Posts

উপন্যাস

ঐশ্বর্য উপন্যাস

January 13, 2025

Md Kawsar

Original Author নূর-এ-কাউছার

Translated by পর্ব ১

15
View

ঐশ্বর্য - উপন্যাস

পর্ব - ১

নজরুল সিগারেট টা নেভাতে নেভাতে ঠান্ডা কন্ঠে বলল,

এই মাইয়া এইভাবে কিছুই কইতো না।

এটা বলেই নজরুল মেয়েটির মাথার এক খামছা চুল টেনে ধরলো, তার পর আবার বলতে লাগলো,

অই মাইয়া ক তরা আমার ভাই দুই ডারে কি করছছ আর আমা..  আমার 20 কুডি টেহার ব্যাগ.. ব্যাগ ডা কই।

মেয়েটি ঝাপসা চখে ধিরে ধিরে তাকালো চোখের নিচে জমেছে কালি মমের নেয় সাদা তকটা যেনো আগুনের সংস্পর্শে ঝোলশে গেছে চুল গুলো এলো মেলো কপালের এক কোনে কিছুটা কেটে রক্ত বের হচ্ছে লাল সাদা রঙের শারিটা রক্তের রঙের মেলাই মেতে উঠেছে সব মিলিয়ে এক দৃষ্টিতে মেয়েটি  আজ সেই কোমল হৃদয়ের সুন্দরর্যের স্রেষ্ঠত্ব হারিয়েছে তাকে ভয়ংকর সুন্দর লাগছে।  মেয়েটি হালকা তাকিয়ে কাপা কন্ঠে বলল এএ.... একটু পানি দেন আ... আমাকে বাচতে হবে

আমা.... আমার শেষ দুটো কাজ বা.বাকি আছে,

মেয়েটি  শ্বাস কষ্টের রোগিদের মতো হাপাচ্ছে

নজরুল বলে উঠলো, হ তোর বাছতে হইবো আমার ভাইএর খবর দিয়া দে তরে তর ইচ্ছা মতো জায়গায় দিয়া আমু,

নজরুল চেচিয়ে বলে উঠলো, কিরে কেডা কই আছোছ তারা তারি পানি লইয়া, সজল দৌরে পানি এনে দিলো।

মেয়েটি খেয়ে নিলো তার পর নজরুল  বলল অই অই, অই মাইয়া ক এহন আমার ভাই কই আমার টেহা কই এবার মেয়েটি মাথাটা উঁচু করে তাচ্ছিল্যের হাসি দেয় মনে হচ্ছে কোটি বছর পর একটি অতৃপ্ত আত্মা মোন খুলে হাসছে নজরুল কপাল কুচকে বলল, অই মা** আমারে কি তোর মজার পাত্র মনে অয়

এটা বলা শেষ করার আগেই মেয়েটি তার মুখে থুতু মেরে দিলো

নজরুল আতকে উঠলো সে রাগে ফুস ফুস করতে লাগলো মেয়েটির গালে গায়ের সর্বচ্চ শক্তি দিয়ে কয়েকটি চর মারলো তবুও  মেয়েটির হাসি থামছে না সে হেসেই যাচ্ছে নজরুল আরো কিছু বাজে ভাসায় গালা গালি করে মেয়েটির গলা চেপে ধরে মেয়েটির চোখ বড় বড় হয়ে গেলো এক সময় মেয়েটি চখে ঝাপসা দেখতে থাকে তখনি নজরুল পাসে ছিটকে পরে কেউ তার গালে খুব জোরে চর মেরেছে মেয়েটি মেঝেতে পরে আছে তার হোশ যায় যায় অবস্থা তোবুও সে হাটুতে ভর করে ঘুরে বসে তখনি নজরুল বলে উঠলো আম্মা তুমি এইহানে কি করো

সাথে সাথে সাহিনা খাতুন ধমক দিয়ে বলে উঠলেন কি করছিলি এইসব তরে বলা হয়ছিলো মেয়েটির কাছ থেকে আমার ছেলের খজ নিতে মারতে বলি নাই আমি আরেকটু দেরি করে এলেই তো সব শেষ করে দিতি নজরুল মাথা নিচু রেখেই বলল হ আম্মার আমার ভুল হয়ছে কিন্তু এই নো*রে সকাল থিকা জিগাইতাছি কিছু ত কইলোই না আমার মুখে ছেপ মারছে

মেয়েটি এখন কাস্তে শুরু করলো সাহিনা খাতুন জোরদার কন্ঠেই  বলল পানি নিয়ে আই আর এখন তুই যা আমি দেখতাছি নজরুল পানি এনে দিয়ে চলে গেলো জাউয়ার সমায় বলে গেলো মাইয়ডা কিন্তু অনেক চালাক সাবধান শাহিনা খন্দকার বলল আমি জানি আমার কি করতে হবে তুই তোর কাজে বেরো নজরুল চলে গেলো শাহিনা মেয়েটির মাথাই হাত বুলাতে বুলাতে বলল মা তুমি কি ঠিক আছো মেয়েটি আরেকটু কাসি দিয়ে বলল জি আ.. আমি ঠিক আছি এবার শহিনা জিজ্ঞেস করলেন তুমার নাম কি মা কোনো কথা নেই শাহিনা বলল আমাকে সবটা খুলে বলো নইলে আমি কি করে তুমার সাহায্য করবো? বলো মা মেয়েটি বলল আপনি সাহায্য করবেন আমার? শাহিনা বলল হে সবটা খুলে বলো আমায় তুমার নাম কি মেয়েটি উত্তর দিলো আমার নাম ঐশ্বর্য.

ঐশ্বর্য বলতে শুরু করলো :- সাল ১৯৮৭ ময়মনসিংহের একটি গ্রাম চন্দন পুর (ছদ্দ নাম) 19 টা গ্রাম নিয়ে চন্দন পুর এলাকা এই গ্রামে কুসংস্কারের কোনো কমতি নেই আজও গ্রামের বাজারের মাঠে বিচার কার্য চলছে তার পাশের রাস্তা দিয়েই হেটে স্কুলের দিকে যাচ্ছে ঐশর্য আর তার ছোটো ভাই ইউছুফ ইউছুফ জিজ্ঞেস করলো আপা অইনে কি হইতাছে? ঐশ্বর্য বলল পরে বলি এখন চল তারা তারি পা চালা ঐশর্যের বয়স ১৭  সে ছিলো খুব বুদ্ধিমতি এবং ইবাদত কারি সে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পরতো ঐশ্বর্য খুব সুন্দর রুপের অধিকারী তার রুপ দেখে মেয়েরাও হা করে তাকিয়ে থাকতো চুল গুলো কোমোর ছৌয়া তার লাবন্যমাই গায়ের রং যেনো যে কাউকে পাগল করতে সক্ষম চোখ গুলো ছিলো টানা টানা চখের পাপরি গুলো দেখলে মনে হবে ময়ূর তার পেকুম তুলে নাচ্ছে ঐশ্বর্য তার বাবা, ভাই, দাদ এবং স্কুলের শিক্ষক দের ছাড়া কোনো পুরুষ এর সাথেই কথা বলে না সে বাড়ি থেকে বের হলে মুখ ঢেকে বের হয় স্কুল ড্রেসের সাথে হিজাব পরে বের হয় আগে হিজাব পোরতো চোখ খোলা রেখে এখন নিকাব দিয়ে তাও ঢেকে বের হয় তারা স্কুলের মাঠে ঢুকতেই বৃষ্টির ফোটা পরতে শুরু করলো  দুইজনি  দৌরে ক্লাসে চলে জাই ঐশ্বর্য ৯ম শ্রেণীতে পরে আর ইউসুফ ৫ম শ্রেণীতে ঐশ্বর্য ক্লাসে এসে দেখে মোটা মোটি সবাই চলে এসেছে তার সব থেকে কাছের বান্ধুবি হুমাইরা। ঐশ্বর্য তাকে হিমু বলেই ডাকে হুমাইরা বলল কিরে তর এত দেরি অইলো কে কই হারাইয়া গেছিলি ঐশ্বর্য বলল হিমু তুই এখন ৯ম শ্রেনিতে পড়িস শুদ্ধ ভাসায় কথা বল হুমাইরা হেসে বলল আমার অব্যেস অয়া গেছে আর তুইত জানসি মানুষ অব্যেসের দাস ঐশ্বর্য বলল হুমম কথা তো খুব ভালো বলতে পারিস আচ্ছা গ্রামে আজকে কিসের বিচার চলছেরে হুমাইরা  বলল মনে অয় কেউ একজন অই নদীর ধারে গেছিলো ঐশ্বর্য বলল কালি ঘাটে নাকি?? হুমাইরা জিহবা বের করে দিয়ে বলল আস্তে কথা ক এই ঘাটের নাম লইতে নাই জানস না?

ঐশ্বর্য : এই সব কুসংস্কার

হুমাইরা : আল্লাহ তরে কে কইছে অইনে কিছু দিন আগে আমার বাপে চাইরডা ভুত দেখছে সাদা কাপন পরা।

ঐশ্বর্য : ধেত ভুত বলতে কিছুই নাই সব তোর ভুল ধারণা আমার আম্মাই বলছে যে ভুত বলতে কিছুই নাই কিন্তু জিন আছে।

হুমাইরা : আমি সত্যি কইতাছি

ঐশ্বর্য : হুম হয়ছে আর বলতে হইবো না স্যার আসতাছে বসে পর।

অদের স্কুলে ছেলে মেয়েদের আলাদা পরানো হতো তাই ঐশ্বর্য ক্লাসে কোনো বিবৃতি বোধ করতো না স্কুল শেষ হলে তারা বাসায় চলে আসে আসার সময় ইউসুফ আবার জিজ্ঞেস করলো আপা তুমি তো কইলা না যে বাজারের মাঠে কি অইতাছিলো ঐশ্বর্য  বলল কিছু না তুই আম্মা কে জিজ্ঞেস করিস তারা বাসায় চলে আসে ঢুকেই ডাক দিলো আম্মা আমি চলে এসেছি ভেতোর থেকে খুব মিষ্টি গলাই কেউ বলে উঠলো হাত মুখ ধুয়ে কাপর পরিবর্তন করে আগে খেয়ে নে. তাদের বাড়িটা ছিলো গ্রামের ঘর বাড়ি গুলোর থেকে কিছুটা দূরে বাড়িটা ছিলো চতুর্ভুজ আকৃতির

.
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টতে দেখবেন
২ পার্ট জলদি আসবে

Comments

    Please login to post comment. Login