে যৌনতাপূর্ণ বইগুলোকে স্কুল লাইব্রেরি থেকে প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়েছে।
টেক্সাস প্যানহ্যান্ডেলের ক্যানিয়ন ইন্ডিপেনডেন্ট স্কুল ডিস্ট্রিক্টের ২১টি স্কুলে সাময়িকভাবে বাইবেল নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
দ্য টেক্সান পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, একটি ফাঁস হওয়া ইমেইলে স্কুল সুপারিনটেনডেন্ট ড্যারিল ফ্লুশে বলেছেন, হাউস বিল-৯০০ আইনে যেসব বইয়ে যৌন বিষয়বস্তু রয়েছে, সেগুলো লাইব্রেরিতে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়নি। ফলে সম্পূর্ণ বাইবেলসহ আরও অনেক বই স্কুলের লাইব্রেরিতে রাখা যাচ্ছে না। সুতরাং বাইবেল পড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের স্থানীয় গীর্জার সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। এছাড়া স্থানীয় আইন প্রণেতাদের কাছে এই আইনটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে অভিভাবকদের উত্সাহিত করা উচিত।
এদিকে বাইবেল নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রেজিনা কিহেন নামের একজন অভিভাবক স্কুল বোর্ডের সভায় বলেছিলেন, ‘এটা আমার কাছে অযৌক্তিক বলে মনে হচ্ছে। ভাল একটি বইকে খারাপ বইগুলোর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাইবেল সর্বকালের সর্বাধিক বিক্রিত একটি বই। এটি ঐতিহাসিকভাবে সঠিক, বৈজ্ঞানিকভাবে সঠিক এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো এটি জীবন পরিবর্তনকারী।'
তবে পরবর্তীতে একটি বিবৃতিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ বলেছে, আমরা আইনের নীতিমালাগুলো পুনঃমূল্যায়ন করেছি এবং আমাদের ক্যানিয়ন ইন্ডিপেনডেন্ট স্কুল ডিস্ট্রিক্টের লাইব্রেরিগুলোতে বাইবেল রাখার অনুমতি দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান