স্কুল থেকে হেঁটে হেঁটে বাড়ি আসার পথে আমরা কথা বলাবলি করছি।
কাল তো আবার রবিবার এসে গেল, সতীশ ঠাকুরদার কাছে গল্প শোনার দিন তোরা যাবি তো। সবাই বলল হ্যাঁ হ্যাঁ এটা আবার বলতে হয় নাকি। সপ্তাহে একটা দিনই তো সতীশ ঠাকুরদা গল্প বলেন, কত রকমের গল্প ভূতের গল্প অ্যাডভেঞ্চারের গল্প আরো কত গল্প আমরা যে যাবোই। সতীশ ঠাকুরদার কাছে গল্প শুনতে শুনতে পাঁচ বছর পূর্ণ হয়ে ৬ বছর হবে আর কিছুদিন পর, ময়না বললো এত গল্প সতীশ ঠাকুরদা পাই কোথায়? আর আমি বললাম জানিনা।
আরে এর মধ্যে তো আমাদের পরিচয় দেওয়া হলো না। আমরা আমরা তিন বন্ধু আর এক বান্ধবী, আমার নাম মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল ক্লাস সেভেনে পড়ি আমার ডাকনাম জয়, আর একটা আমার বন্ধু তার নাম নীলকমল দাস তার ডাকনাম শানু আর, দ্বিতীয় বন্ধু গোপাল মন্ডল এর ডাক নাম গোপু , আর বান্ধবী ময়না বিশ্বাস আমরা সবাই ক্লাস সেভেনে পড়ি সাথে আমার একটা ছোট ভাই জগন্নাথ মন্ডল সেও থাকে, ক্লাস ফোরে পড়ে।
আর যে আমাদের গল্প শোনায় তার নাম সতীশ মন্ডল সবাই তাকে সতীশ ঠাকুরদা বলে ডাকে। আরে সবাই সন্ধ্যা হবার আগে আগে চলে আসিস।
আমরা তিন বন্ধু খেলাধুলা করে সন্ধ্যা হওয়ার একটু আগেই ওদের দুজনের বাড়িতে বলে আসলাম আজ রবিবার সতীশ ঠাকুরদা গল্প বলবে আসতে একটু লেট হবে।
আমরা বাড়িতে এসে দেখি ময়না তো আগেই চলে এসেছে আমাদের, সবার বাড়ি পাশাপাশি তেই আছে।
আমরা এসে দেখি প্রতীক্ষা করতে, আর সতীশ ঠাকুরদা গল্প বলার জন্য এসে পৌঁছায়নি তাই আমরা মাদুরে বসে গেলাম, গোপাল বলল সতীশ ঠাকুরদা কে ডাক তাই আমি ডাকতে ভেতরে চলে গেলাম।
আমি ভেতরে ঠাকুর দাকে ডাকতে গেলাম ঠাকুরদা বলল তুমি যাও আমি হুকো টা সাজিয়ে আসছি আমি বারান্দায় চলে আসলাম।
ওরা বুঝে গেল সতীশ ঠাকুরদা এখনই আসবে। সতীশ ঠাকুরদা একটু পরেই হুকে হাত আসলো টুলটা পাতা ছিল সে তুলে বসলো। আর বলতে শুরু করলো আমি এখন চাষী আগে সিল কাটা, ছাতি সাড়া এরকম ছোটখাটো অনেক কাজ করেছি কাজ করতে করতে অনেক দূরের দূরের গ্রামে গঞ্জে চলে যেতাম, পশ্চিমবাংলার প্রায় সব গ্রামেই ছাতি সারতে সিল কাটতে চলে যেতাম বাড়ি আসা অনেক অনেক দিন পরে পরে আসতে হতো।
তখন কোনো কোনো দিন কারো বাড়িতে আশ্রয় নিতাম, কোন কোন দিন তাও পেতাম না । বটতলায় বা কোন মন্দির বা শ্মশানে রাত কাটাতাম তখন। আমার সাথে এত ঘটনা ঘটেছে এই বলতে বলতে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল ঝরঝর করে বৃষ্টি ঝড় শুরু হয়ে গেল সতীশ ঠাকুরদা উঠে ঘরের ভিতরে চলে গেল আর জাহাজ বা কাশি ডঙ্কা বাজাতে থাকলো এরকম করতে করতে আধা ঘন্টা পর ঝড় থামলো তখনো হালকা হালকা বৃষ্টি পড়ছে সতীশ ঠাকুরদা বারান্দায় এসে বসলো।
তখন গোপু আর শানু বললো দেখেছি আমরা ঝড় আসলে তুমি জাহাজ ডাংকা কাশি বাজাতে থাকো কেন? সে কথার উত্তর না দিয়ে
সতীশ ঠাকুরদা বলল এর কথা অন্য আরেকদিন বলবো তবে আজকে তোদের পৈশাচিক ঘোরার গল্প বলব।
7
View