একটি কালো ছেলে এবং সুন্দরী মেয়ের প্রেমের গল্প একেবারে সাধারণ হতে পারে, কিন্তু তাদের সম্পর্কের মধ্যে বিশেষ কিছু ছিল যা সকল বাধা অতিক্রম করে।
মেহেদি নামক ছেলে ছিল গ্রামের এক প্রান্তে বেড়ে ওঠা। তার ত্বক ছিল কালো, কিন্তু তার মন ছিল সোনালী। সে ছিল কাজী পরিবারের একমাত্র ছেলে, সারাদিন কাজ করে সংসার চালাতে তাকে কখনো কিছু মধুর মুহূর্তের জন্য সময় মিলতো না। তবে, সে ছিল খুবই মেধাবী এবং সবসময় সুখী থাকার চেষ্টা করতো।
একদিন শহরের এক স্কুলের প্রাথমিক শিক্ষক মিতু এসে তার গ্রামে ছুটিতে আসে। মিতু ছিল এক চমৎকার সুন্দরী মেয়ে, তার মিষ্টি হাসি এবং সুগন্ধী গায়ের গন্ধে গ্রামবাসী অনেকের মন জয় করেছিল। মিতু তার শিক্ষাদানের কাজের পাশাপাশি গ্রামের অন্যান্য কাজের সাথে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন সময় মেহেদির সঙ্গে কথা বলতে শুরু করলো।
প্রথমে, মেহেদি কিছুটা সংকোচ অনুভব করলেও, মিতুর সঙ্গে সময় কাটাতে খুব ভালো লাগতো। মিতু তার সাদাসিধে জীবন এবং কঠোর পরিশ্রমের প্রতি মেহেদির শ্রদ্ধা দেখতো। একদিন এক বিশেষ মুহূর্তে মিতু মেহেদিকে বলেছিল, "তুমি যদি কখনো মনে করো তোমার কালো ত্বক তোমার সৌন্দর্যের অংশ নয়, তবে তুমি ভুল ভাবছো। তোমার আত্মবিশ্বাসই তোমাকে সবচেয়ে সুন্দর করে তোলে।"
এ কথাটি মেহেদিকে অমূল্য উপহার হিসেবে মনে হয়েছিল। তারা একে অপরকে আরও ভালোভাবে জানতো, একে অপরের পাশে দাঁড়াতে শিখতো। তাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ ছিল না—কেবল একে অপরের প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং গভীর সংবেদনশীলতা।
সময় এগোতে থাকলে, মেহেদি ও মিতুর সম্পর্ক আরও দৃঢ় হতে থাকে। গ্রামের মানুষজন তাদের সম্পর্কের দিকে কিছুটা সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকালেও, তারা তাদের প্রেমে অবিচল ছিল। একে অপরকে ভালোবাসার শক্তিতে তারা প্রমাণ করেছিল যে, সত্যিকারের ভালোবাসায় কোনও বাধা নেই—এটা শুধু হৃদয়ের সম্পর্ক।
শেষ পর্যন্ত, মেহেদি এবং মিতু তাদের জীবনের পথে একসঙ্গে হাঁটতে শুরু করে। সমাজের ভেদাভেদকে উপেক্ষা করে তারা নিজেদের ভালোবাসার গল্পকে একটি নতুন অধ্যায় হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যায়।