নয়ন নাপিত এর জিবনি মানিকগঞ্জ জেলা সিংগাইর থানা খাসের চর গ্রাম এর একজন গরিব মানুষ ছিল গরিব মানুষটার নাম ছিল নয়ন ২০০৪ সালে তার জীবনে ব্রাট একটা ঝড় আসে সে ঝড়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায় তাদের জিবন তখন তার বয়স ছিল আট বছর, তারা দুটি ভাই ছিল হঠাৎ করে তার বাবার জীবনে একটি মেয়ে আসলো মেয়েটা আসার পর তার বাবার জীবনটা এলোমেলো করে দিল সেই মেয়েটার প্রেমে পড়ে তার বাবা তার মাকে ডিভোর্স দিয়ে দেন তখন তারা দুটি ভাই অনেক ছোট ছিল, তার মাকে ডিভোর্স দেওয়ার পর তার মা তার নানা বাড়িতে চলে যান, নানা বাড়িটা ছিল অনেক গরীব তাই তার মা দুটো ছেলেকে নিয়ে মায়ের বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন তার মা দুটো ছেলের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য পেটের তাগিতে দুই বছর গার্মেন্টসে চাকরি করে তাতেও কষ্টে কাটতো তাদের জীবন তারপর পরবর্তীতে ২০০৬ সালে সে বিদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হন, দুটি ছেলেকে সফলতা অর্জন করাতে সে নিজের রূপ যৌবন, থাকতেও বিবাহ করেননি তার পরবর্তীতে , দোনো ছেলেকে বাবার বাড়িতে রেখে যান অর্থাৎ নয়ন এর নানা বাড়ি তার নানা বাড়ি ছিল অনেক অভাব তার বাবা বিবাহ করে সেই স্ত্রী কে নিয়ে চলে গেলেন সেই স্ত্রীর বাবার বাড়ি এলাকায় তার বাবার জীবনটা মোটামুটি সুখী হলো কিন্তু তার মা শুধু কষ্টই করে যাচ্ছে দুটি ছেলের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য হঠাৎ করে বড় ছেলে নয়ন নানা বাড়ি থেকে চলে আসে ছোট ছেলেটার নাম ছিল আলমগীর ছোট ছেলেটা নানা বাড়ি পড়াশোনা করতো বড় ছেলেটা দ্বারে দ্বারে ঘুরে ঘুরে মানুষের লাথি গুতা খেয়ে নাপিতের কাজ শিখলো তখন তার নাম হয়ে গেল নয়ন নাপিত তারপর তার মার মোটামুটি ২০ বছর কেটে গেল ২০ বছর পর তার পর টাকা পয়সা জমিয়ে তার ছোট ছেলেকে নিয়ে একটি বাড়ি ঘর করল বড় ছেলেটা শুধু নাপিতের কাজ করেই যাচ্ছে তার মানুষের কাছে কোন সম্মান ছিল না কারণ সে গরিব টাকা ছিল না এই কারণে মানুষে তাকে দাম দিত না তার বাবার পুরনো বাড়িতে এর আশ্রয় নিল ওখানে কোন জায়গা ছিল না তার বাবার শুধু ১শতাংশ জায়গার মালিক ছিল ওই ১ শতাংশ জায়গার মধ্যে কোন ঘর ছিল না চারটা টিন দিয়ে কোনরকম বিন্নার ছোফা কেটে এনে টিনে, ছাফড়া টার চারদিকে বেড়া দিয়ে ওপরে চার দিকে চার টা ইট ভাঙ্গা দিয়ে সে বসবাস করত বেড়ার ফাঁক দিয়ে শীতের রাতে অনেক বাতাস আসত সে একটা ছেঁড়া কাঁথা মুড়ি দিয়ে থাকতো সে তার বাবার বাড়িতে যেত তার সৎমা তাকে দেখতে পারত না তার বাবার কাছে গীয়ে কান্নাকাটি করত কান্নাকাটি দেখে তার বাবা বাড়িতে চলে আসলো৷ বাড়িতে আসার পর তার বাবা একটানা এক মাস মানুষের বাড়িতে কামলা দিয়েছিল তারপর ৫০০০ টাকা জমেছিল ৫০০০ টাকা জমানো হয়ে গেলে আর ৫ হাজার টাকা কিস্তি তুলল তারপর আঠালিয়া গ্রাম থেকে ছোট্ট একটা দোচালা ঘর কিনে নিয়ে আসো তারপর এক মাস তার বাবা মানুষের বাড়িতে কাজ করার পর সেই ঘরটা কোনরকম উঠালো তার বাবা তারপর আবার তার সৎ মা এর কাছে চলে গেল তারপর তাকে একটি বিয়ে করিয়ে দিল৷, তারপর তার জীবনের শুরু কোনরকম সংসার করতে লাগলো সে একটি বিয়ে করেছেল তার একটি সন্তানও ছিল এভাবেই কাটতো তাদের দিন সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাক কারণ সে একটা গরিব মানুষ ছিল সে নাপিত এর কাজ করত তাই অল্প টাকা ইনকাম করত সে টাকা দিয়ে তার সংসার ভালোমতো চলতো না প্রতিনিয়ত ঝগড়াঝাঁটি করতেই থাকতো সে গান বাজনা আনন্দ উল্লাসে থাকতো তার স্ত্রী গান বাজনা পছন্দ করত না, এক সময় হঠাৎ করে ২০২৪ এর শেষে ২৫ সালে গান বাজনা ছেড়ে দিল, গান বাজনা ছেড়ে দিয়ে নামাজ পড়া আরম্ভ করল, সে প্রতিদিন গান বাজনা করে আসতো তার বাড়িতে ঝগড়া হতো তার স্ত্রী এটা পছন্দ করত না, হঠাৎ করে সে একদিন গান বাজনা ছেড়ে দিয়ে মন দিয়ে দোকান করা আরম্ভ করল, এখন আল্লাহর কাছে চাইবো আল্লাহ যদি কখনো সফলতা অর্জন করতে দেন, তাহলে করবো আর যদি সফলতা অর্জন না করতে দেন, তাহলে এভাবেই কাটবে তার জীবন তার জবনে আরো অনেক গল্প বাকি রয়ে গেছে, বেঁচে থাকলে আবার দেখা হবে গল্পটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে লাইক করে দিবেন সর্বোপরি আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে হবে আল্লাহ ভরসা ধন্যবাদ,