ঐশ্বর্য
পর্ব : ২
বাড়ির মাঝখানে ছিলো উঠন উঠনে একটি কুও বাড়ির সামনে বড় করে লেখা রহমান বাড়ি
আশে পাশের এলাকায় তাদের খুব নাম ডাক কারন ঐশ্বর্যের বাবা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা এবং ঐশ্বর্যের দাদা ছিলেন মেজর সংসারের হাল ধরতে এখন ঐশ্বর্যের বাবা একটা বড় মাছের কার্খানায় সরকার থেকে পাউয়া টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন তাই তাদের সংসারে কোনো দিন কোনো অভাব অনুটি আসে নি ঐশ্বর্যের বাবার নাম রবি রহমান দাদার নাম নুরুল রহমান তার দাদার বাবা ছিলেন বৃটিষ কালের সামোইক বাহিনির একজন সেই সুত্রে সে মেজর হয়েছিলো এখন অবসর সময় এ নিজের জীবন এর শেষ দিন গুলো গুনছে,
ঐশ্বর্যের মা চেচিয়ে ডাকছে ঐশ্বর্য ইউসুফ কই তোরা তদের না বললাম হাত মুখ ধুয়ে খেতে আই ঐশ্বর্যের মা ছিলেন খুবি নরম মনের মানুষ কিন্তু কথা যখন সন্তানের তখন তিনি কোনো বিষয়ে ছাড় দেই না ঐশ্বর্যের মায়ের নাম ছিলো সান্তি খাতুন বিয়ের পর সান্তি রহমান, ইউসুফ দৌরে এসে মেঝেতে আসন পেতে বসে পারল ঐশ্বর্য জী আম্মা আসছি বলে নিজের ঘর থেকে বের হতেই বাড়ির দর্জায় কেউ করা নারছে সান্তি ইসারাই ঐশ্বর্য কে আটকে দিলো এবং জিজ্ঞেস করলো কে, কে বাহিরে
একটি পুরুষ কন্ঠ ভেসে আসলো জী আমি এস.পি আকাশ এখানকার লোকাল পুলিশ স্টেশনের দারোগা সান্তি কপাল কুচকে কিছু একটা ভেবে চখের ইসারাই ঐশ্বর্য কে ভেতরে জেতে বলল ঐশ্বর্য ভয় কিছুটা ভয় পায় সে ভাবে তার বাবার সাথে আবার কিছু হলো নাতো সে ভেত চলে আসে একটু পর সান্তি আবারো ঐশ্বর্য কে ডাক দেয় ঐশ্বর্য বাইরে আই কিছু একটা চিন্তা করে বলল দারা মাথাই হিজাব পরে বের হ ঐশ্বর্যের বুঝতে বাকি রইলো না পুলিশ গুলো বাড়ির ভতরে এসেছে এখনো জাইনি সে হিজাবটি পরে মাথা নিচু করে বের হলো এক নজর সবইকে দেখে নিলো আকাশ বলে উঠলো আপনি কে ঐশ্বর্য ভয় পেয়ে যায় সান্তি বলল এটা আমার মেঝো মেয়ে আপনারা আপনাদের কাজ করেন আকাশ এর মনে কি যেন চলছে সে বলল আপনার মেয়ের মুখ দেখতে চাই আমরা তবেই আমরা সুস্তি ফিরে পাবো শান্তি রেগে জান এর পর অনেক কুটো কথা শুনাই অদের সান্তি শিক্ষিত ছিলো তাই কোনো দিন কেউ তার সাথে ঝগরা ক্রতে আসে না আকাশ আবার বলল আমার ডিউটি এটা বাধা দিয়েন না কাকি মা পরে আপ্নাদেরি সমস্যা হবে এ ভাবে আরো কিছুক্ষন ততর্কবিতর্কে পর সান্তি রাজি হন এবং রাগে ফস ফস করতে করতে এক টানে ঐশ্বর্যের ফিজাবটা খুলে দিলো ঐশ্বর্য সাদা রং এর একটি থ্রি পিছ পরে ছিলো হিজাব এতো গতিতে সরাই তার চুল এলোমেলো হয়ে গেলো আকাশের চোখ বড় বড় হয়ে গেলো সে জেনো এক মুহুর্তে বসন্তের বাতাসে ফাগুনের আকাশে হারিয়ে গেলো সে মনে মনে বলছে এ চখ এখানেই থেমে জাক থেমে জাক সময় আমি এই মুহুর্তের প্রেমে পরে গেলাম ঐশ্বর্যের গাল গুলো ভয় এবং অজানা এক বিবৃতিত লাল হয়ে গেছে চখ দুটি মাটি থেকে উপরে উঠার কোনো নামি নিচ্ছে না আকাশের মুখে বাকা হাসি ফুটে গেলো শান্তি একটু ধমকের সরে বলে উঠলো এখন আপনি আসতে পারেন এটা ভদ্রলোকের বাসা এখানে পুলিশ দেখলে মানুষ আজে বাজে কথা ছরাবে আপনারা আসতে পারেন আকাশ হোকচোকিয়ে গেলো ঐশ্বর্যকথা বলার সাহস টুকুও পাচ্ছে না সান্তি বলল ঐশি নিজের ঘরে যা ঐশ্বর্য দৌড়ে ঘরে চলে গেলো আকাশ বলল কিছু মনে নিবেন না আমাদের দাইত্ব আমরা পালন করছি আপনি তো মনে হয় শিক্ষিত আপনি আমাদের অসুভিধা বুঝেন আমরা ভালো করে তল্লাশি না করলে আমাদের চাকরিও চলে জেতে পারে সান্তি থামিয়ে দিয়ে বলল আমি কিছুই মনে করি নি আপ্নারা আসতে পারেন আকাশ আবার বলল জি আমরা আসি বলে চলে গেলো তারা সান্তি এখনো রাগে ফুসফুস করছে ঐশ্বর্য এখনো ভয় পেয়ে আছে আর মনে মনে ভাবছে মা কে এর আগে এভাবে কোনো দিন রাগতে দেখিনি পেছন থেকে সান্তি বলে উঠলো এর আগে এমন কোনো দিন আসেওনি ঐশ্বর্য হোকচোকিয়ে গেলো বলল আম্মা আপনি কি ভাবছিস যে আম্মা এতো রাগলো কেনো আরে আমি তোর মন থেকে মাথার সব খবর জানি কথা গুলো খুব মিষ্টি করে মমতা মাখিয়ে বললেন সান্তি ঐশ্বর্য অবাক, বলল আম্মা আপনি এতো রাগলেন কেনো সান্তি বলল গ্রামের মানুষ নাকি দেখেছে আমাদের বাড়িতে কেউ একজন উকি ঝুঁকি করছে সে নাকি অই কালি ঘাটে লাশ নিয়ে ধরা পরছে ঐশ্বর্য ভয় পেলো আরো খুব কৌতুহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলো আম্মা অই কালি ঘাটের ঘটনা কি সত্য অখানে কি সত্যি ভুত আছে?
।
।
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন
পর্ব ৩ জলদি আসবে সবাই পাশে