পড়ার টেবিলে বসে একে অপরকে মুগ্ধ চোখে দেখেন, পড়াশোনা হয় যৎসামান্য কিন্তু প্রেমের বিনিময় হয় ঢের। রবীন্দ্রনাথ অন্নপূর্ণাকে নাম দেন নলিনী। যার মানে প্রচুর পদ্ম জন্মে যেখানে। নলিনী'কে নিয়ে রবীন্দ্রনাথ গান লিখেন, সেই গান গেয়ে শোনান নলিনী'কে। গান শুনে নলিনী বলেন "রবীন্দ্রনাথ তোমার গান শুনে মনে হচ্ছে, আমার মৃত্যশয্যার পাশে এই গান শোনানো হলে আমি আবার জীবন ফিরে পাবো "। প্রিয়তমার মুখে এমন মন্তব্য শুনে কবি আরো প্রাণিত হলেন, লিখলেন
শুন নলিনী, খোল গো আঁখি
ঘুম এখনো ভাঙ্গিল না কি!
দেখ, তোমারি দুয়ার পরে
সখি এসেছে তোমারি রবি।
কবিতা শুনে নলিনী খুশিতে ঢলে ঢলে পড়েন, রবীন্দ্রনাথের গলা জড়িয়ে ধরেন। এভাবে তাদের প্রেম পরিণত হতে থাকে, একে অপরের প্রতি আচ্ছন্ন হতে থাকেন আরো গভীরভাবে।
এদিকে প্রেমের যাতনায় জ্বলেপুড়ে এক নতুন মানুষে পরিণত হন নজরুল। প্রবঞ্চনার আঘাত তাকে তৈরি করে দেয় সৃষ্টির পথ। নজরুল রচনা করতে থাকেন বাংলা সাহিত্যের অমর সব সৃষ্টি।