মেন্টালি স্ট্রং হতে চাইলে অযাচিত আগ্রহ কমিয়ে দিন, সময় মেপে চলুন।
কেউ যদি বলে- ও তো বেশি কথা বলে, তবে তার সাথে কথা বলা কমিয়ে দিন। যখন বুঝবেন আপনার সব অভিযোগ আপনার বিপরীতেই যাবে, আপনার কথা অন্যের কাছে কেবলমাত্র শব্দ দূষণ তখন শুধু শুনুন। কখনো সেখানে বলতে চাইবেন না। কথা বলতে চাওয়া, দেখা করতে চাওয়ার যে অদম্য তেষ্টা, তা একবার পার করে ফেললেই জীবনটা অনেক সুন্দর অন্যরকম হয়ে যায়।
তখন ভয়ঙ্কর ধরনের কথা বলার ইচ্ছেরা গলাকে আঁকড়ে ধরে না। একসাথে পথ চলার ইচ্ছের দায় যে আপনার একার নয় এটা বুঝে গেলেই ঘ্যান ঘেনে ভাবটা একেবারে চলে যাবে।
তাকে ভালোবাসি কিন্ত একসাথে যাপন করতে চাই না। কারো প্রতি এই রকম ভাবে আগ্রহ চলে যাবার মতো কঠিন আর কিছু নেই। আগ্রহ চলে গেলেই হলেই হলো এমন একটা ভাব নিয়ে দিব্য ঘুরে বেড়ানো যায়।
কে কি বললো, কে কি ভাবলো এগুলো নিয়ে বিরাট রকমের মাথাব্যথা আর হয় না। মনে হয়, যে যেটা জানে জানুক, তাতে কোনো সমস্যা নেই।
কেউ আমার লাইফটা তো আর লিড করছে না।
অন্যের কাছে গুড ভাইভস বজায় রাখার জন্য মানুষ অনেক কিছু হারিয়ে ফেলে। এমনকি এই গুড ভাইভস বজায় রাখতে রাখতে অনেকে মাঝ বয়সে এসে জীবন অবধি হারিয়ে ফেলে আর যারা জীবন হারায় নি, তারা নিজেকে গুছিয়ে নেবার অদম্য প্রয়াস করতে করতে হাঁপিয়ে গিয়েও কিছুতেই হাল ছাড়ে না।
নিজের মধ্যে প্রচন্ড পজিটিভিটি আনতে আনতে একটা সময় টের পাবেন আপনার চারপাশটা নেগেটিভিটিতে ভরে গেছে।
পজেটিভ মানুষ যেমন দেখতে সুন্দর তেমনই তার স্ট্রাগল খুব বেশি, শুধু এই ঠুনকো অনুভূতি দিয়ে কিছুই হয় না।
মনের ভাব প্রকাশের জন্য শব্দ প্রয়োজন, বাক্য প্রয়োজন। ছোটোবেলার পড়া এই সহজ ব্যাকরণটা এইবারে আয়ত্ব করে নিন। অযথা ঝগড়াঝাটি করার স্কিলটা নিজে থেকেই কমিয়ে দিন।
শব্দ-বাক্যের ঘন ঘটা কমে আসলে মন খারাপগুলো একেবারে থিঁতিয়ে যায়। নিজের কাছে পরাজিত হয়ে আবার উঠে দাঁড়াতে পারলে দেখবেন এই উঠে দাঁড়ানোটা ভয়ঙ্কর রকমের শক্ত, এর মধ্যে ছিঁটেফোঁটা বাড়তি ইমোশন থাকবে না।
যেখানে আপনি গুরুত্ব পাচ্ছেন না সেখান থেকে চুপচাপ সরে আসুন, ঈগলের মতো সাহস করে সম্পর্কের সুতোগুলো এক এক করে নিজেই ছিঁড়ে ফেলুন, কোনো মেকি বাঁধন টিকিয়ে রাখবেন না।
যে কাজটা করতে যাচ্ছেন তাতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাবেন জেনেও করুন একটা সুন্দর ভবিষ্যতের দায়ে নিজের মনের শান্তি নিজেই বজায় রাখার জন্য এক প্রকার মরিয়া হয়ে উঠুন।