তোমাকে খুঁজেছি, চারুকলার কারুলতায়, জীবনের সরলতায়, রাতের নীরবতায়। নিরাশীর আশায়—আশায় পাখিদের বাসায়—বাসায়, গাছের পাতায়—পাতায় শুধু তোমাকেই খুঁজেছি, তোমায় খুঁজেছি জীবনের স্মৃতিতে, কবিদের গীতিতে, গ্রামের রীতিতে, রাষ্ট্রের নীতিতে। তোমায় খুঁজেছি বিয়ের পিড়িতে, পুকুরের সিড়িতে, জ্বলন্ত বিড়িতে, শুধুই খুঁজেছি, খুঁজতে খুঁজতে পার করেছি সকাল থেকে, দুপুর বিকেল সন্ধ্যা!! পারি দিয়েছি বুধ থেকে শুক্র, শুক্র থেকে বুধ, তবু তোমায় পাইনি! নারকেলের নাড়ুতে, কারুকাজের কারুতে কোথাও তুমি নেই। সব জায়গায় শুধু তোমাকেই খুঁজেছি, ক্যালেন্ডারের শেষ পাতা থেকে ডায়রির মাঝ পাতা কোথাও বাদ রাখিনি, মায়া ভরা কান্নাতে, রাজরানীর পান্নাতে, মায়ের হাতের রান্নাতে কোথাও তুমি নেই। তুমি আসলে কোথায়? আমার মনে? নাকি লুকিয়ে আছো মরে যাওয়া গাছের শুকনো শেকড়ের ডগায়? নাকি মহাকাশযান হয়ে আমার থেকে আলোকবর্ষ দূরে পারি জমাচ্ছো? নাকি লুকিয়ে আছো আটলান্টিকের গভীর পানির নিচে? যেখানে মাছেদের বসবাস? তুমি আসলে কোথায়? হৃদয়ের ধরকনে, শীতের কনকনে, রেলগাড়ীর ঝনঝনে কোথাও তুমি নেই। তুমি কি আসলেই নেই? নাকি আমার সাথে লুকোচুরি খেলছো?