যে নেই তাকে কতবার বলা যায় ভালোবাসি?
যতক্ষণ ক্লান্ত না হই ঠিক ততবারই।
অদৃশ্য কেউ কখনো কখনো দৃশ্যমান হয়
পাখির মতো, গাছের মতো, চাঁদের মতো
আমি তাকিয়ে দেখি, বৃক্ষদের, পাখিদের, চাঁদকে
বারবার বলি, ভালোবাসি!
গাছের পাতা কাঁপে, পাখি ডানা ঝাপটায়, চাঁদ হাসে
আমি তাকিয়ে দেখি। বারবার বলি, ভালোবাসি।
তারপর একা ফিরি ঘরে। বোহেমিয়ান জীবন থেকে পালিয়ে ফিরি। ফিসফিস করে বলি, ভালোবাসি।
বিছানায় হাত পা ছড়িয়ে দিই, ঘরের বেড়া গুলো
নিজেদের ছড়িয়ে দেয়। আমি কিছুক্ষণ আগে ঠিক কতটা খেয়েছিলাম জানি না। না-কি আদৌও খাইনি।
ফ্যানটা খুলে মুখের উপর বসে আছে। সোকেজ হেঁটে হেঁটে আসছে। সব কিছু বিস্ময়কর জীবিত এখন।
আমি চিৎকার করে বলি, ভালোবাসি।
পাড়ার বখাটেরা শিস দিতে দিতে যায়। খিস্তি করে।
ঠিক আমাকেই হয়তো। না হয় পাড়ার মালতী মাধবী কাউকে। ওরা চিৎকার করে বলে, মাধবী, মালতী এই নে তোর ছেঁড়া ফ্রক।
তারপর হো হো করে অট্টহাসি দিয়ে বলে, ভালোবাসি।
ভালোবাসি শব্দটা জীবিত হয়ে যায়।
তারপর হুড়মুড় করে আমার ঘরে আসে। মাধবী আর মালতীও আসে।
আমাকে টেনে তোলে। আমি কী যেন বলি। কীসব বলতেই থাকি। মাধবী আর মালতী হিহিহি করে হাসে।
আমিও হাসতে হাসতে বলি, ভালোবাসি।
কিন্তু শব্দ বের হয় না। কেমন একটা গোঙানির মতো শোনা যায়। মালতী মাধবী হাসে। আমি আবারও চেষ্টা করি। বলি, ভালোবাসি। কিন্তু কোনো শব্দ বের হয় না।
#নিঃশব্দের_হাহাকার
------নাসিমা খান