বাংলাদেশের জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন কাজী নজরুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিদ্রোহী এই কবিকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা দিয়ে অবশেষে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১৯৭২ সালের ৪ মে থেকে তাকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদিত হয়েছে।
কাজী নজরুল ইসলাম সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃত ছিলেন। তবে তাকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করে ইতিপূর্বে সরকারিভাবে কোনো গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি।
এদিকে কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী বলেন, 'এই চাওয়া দীর্ঘ দিনের। অনেক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও নজরুল ভক্তরা এই দাবিতে রাজপথ থেকে শুরু করে আদালত পর্যন্ত দৌড়েছেন। অনেক লেখালেখি হয়েছে, জাতীয় সংসদেও আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রীর টেবিল পর্যন্ত পৌঁছানোর পর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী রেজিমের এক জনপ্রিয় সংস্কৃতিমন্ত্রী এই দাবি নাকচ করে দিয়েছিলেন। সেসব এখন ইতিহাস।'
তিনি আরও বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের ফসল বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের এ সিদ্ধান্তটি ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এ দেশের সাধারণ মানুষের আন্তরিক প্রত্যাশা সত্ত্বেও অতীতে রাজনৈতিক বা অন্য কোনো সরকার এ সিদ্ধান্তটি নেয়নি। বর্তমান সরকারের আন্তরিকতার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।’
গত ৫ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের একটি সভায় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি ঘোষণা করে গেজেট প্রজ্ঞাপন প্রকাশের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের ২৪ মে কলকাতা থেকে সরকারি উদ্যোগে সপরিবারে ঢাকায় আনা হয় কাজী নজরুল ইসলামকে। ধানমন্ডির ২৮ নম্বর (পুরাতন) সড়কের ৩৩০-বি বাড়িটি তার বসবাসের জন্য বরাদ্দ করা হয়। ১৯৭৬ সালের জানুয়ারি মাসে কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। একই বছর একুশে পদকেও ভূষিত করা হয়।