বৃটেনের মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন এটা কোনো খবর না। টিউলিপ বৃটেনকে বাংলাদেশ ভেবে নিয়েছিলেন এই বোকা ভাবনাটাই আসল খবর।
টিউলিপের বিরুদ্ধে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের অভিযোগ উঠেছে। এখনও তদন্তাধীন অভিযোগটি প্রমাণিত হয়নি। মিনিস্ট্রিয়াল রোলও তিনি ব্রেক করেননি। তারপরও কেন ট্রেজারির ইকোনমিক সেক্রেটারি পদ থেকে পদত্যাগ করলেন?
এটাই সভ্যতা এবং নৈতিকতা। যেহেতু মিজ টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। বৃটেনের ন্যাশনাল ডেইলিতে নিউজ হচ্ছে। মন্ত্রিত্বের মতো পাওয়ারে থাকলে যাতে তদন্ত প্রভাবিত না হয় সেজন্য পদত্যাগ হলো আত্মমর্যাদা রক্ষার বড় পন্থা।
এই যে কোড অব কন্ডাক্ট বা আচরণবিধিতে শুদ্ধাচার প্র্যাকটিস করা, ইউরোপ-জাপান-সিঙ্গাপুরের মতো সভ্য ও কল্যাণরাষ্ট্রগুলো হাজার বছর কাঠখড় পুড়িয়ে তা অর্জন করে নিয়েছে। সেখানে সরকারি-বেসরকারি যেকোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থায় রুলিং পার্সন কিংবা এডমিনিস্ট্রেটিভ হেড নয় শুধু প্রান্তিক কর্মীর বিরুদ্ধেও অসাধুতা, দুর্নীতি কিংবা কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের অভিযোগ উঠলে তার কাজ করবার নৈতিক কোনো ভিত্তি থাকে না।
পক্ষান্তরে আমাদের বাংলাদেশে দুর্নীতিতে আকন্ঠ নিমজ্জিত থেকেও বারবার ক্ষমতায় থাকবার উদগ্র খায়েশ মেটানো যায়। লজ্জা-শরমের মাথা খেয়ে নিজের ব্যক্তিগত বাসনাকে পাহাড়ের চূড়ায় নিয়ে ধপ করে পড়ে গিয়ে রাতের আঁধারে পালিয়ে যাওয়া যায়। আমরা হয়ত আরেকটা শতাব্দি পেরিয়ে গিয়েও নিজেদের এমন বদ মতলব বদলাতে পারব না।
একসময় আমরা বৃটেনের কলোনি হিসেবে আবদ্ধ ছিলাম। কলোনিয়ালিজম তথা উপনিবেশবাদ নিয়ে এখনো আমরা বিস্তর গবেষণা ও পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত করি। সেই আমরা এখন নাম নিয়েছি স্বাধীন! ওদের সাথে আমাদের পার্থক্য কোন জায়গায় এটা দেখলেই উপলব্ধি করা যায় আমরা আসলে কেমনতর স্বাধীন।
লেখক: সাংবাদিক
১৫ জানুয়ারি ২০২৫