Posts

কবিতা

শব্দ দূষণের দোহায় কেনো?

January 11, 2025

ARIFUL ISLAM BHUIYAN

Original Author ------আরিফ শামছ্

25
View

শব্দের দূষণ বড়ো নাকি তোমার দূষণ বড়ো?
শব্দ দূষণ দূর করিতে নিজের দূষণ করো!
দেহ-মনে পবিত্রতার উপায় কোথায় জানো?
কোরআন হাদিস আলোচনায় পাবে তুমি মানো।
ওয়াজ মাহফিল,আজানের সুমধুর শব্দে, 
শব্দদূষণের দোহায় কেনো?
ডিজে পার্টি, থার্টি ফার্স্ট নাইট, বিয়ে বাড়ি, 
পূঁজোর ডাক-ঢোলের শব্দে মজে রও যেনো!
তোমাদের একতরফা, তালকানা,বধির অন্ধ,
বুদ্ধিজীবিগুলো শৈবাল আর আগাছার মতো,
জন্মায় বলে পৃথিবীতে এত্তো গন্ডগোল! 
এক, দু'পুরুষ আগেও পল্লী গাঁয়ের সুমিষ্ট বক্তার কিংবা
যুক্তিবাদী ওয়ায়েজীনের ওয়াজের সুর ধরে ধরে,
হাজির হয়ে যেতো শিশু, কিশোর, যুবক যুবতী, 
আবাল বৃদ্ধ, আম জনতা, হিন্দু-মুসলিম সবাই। 
কোন কোন হিন্দু ভাই-বোন প্যান্ডেলের অদূরে, 
দাঁড়িয়ে শুনতেন সত্য-মিথ্যা, আলো অন্ধকারের,
চির শ্বাশত ব্যবধান, চিরদেয়ালের কথা পার্থক্যের।
তখন দেখা যায়নি হিন্দু মুসলিমের হিংসা-বিদ্বেষ, 
অযথা, অকারণে সাম্প্রদায়িক হানাহানি অশেষ! 
নারী পুরুষ ছেলে বুড়ো সবাই নিজেদের নিতো ঝালায় করে ,
ইমান, আমল আর আল্লাহ, রাসুল (সাঃ) ও সাহাবীদের প্রেমে।
স্বামী-স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি, ছাত্র-শিক্ষক সহ ঘরের কাজের মানুষ,
সকলের অধিকার, বিচ্যুতির নির্মম শাস্তির আলোচনায় হত হুশ।
দেখো তোমাদের বুদ্ধিজীবিদের আমল, কেমন কোলাহল, আর সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প প্রতিনিয়ত কোনায় কোনায় ছড়ায়!
এক পারা থেকে অন্য পারায়,এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে, 
ওয়াজের সুমধুর সুর লহরিতে ইমান তাজা হতো,
অসুস্থ ব্যক্তি ও মুমিন হৃদয়ে স্বর্গীয় সুখ খেলে যেতো ,
সারা জীবন গান বাজনার সাথে কাটানো অসুস্থ,দূষিত,
কলুষিত হৃদয়ের মানবের কাছে কষ্টের আর অসন্তুষ্ট!
পালাতো শয়তান! বেহেশত দোজখ, মানুষের অধিকার যতো,
ওঠে আসতো যৌক্তিক আলোচনায়, মনভরে সবাই শুনতো।
হাঁড় হিমকরা, কনকনে শীত, শৈত্য প্রবাহ, 
ঘন কুয়াশার বেড়াজাল, সব হার মানিতো।
মাঝে মাঝে "নারায়ে তাকবীর", "আল্লাহু আকবার" ধ্বনি-প্রতিধ্বনিতে, অবশিষ্ট অলস, অবোধেরা ও 
আড়মোড়া ভেঙে, হাজির হতো!!!

মদীনা 
১০/০১/২০২৫ ইং
রাত ৯টা।

Comments

    Please login to post comment. Login