[কিছু গল্পের শেষ নেই ]
[রুপসী কণ্যা]
[এক কোটি বছর ধরে তোমায় দেখিনা]
মানুষের মন খারাপ হলে তারা বৃষ্টিতে ভিজতে চায় কারণ, বৃষ্টিতে চোখের জল মুছে যায়। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারে না মানুষটার ভেতরে কতটা ঝড় বৃষ্টি বয়ে যাচ্ছে। মানুষ সবচেয়ে বেশি ভয় পায় এমন একটি সকালকে ,যে সকালে ঘুম ভাঙার পর সে টের পায় এই পৃথিবীতে তার কেউ নেই। বিশাল এই পৃথিবীতে হয়তো একটা বা দুইটা মানুষ ছিল। সেই মানুষগুলো চলে গেছে জীবন থেকে অথবা পৃথিবীতে। গোপনে ভালবাসার একটা সৌন্দর্য হলো কি জানেন? ভালোবাসার মানুষটার কাছ থেকে কখনো অবহেলিত হতে হয় না কারণ, সে জানেই না যে আপনি তাকে কতটা ভালোবাসেন।এই ভালোবাসার মানুষটা অনেকেই হতে পারে বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন ইত্যাদি। একটু অল্প অবহেলায় আপনি কতটা আহত হতে পারেন বুঝতে পারবেন তখন যখন আপনার হৃদয় আহত হবে!আর যদি জানতে পারে সেই মানুষটা আপনি তাকে অনেক ভালোবাসেন তাহলে হয়তো আপনার কাছেই আসতো না অবহেলা করত। ঠিক নিচের একটি আহত ভালোবাসার গল্পের মতো। মানুষ তো মানুষকে ভালবাসে তাই না? ভালোবাসা তখনই সুন্দর হয় যেখানে কোন নোংরামি থাকে না। কাছে আসলেই ভালোবাসা হয় না,স্পর্শ করলেই ভালোবাসা হয় না, কথা বললেই ভালোবাসা হয় না, প্রতিদিন দেখা করলেই ভালোবাসা হয় না, দূরে থেকেও ভালোবাসা যায় কারণ ভালোবাসা আসে হৃদয় থেকে। আহত ভালোবাসার গল্পটা শুরু হয় কোন এক শুক্রবার থেকে। শুক্রবারে কোন এক শহরে বিকেল তিনটায় একটি ছেলে রাস্তায় হাঁটছিল হঠাৎ দেখতে পায় একটা মেয়ে রাস্তা পার হতে চাচ্ছে কিন্তু পার হইতে পারছে না মেয়েটার সাথে একটি ছোট মেয়ে ছিল। মেয়েটাকে এমন অবস্থায় দেখে ছেলেটা সামনের দিকে যাচ্ছে মেয়েটাকে সাহায্য করার জন্য। ছেলেটা পথচারীকে সাহায্য করতে পছন্দ করতো।যখন ছেলেটা মেয়েটার কাছে যায় মেয়েটা কিছু না বলে তার মায়াবী চোখে এক পলক ছেলেটার দিকে তাকালো। মেয়েটার পরনে ছিল বোখরা চোখে ছিল চশমা। ছেলেটা মনে মনে বলতে লাগলো জীবনে অনেক জনকেই দেখেছি কিন্তু এমন মায়াবী চোখের মানুষ কখনো দেখিনি! মাশাআল্লাহ । কয়েক সেকেন্ড পর ছেলেটা বলতে লাগলো আপনারা কি রাস্তা পার হইবেন? আসেন আমার সাথে আমি পার করে দেই।মেয়েটা বলল ঐদিকদিয়ে আমরা চলে যাব।ছেলেটা বলল ঐদিক দিয়ে যাইতে পারবেন না আমি পার করে দেই আপনাদের। দেখে বোঝা যাচ্ছে মেয়েটা অনেক ভদ্র কথা কম বলে। তারপর ছেলেটা ছোট মেয়েটাকে হাত ধরে তাদেরকে রাস্তা পার করে দিল। ছেলেটা ছোট মেয়েটাকে জিজ্ঞাসা করল তোমাদের বাসা কোথায়? মেয়েটা এবং ছোট মেয়েটা তাদের পরিচয় দিল না কিছুই বলল না। তারপর দ্বিতীয় বারে ছেলেটা কোন কিছু জিজ্ঞাসা করলো না তাদেরকে। ছেলেটা ভেবেছে হয়তো ওরা অনেক ভদ্র কম কথা বলে। তারপর মেয়েটা রাস্তা থেকে অনেকটাই দূরে চলে গিয়েছিল ছেলেটা তাকিয়ে রইল মেয়েটাও দূর থেকে ছেলেটার দিকে বার বার তাকিয়ে ছিল।ছেলেটা অবাক কৌতুহল মনে ভাবতে লাগলো মেয়েটা কি অদ্ভুত জানিনা কত সুন্দর দেখতে। জানি না তার পরিচয় কি। আর তার সাথে হবে দেখা কোনদিন। পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দরী মেয়েটাই কি সে! একটা মেয়ের চোখ এত সুন্দর হতে পারে কিভাবে! এত সুন্দর মায়াবী চোখ আগে কখনো দেখিনি। না জানি মেয়েটা দেখতে পুতুলের মতো মনে হয় কত কিউট। পরিচয়টাও দিল না ভাগ্যে থাকলে দেখা হইতেও পারে এই বলে ছেলেটা বাসায় চলে গেল। অথচ ছেলেটা জানেই না যে মেয়েটা তার শহরের আশেপাশেই থাকে! যাইহোক ছেলেটা তো জানতো না যে এই রাস্তা দিয়ে মেয়েটা পরের দিন আবার আসবে! আবার দেখা হয়ে গেল মেয়েটার সাথে কিন্তু ছেলেটা কোন কিছুই বলতে পারল না মেয়েটাকে। চলে গেল। এখনো ছেলেটা বুঝতে পারল না মেয়েটা তার শহরের পাশেই থাকে। এভাবে কিছুদিন চলে যায় আস্তে আস্তে ছেলেটা মেয়েটার মায়াবী চোখের মায়ায় পড়তে লাগলো।প্রতিদিনই ছেলেটা মেয়েটাকে নিয়ে ভাবে আর মনে মনে বলে যদি আবার দেখতে পাইতাম সেই মায়াবী চোখের মেয়েটাকে। হঠাৎ একদিন ছেলেটা তার কলেজের সামনে দিয়ে হাঁটছিল তখন সেই মায়াবী চোখের মেয়েটাকে দেখতে পেল। মেয়েটা এই কলেজেই পড়ে।ছেলেটা এইভাবে মেয়েটাকে এত কাছে দেখে বিশ্বাস করতে পারছিল না । এত কাছে অথচ আগে কোনদিন দেখেনি।আস্তে আস্তে ছেলেটা মেয়েটার প্রেমে পরতে লাগল। ছেলেটা মেয়েটার পরিচয় জানার চেষ্টা করতে লাগল। কিন্তু কিভাবে তার পরিচয় জানবে চিন্তায় পরে গেল। কাউকে কিছু বলতেও পারেনা যদি কেউ কিছু মনে করে। এই ভাবে প্রতিদিন ছেলেটা মেয়েটাকে দূর থেকে দেখে । একদিন মেয়েটার পরিচয় খোঁজে পায়। মেয়েটার নাম আর্লিনা বাসা ছেলেটার শহরের পাশের কলোনিতেই। একদিন ছেলেটার সাথে মেয়েটা সামনাসামনি দেখা হয়ে গেল কিন্তু এত কাছাকাছি নয় অনেকটা দূরে থেকে ছেলেটা কলেজের রাস্তায় আর মেয়েটা কলেজের মাঠে বান্ধবীদের সাথে দাড়িয়ে আছে। মেয়েটা মায়াবী চোখে তাকালো ছেলেটার দিকে ছেলেটাও তাকালো। বার বার মেয়েটা ছেলেটার দিকে তাকায় ছেলেটাও মেয়েটার দিকে বার বার তাকায় ছেলেটা মনে মনে বলে অনেক গুলো মেয়ের মাঝে এই মেয়েটাকে কেন এত চেনা চেনা মনে হয়। মনে হয় কলেজের মাঠে সকাল বেলার রোদে ফুটে আছে একটি সূর্যমুখী। এভাবে প্রতিদিন ছেলেটা আর্লিনা কে দূর থেকে দেখে। আস্তে আস্তে ছেলেটা আর্লিনার মায়াবী চোখের মায়ায় আটকে যায়। তাকে গোপনে ভালোবাসতে শুরু করে। এভাবে কিছু দিন যায়। একদিন ছেলেটা সপ্নে দেখে আর্লিনা তার খুব কাছে দিয়ে হেটে যাচ্ছে । আর্লিনা তাকে কিছু বলার জন্য তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে ছেলেটা আর্লিনার কাছে যাওয়া মাত্রই ঘুম ভেঙে যায়। ছেলেটা এবার সিদ্ধান্ত নিল সে আর্লিনাকে খুব কাছে থেকে দেখবে। পরের দিন সকালে সে আর্লিনার কলেজে যায়। এই দিনটি ছিল কলেজের একটি বিশেষ দিন। দিনটি ছিল সোমবার। এই দিনে কলেজে ক্রীড়াপ্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান ছিল। ছেলেটা কলেজের মাঠে যাওয়ামাত্রই আর্লিনাকে দেখতে পায়। আর্লিনাও কলেজের বারান্দায়। আর্লিনা ছেলেটার দিকে তাকায় ছেলেটাও ভালোবাসার চোখে আর্লিনার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। ছেলেটা কলেজের একপাশে একটি খেলনা ও কসমেটিকস দোকানের সামনে এসে দাড়ালো এখান থেকে আর্লিনাকে দেখা যায় । আর্লিনা এখনো বার বার ছেলেটার দিকে তাকায়। কিন্তু ছেলেটা অনেক লাজুক আর্লিনার কাছে যেতে পারে না । আর্লিনার কাছে গেলেই ছেলেটা তার সাজানো গোছানো কথা গুলো ভুলে যায়। কোনো কিছু বলতে পারে না শুধু আর্লিনার দিকে তাকিয়ে থাকে। এবার একটু মাজা হবে শুনলে হাসবেন। জানেন কী হয়েছিল!? তবে শুনেন .. ছেলেটা তার সাথে ছোট ভাতিজি কে নিয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ ছোট ভাতিজি বলতেছে বাবা আমাকে একটা বেলুন কিনে দাও, ছেলেটা বলতেছে এখানে অনেক খেলনা আছে অন্যকিছু নাও। এই বেলুন গুলো ফুলানো ছিল না ছোট ময়েটাও বেলুন ফুলাইতে পারে না এই মুহূর্তে ছেলেটা সবার সামনে ফুলাইতেও পারবে না।ছোট মেয়েটা বলতেছে না আমার এটাই লাগবে। কি আর করার কিনে দিল ছোট মেয়েটার হাতে। ছোট মেয়েটা বলতেছে বাবা বেলুন টা ফুলিয়ে দাও ছেলেটা বলতেছে মামুনী বাসায় গিয়ে আমরা বেলুন ফুলাবো।ছোট মেয়েটা কান্না করতে লাগলো । কি আর করার ঐদিকে আর্লিনাও ছেলেটার দিকে তাকিয়ে আছে। এখন কি করবে দোকানদার মামাকে বললো ফুলিয়ে দেন তো। ছোট মেয়েটা আরো কান্না করতে লাগলো। বললো তুমি না ফুলিয়ে দিলে আমি নেব না। হায়রে কপাল। কি আর করবে ছেলেটা অন্যদিকে ফিরে বেলুনটা ফুলিয়ে এইদিকে ফিরে দেখে আর্লিনা তার সামনে তার কাছে আসছে। আসতে আসতে একদম কাছে এসে গেল। আর্লিনাও এই দোকান থেকে কিছু কিনবে। আর্লিনা তার মায়াবী চোখে ছেলেটার দিকে তাকালো ছেলেটা একদম নিস্তব্ধত ভাবে দাড়িয়ে আছে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো।আর্লিনা দোকান থেকে কিছু কিনল ছেলেটার পাশে দাড়িয়ে। বারবার আর্লিনা ছেলেটার দিকে তাকায়। কিছু সময় থাকার পর আর্লিনা এখান থেকে চলে যায়। যাওয়ার সময় আর্লিনা পেছন থেকে ছেলেটার দিকে ফিরে তাকায়। এভাবে চলে যায় আর মুখ ফিরে তাকায় কয়েক বার। মনে হয় কিছু বলবে!! এভাবে কিছুদিন যায় । সামনে রমজান মাস আসে কলেজ বন্ধ হয়ে যায় ছেলেটা আর্লিনাকে আর দেখতে পারে না প্রতিদিনের মতো। আর্লিনার বাসা কোনটা সেটাও সে জানে না। ছেলেটা আর্লিনার মুখটাও ভালো করে দেখেনি যে তাকে কলোনিতে খোঁজবে তাই আর্লিনাকে চেনার জন্য অনলাইনে আর্লিনার কলেজের গ্রুপে ফেসবুকে খোঁজতে লাগল সেখানে একটা ছবি দেখতে পায় যেখানে কলেজের ছাত্র -ছাত্রীর ছবি ছিল। মেয়েদের লাইনে একটা মেয়ে ছিল যার চোখ গুলো দেখতে একদম আর্লিনার মায়াবী চোখের মতো মুখে মুখোশ ছিল না দেখতে মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর। ছেলেটার বোঝার আর বাকি ছিল না এটাই আর্লিনা। কিছু দিন পর ঈদ আসলো ছেলেটা আর্লিনাকে খুব মিস করতেছে। আর্লিনাকে দেখার জন্য তার কলোনিতে খোঁজতে গেল মোটরবাইক নিয়ে। কলোনির প্রতিটি বাসার সামনে দিয়ে গেল কিন্তু তাকে পেল না। না পেয়ে ছেলেটা বাসায় ফিরে আসার সময় কেন জানি পেছন একটি বাসার দিকে তাকালো তখনি আর্লিনাকে দেখতে ফেল। মেয়েটা একটা সাদা জামা পড়েছিল কোলে ছিল একটি ছোট মেয়ে। ছেলেটা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো। ছেলেটা আরো বেশি অবাক হইলো এই কারনে যে ছবিতে যে মেয়েটাকে আর্লিনা ভেবেছিল সেটাই এই মেয়ে। আর্লিনা ছেলেটাকে দেখার জন্যই বাসার সামনে দাড়িয়ে ছিল কারণ আর্লিনা জানতো ছেলেটার বাইকের আওয়াজ কেমন।ছেলেটা যখন চলে যায় তখন আড়াল থেকে ছেলেটাকে আর্লিনা দেখে।ছেলেটা আর্লিনাকে দেখে যখন মোটরসাইকেল থামায় এবং তার দিকে যাওয়া মাত্রই সে হয়তো ভয় পেয়ে অথবা লজ্জা পেয়ে বাসার ভিতরে চলে যায়। ছেলেটাও তার বাসার সামনে থেকে ঘুরে ফিরে আসে তার কলোনিতে। ছেলেটা মনে মনে খুশি হয় এই কারণে যে আর্লিনাকে সে ভালো করে চিনতে পেরেছে। ছেলেটা আর্লিনাকে মনের গভীর থেকে ভালোবাসতে শুরু করল। এই ভালোবাসাটাই সুন্দর ছিল কেন জানেন? এখানে কোনো অবহেলা ছিল না।কারণ মেয়েটা জানেই না ছেলেটা তাকে অনেক ভালোবাসে। ছেলেটার যখনই ইচ্ছে হইতো তখনি মেয়েটাকে কাছে থেকে দেখতে পারতো মেয়েটাও ছেলেটার দিকে তাকিয়ে থাকত। ছেলেটা যখনই মেয়েটার কলেজে আশেপাশে দিয়ে যেত মেয়টা সত্যিই ছেলেটার দিকে তাকিয়ে থাকতো। ছেলেটাও মেয়েটাকে ভালোবাসার চোখে মন উজাড় করে দেখতো কিন্তু মেয়েটা বুঝতো না ছেলেটা তাকে কতটা ভালোবেসে ফেলেছে। এ ভাবেই চলে গেল কয়েক মাস। একদিন ছেলেটা মনে মনে ভাবতে লাগলো যাকে এত ভালোবাসি তাকে এখনো বলতে পারলাম না। আবার ছেলেটা ভাবে আগে আমি আর্লিনাকে বুঝার চেষ্টা করি তাকে বুঝি সে কেমন। তার কি করতে ভালো লাগে কি করতে ভালো লাগে না তার স্বপ্ন কি সে কেমন ছেলে পছন্দ করে সব কিছু জেনে তার মতো হয়ে তাকে বলবো ভালোবাসি তোমায় অনেক। এইসব কিছু জানতে হইলে আগে আর্লিনার একটা বান্ধবীর সাথে পরিচিতি হইতে হবে। ছেলেটা আরো চিন্তায় পড়ে গেল। কিছু দিন পর, একদিন সকালে কলেজ বন্ধ ছিল ছেলেটা কলেজের মাঠে যায় দেখে আর্লিনা আসতেছে কলেজের স্যারের কাছে প্রাইবেট পড়তে। আর্লিনার হাতে ছিল একটা জবা ফুল গাছের ঢাল।ছেলেটা ভাবতে লাগলো আজ আর্লিনার কোনো বান্ধবীর সাথে একটু কথা বলব। তারপর যখন তাদের পড়া শেষ তখন ছেলেটা দেখতে পায় তার চাচাতো বোন আর্লিনার সাথেই পড়ে । ছেলেটা অনেক অবাক হয়ে গেল যে আর্লিনার সাথে তার বোন পড়ে অথচ সে কিছুই জানেনা।
যাইহোক এবার আর্লিনাকে বুঝতে খুব সহজ হবে ছেলেটা মনে মনে বলতে লাগলো। ছেলেটা দেখতে পায় তার বোনের হাতে সেই জবার ঢাল যেটা আর্লিনার হাতে ছিল তাকে জিজ্ঞেসা করলো কিরে নীলা তোর হাতে এইটা কি? নীলা বলে ভাইয়া এইটা চিনোনা জবার ঢাল ছেলেটা বললো এইটা কে দিয়েছে ? অথচ সে জানে এইটা কার হাতে ছিল। নীলা বলে ভাইয়া এইটা তো আমার বান্ধবী দিয়েছে আর্লিনা । ছেলেটা মনে মনে বলতেছে এখনি সুযোগ এইটা দিয়েই শুরু করবো ভালোবাসার গল্পটা। ছেলেটা বলে জবাফুল আমার কাছে খুব প্রিয় এইখানে তো দুইটা ঢাল একটা আমাকে দিবি? নীলা হাসি মুখে একটা ঢাল তার ভাইকে দিল। ছেলেটা ঢালটা খুব যত্ন করে লাগায় এবং কিছুদিন পর ঢালটি জীবিত হয়ে উঠল। ছেলেটা খুশিতে মনে মনে বলতে লাগলো এই ঢালের উসিলায় আর্লিনার কথা কিছু বলতে পারবো।এভাবে কিছু দিন যায় ছেলেটা মাঝে মধ্যে আর্লির কথা বলতো তার বোনের কাছে। একদিন ছেলেটা জানতে পারলো আর্লিনার সপ্ন কী সে কি হতে চায় সে কেমন ছেলে পছন্দ করে। পরিশেষে ছেলেটা বুঝতে পারলো এখন যদি সে আর্লিনাকে এইসব কিছু বলে তাহলে আর্লিনার পড়ালেখার ক্ষতি হবে তাই ছেলেটা কিছু বললো না।
বেশ কয়েকটা দিন যাওয়ার পর আর্লিনার প্রতি ছেলেটার ভালোবাসা আরো বেড়ে গেল।ছেলেটার খুবই ইচ্ছে হয় ভালোবাসার মানুষটাকে যদি কোনা ভাবে সাহায্য করতে পারতো তাকে খুশি করতে পারতো তার সুন্দর মুখের সুন্দর হাসিটা দেখতে পারতো। অবাক করার বিষয় হলো কি জানেন?আর্লিনা যে ক্লাসে পড়ে সেই ক্লাসের কয়েকটা ছেলে এসে ছেলেটাকে বলতে লাগলো বড়ভাই আমাদের একটা সাহায্য করবেন। ছেলেটা বললো কি করতে হবে? কলেজের ছেলেগুলো বলিতেছে ভাই আমাদের একজন ভালো প্রাইবেট শিক্ষকের দরকার যিনি আমাদেরকে ভালোকরে বুঝাইতে পারবে।এই মুহূর্তে ভালো শিক্ষক খুঁজে পাচ্ছি না যিনি আমাদের গুরুত্বসহকারে পড়াবেন। ছেলেটা এতক্ষণে বুঝেগেল তারা যেহেতু পড়বে সেখানে আর্লিনাও থাকবে। ছেলেটা জানার জন্য ওদেরকে জিজ্ঞেসা করলো তোমরা কে কে পড়বে বা কত জন? ছেলেগুলো বললো কয়েকজন মেয়ে আর আমারা মিলে দশ বারো জন হবে এবং মেয়ে গুলোর মধ্যে আর্লিনার নামটাও বললো।আর্লিনার নামটা শুনে ছেলেটা মনেমনে অনেক খুশি হয় এবং তাঁদেরকে বলে যাও আমি ভালো একজন শিক্ষকের সাথে কথা বলে তোমাদের জানাবো। আর্লিনা যদি তাদের মধ্যে না থাকতো তবেও ছেলেটা তাদেরকে সাহায্য করতো। যাইহোক ছেলেটা সত্যিই খুবই আনন্দিত এই কারণে যে সে তার ভালোবাসার মানুষটাকে সাহায্য করতে পারবে। তার সুন্দর মুখের হাসিটা দেখতে পারবে। তারপর ছেলেটা তার পুরোনো ভালো অভিজ্ঞ শিক্ষকের সাথে কথা বলে। স্যারে প্রথমে না করেছিল অনেক ব্যাচ পড়ায় তো তাই এদেরকে সময় দেওয়ার মতো সময় ছিল না। তারপর ছেলেটা যখন বললো, স্যার ওরা আমার খুব কাছের ছোট ভাই-বোন তাই এদেরকে দয়া করে একটু সময় দিবেন। এইভাবে বলিতেছে শুনিয়া স্যার ছেলেটাকে আর ফিরিয়ে দিতে পারলো না। স্যার বললো তুমি যেহতু বলিতেছ তাই আর না করতে পারলাম না আচ্ছা ওদেরকে আমার কাছে পাঠিয়ে দিও।পরের দিন কলেজের ছেলেগুলো বললো ভাই আপনি কি স্যারের সাথে কথা বলেছিলেন? ছেলেটা বললো হ্যা বলেছি এবং তোমরা কাল থেকে স্যারেরে কাছে পড়তে যাবে। ছেলেগুলো অনেক খুশি হয় এবং বড় ভাইকে কলেজে নিয়ে গেল সবার সাথে কথা বলার জন্য । ছেলেটা সবার সাথে কথা বলার জন্য কলেজে যায়। কলেজের ছেলেগুলো তাদের ক্লাস রুমের সামনে নিয়ে যায় ছেলেটাকে । আর্লিনার সামনে ছেলেটা যাওয়া মাত্রই আর্লিনা লজ্জা পেয়ে ভিতরে চলে গেল। কলেজের ছেলেগুলো বলিতেছে , বড় ভাই আসছে তোদের সাথে কথা বলার জন্য প্রাইবেটের বিষয়ে । গুরুত্বসহকারে কয়েটা মেয়ে শুনতে লাগিল। এই দেখে আর্লিনাও তাদের কাছে এসেছে কথাগুলো শুনলো। আর্লিনার সাথে একটা মেয়ে ছিল যে মেয়েটা তার সাথে সবসময় থাকে। তখন ছেলেটা আর্লিনার সুন্দর মায়াবী চোখের দিকে তাকায় এবং ছেলেটা বুঝতে পারে আর্লিনার সুন্দর চোখে লজ্জা তার সুন্দর মুখে মুচকি হাসি । বেশ সুন্দর লাগছিল আর্লিনাকে। আর্লিনা বার বার তার সাথে যে মেয়েটা সব সময় থাকে সেই মেয়েটার আড়াল হয়ে যায় লজ্জাবতী লতার মতো। আর্লিনা তার পাশে মেয়েটাকে লাজুক মুখে কানে কানে বলে স্যারের নামটা কী জিজ্ঞেসা করো। পাশের মেয়েটা ছেলেটাকে বলে আচ্ছা স্যারের নাম কি? তারপর ছেলেটা স্যারের নামটা বলে। আর্লিনা ছেলেটা দিকে তাকিয়ে তার সুন্দর মুখে মুচকি হাসি দেয়। এই সুন্দর হাসিটা ছেলেটার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রিয় হৃদয় জুড়ানো হাসি ছিল। তার পর ছেলেটা বাসায় চলে আসে।পরের দিন ছেলেটার বাবা খুবই অসুস্থ হয়ে যায়। ছেলেটা চলে যায় হাসপাতালে তার বাবাকে নিয়ে সেই কারণে তাঁদের কে নিয়ে যেতে পারেনি প্রাইবেট স্যারের কাছে। এই দিন স্যারের সাথে সবাইকে পরিচয় করে দেওয়ার ইচ্ছে ছিল কিন্তু পারলনা।ছেলেটা দুই দিন পর বাসায় আসলো। ছেলেটা জানেনা আর্লিনা এখনো প্রাইবেটে যায়নি। তৃতীয় দিন কলেজের ছেলেগুলো বলিতেছে ভাই আপনাকে আজ আমাদের সাথে প্রাইবেট স্যারের কাছে যেতে হবে। ছেলেটা বললো কেন কোনো সমস্যা? ছেলেগুলো বললো না না কোনো সমস্যা না মানে আজ সবাই একসাথে যাবো। আগে কয়েক জন গিয়েছিলাম। আপনি যদি আমাদের সাথে যান এবং আমাদেরকে নিয়ে স্যারের সাথে সরাসরি কথা বলবেন স্যার আমাদের সবাইকে গুরুত্ব দেবে। ছেলেটা বললো তার মানে সবাই এখনো একসাথে যাওনি! ছেলেগুলো কয়েক জনের নাম বললো আমরা এই কয়েকজন গিয়েছিলাম। যার মাঝে আর্লিনা এবং তার পাশে থাকার মেয়েটা যায়নি। ছেলেটা এবার বুঝতে পারলো আজ আর্লিনাও যাবে তাই সে মনে মনে খুশি হয়ে ছেলেগুলোকে বললো যাও আজ আমি তোমাদের নিয়ে যাব। বিকেলে সাবাই রওনা করলো স্যারের কাছে যাবে শুধু আর্লিনা এবং তার পাশে থাকার মেয়েটা বাদে। কয়েক জন চলে গেছে কিন্তু আর্লিনা এখনো আসে না। ছেলেটা যায় না,বলে তোমরা কয়েক জন থাকো দুইজন এখনো আসেনি। ছেলেটা তাকিয়ে রইলো সেই রাস্তায় যে রাস্তা দিয়ে আর্লিনা আসবে কিন্তু এখনো আসে না। ছেলেটা মনে মনে বলে যার জন্য এতকিছু সেই আজ এখনো আসে না। হাঠা দেখে আর্লিনা আসতেছে।ছেলেটা মনে মনে অনেক খুশি হয় তাকে দেখে। সবাই অটুতে উঠলো। ছেলেটা এখনো অটোতে উঠেনি। ছেলেটা দোকান থেকে কি কিনতে গেল অটু ছেলেটার জন্য ২ মিনিট অপেক্ষা করলো। তাড়াতাড়ি এসে ছেলেটা যখনি অটুতে উঠবে তখনি তাকিয়ে দেখে একটা সিট খালি আছে যেই সিট টা আর্লিনার সামনের পাশের সিট! ছেলেটা অবাক হয়ে মনে মনে বলে আর্লিনাকে আমি পছন্দ করি এবং বেশি ভালোবাসি বলেই কি এমন হয় নাকি! তার পর বসলো। ছেলেটা মনে মনে ভাবতে লাগলো কি অদ্ভুত একটা বিষয় ভালোবাসার মানুষটা যদি সতিই হৃদয়ে থাকে তাহলে তাকে এত কাছে পাওয়াটা ব্যাপার না কারণ পৃথিবী গোলাকার। কে জানতো, আমি মিস করেছিলাম আর্লিনার প্রাইবেটের শুভেচ্ছা ক্লাসে থাকতে পারলাম না। এখন তো পুরোটাই সিনেমা। তারপর ছেলেটা স্যারের সাথে সবাইকে পরিচয় করে দিল। তাদের প্রাইবেট ক্লাস শেষ হলে ছেলেটা আর্লিনার মায়াবী চোখের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেসা করলো কেমন লাগলো স্যারের ক্লাস?আর্লিনা ছেলেটার চোখের দিকে তাকিয়ে বললো ভালো। তারপর আর্লিনার সাথে যেই মেয়েটা সব সময় থাকে তাকে জিজ্ঞেসা করলো স্যার কেমন বুঝায়? সেই মেয়েটা এমন ভাবে হাসতেছে মনে হয় আর্লিনাকে ছেলেটা পছন্দ করে এইটা সে বুঝেগেছে।এইভাবেই বেশ কয়েকদিন যায়। তারা প্রাইবেট পড়ে। ছেলেটা মাঝে মধ্যে তাদের খোঁজ খবর নেয় স্যারের কাছে তারা কেমন পড়াশোনা করছে।এভাবেই অনেকদিন যায়।ছেলেটা আর পারতেছেনা তার মনের কথাটা লুকিয়ে রাখতে। আর্লিনাও একটু একটু বোঝে ছেলেটা তাকে পছন্দ করে কিন্তু আর্লিনা এমন টাইপের মেয়ে না যে রিলেশন করবে। ছেলেটা আর্লিনাকে খুব সম্মান করে। এভাবে যদি আর্লিনাকে বলে তাহলে যদি আর্লিনা কষ্ট পায় মন খারাপ করে তাই ছেলেটা আর্লিনাকে সরাসরি বলতেও পারে না। কারণ ছেলেটা আর্লিনার মন খারাপের কারণ চায় না। তাই একদিন ছেলেটা তার বোন নীলাকে বুঝিয়ে সবকিছু বললো। এই মুহূর্তে ছেলেটার ভাগ্নি এসেছিল তাঁদের বাসায়। ভাগনী ছিল নীলার বেস্ট বান্ধবী। ছেলেটা তার ভাগনীকে বলতেও লজ্জাবোধ মনে করেছিল। ভাগ্নি ছেলেটাকে খুব চিন্তিত দেখে জিজ্ঞেসা করলো মামা বেশ কয়েকটা দিন ধরে তোমাকে অন্যরকম দেখছি তুমি খুব চিন্তিত। তোমার কি হয়েছে? কোনো সমস্যা? ছেলেটা বলে না তেমন কিছু না। ভাগ্নি বলে, না তোমাকে আসলেই খুব চিন্তিত দেখা যাচ্ছে কোনো সাহায্য লাগলে আমায় বল আমি দেখবো। ছেলেটা বললো তোমাকে বলা যাবে না আর তুমি পারবেও না।ভাগ্নি বলে একবার বলে দেখ আমি পারবো। ছেলেটা কিছুক্ষণ নিরব থাকলো আর মনেমনে ভাবতে লাগলো ভাগ্নি তো মায়ের মতই। ছেলে তো মায়ের কাছে বলতেই পারে একটা মেয়েকে সে পছন্দ করে। শুধু মনের কথাটা বলবে খারাপ তো কিছু বলবে না। আবার মনে মনে ভাবে আর্লিনা কি ভাববে।যাই ভাবুক ভাগ্নি আর নীলা ছাড়া আমার আর আপন কেউ নেই যে এই কথাটা ভালোভাবে বলতে পারবে। তাই ছেলেটা বলে দিল ভাগ্নিকে , আর্লিনা নামে একটা মেয়ে আছে নীলার সাথে পড়ে । মেয়েটাকে সে ভালোবাসে কিন্তু বলতে পারে না। ভাগ্নি বলে তো কি হয়েছে মেয়েটাকে বললেই তো হয়। ছেলেটা বলে মেয়েটা অন্য দশটা মেয়ের মতো না এভাবে বলা যাবে না। তুমি আর নীলা একটু বুঝিয়ে বলবে। শুধু এইটুকু যে আমি তাকে অনেক ভালোবাসি। হারাম রিলেশন করবো না প্রতিষ্ঠিত হয়ে তাকে বিয়ে করবো।আর একটা চিঠি লিখে দেব সেই চিঠি টা আর্লিনাকে দেবে এবং ছেলেটা এইটাও বলে কথাটা শুধু আর্লিনাকেই বলবে অন্য কেউ যেন না শুনে। ভাগ্নি আর নীলা পরের দিন কলেজে যায় আর্লিনাকে কথাটা বলার জন্য। আর্লিনার সাথে তাদের দেখা হয় কথাও হয় কিন্তু আর্লিনার কাছে মানুষ থাকার কারণে কিছু বলতে পারলো না । পরের দিন আবার তারা দুইজন কলেজে যায় কথাটা বলার জন্য । আর্লিনার সাথে তাদের কথাও হয় কিন্তু আজও একই অবস্থা কোনো সুযোগ হয় না তারপরেও ভাগ্নি আর্লিনাকে বলে, তোমাকে একটা কথা বলবো। আর্লিনা বললো কি কথা বলো?তখন ভাগ্নি বলে মনে নাই আজ না কাল বলবো। আর্লিনার সাথের মেয়েটা বলে, কি বলবা এখনি বলে পেল আমরা শুনি। পরের দিন ভাগ্নি কলেজের যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু সে কলেজে যায়নি। আর্লিনা কথাটা শুনার জন্য পরের দিন কলেজে আসলো কিন্তু ভাগ্নিকে পায়নি। আর্লিনা নীলাকে জিজ্ঞেসা করলো জেরিন এর কথা জেরিন কোথায়? সে আসলো না কেন আমাকে তো আজ কিছু বলার কথা ছিল !! মনে হয় আর্লিনা সারা রাত শুধু এই ভাবনাতেই ছিল। জেরিন তার মামাকে বললো মামা মেয়েটাকে কোনোভাবেই কলেজে বলা যাবে না। ছেলেটা বললো তাহলে এর বিকল্প কি হতে পারে ভাবতে লাগলো হাঠাৎ ছেলেটার মাথায় আসলো, প্রাইবেটে বলা যায় এইখানে সময় পাবে। তার পরের দিন সকালে জেরিন তার মামার সাথে আর্লিনার প্রাইবেটে যায়। সেখানে সবার সাথে দেখা হয় জেরিন কে দেখে নীলা খুব খুশি হয়। ছেলেটা জেরিন কে স্যারের সাথে পরিচয় করিয়ে দিল। স্যার জেরিন কে ভিতরে এসে বসতে বললো। ক্লাস শেষ হলে সবাই চলে আসলো। জেরিন আর্লিনাকে বললো তোমার সাথে একটু কথা আছে এইদিকে এসো। আর্লিনা আসলো একা তার পাশে থাকার মেয়েটা একটু দূরে দাড়িয়ে রইলো কয়েকটা মেয়ের সাথে। আর্লিনা, নীলা, জেরিন তারা তিন জন একসাথেই ছিল। জেরিন বলতেছে আসলেই তোমাকে যে কথাটা বলতে চেয়েছিলাম এই কথাটা এখন বলবো। আর্লিনা খুব মনযোগ সহকারে কথাটা শুনতে চাইলো। জেরিন বলে আচ্ছা আর্লিনা তোমার মনে আছে মামা তোমাকে একদিন রাস্তা পার করে দিয়েছিল? আর্লিনা বলে হ্যা মনে আছে। জেরিন বলে মামা তোমাকে সেদিন থেকেই পছন্দ করে। এই কথা শুনে আর্লিনা চলে যাচ্ছে! জেরিন তার হাতটা ধরে বললো তুমি যেমন টা ভাবতেছো তেমনটা না। আসলেই মামা তোমাকে অনেক ভালোবাসে । আমি যা বলি তা কারো কাছে বলবা না। মামা রাস্তায় বখাটে ছেলেদের মতো দাড়িয়ে থাকতে পছন্দ করে না পিছু নিতেও পছন্দ করে না। মামা প্রতিষ্টিত হয়ে ভবিষ্যতে তোমার বাবা -মায়ের কাছে যাবে এবং তোমাকে বিয়ে করবে। আর্লিনা বলে রিলেশন করলে আমার ভয় লাগে আমি এইসব করবো না। আচ্ছা ভবিষ্যতেরটা ভবিষ্যতে দেখা যাবে এখন আমি যাই এই ব্যাপারে আমি কিছু জানি না আমার আব্বা - আম্মাই ভালো জানে। আমার আব্বা -আম্মা কে রাজি করাইতে পারলেই হবে। জেরিন আর্লিনার হাতটা ধরে বললো এই চিঠি টা মামা দিয়েছে যেই কথা গুলো মামা তোমাকে বলতে চায় সেই কথা গুলোই এখানে লেখা আছে। আর্লিনা চিঠি টা নিল না! বললো জেরিন তুমিও কি তোমার মামার মতো পাগল হয়ে গেছো! আমাকে মেরে ফেললেও আমি এইটা নিতে পারবো না। অবাক করার বিষয় হলো কি জানেন? কারো প্রেমে পরলে নাকি মানুষ পাগল বলে এইটা আজ প্রমাণিত। যাই হোক গল্পে আসি। তারপর কি হয়েছিল। আর্লিনা চলে গেল। ছেলেটা দূর থেকে এসে বললো,আর্লিনা কি বলেছে? জেরিন আর নীলা বলে খারপ কিছু বলেনি, না করেনাই। বাকিটা বাসায় বলবো এই বলে রিকশায় ওঠে গেল। বাসায় এসে ছেলেটাকে নীলা আর জেরিন বলে, আর্লিনা বলেছে ভবিষ্যতের টা ভবিষ্যতে দেখবে এখন তুমি নিজে সফল হও। ছেলেটা কষ্ট পেলেও নিজেকে মানায়তে পেরেছে আর্লিনার ছোট্ট আস্সাস।এখন ছেলেটা আর্লিনাকে পাওয়ার জন্য কঠিন পরীক্ষায় পরে গেল। ছেলেটা আর্লিনাকে পাওয়ার জন্য এই দিন থেকে আরো ভালো করে প্রসতুতি নিতে শুরু করলো রাতের পর রাত জেগে চাকরির পিপারেশন নেয়। বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষাও দেয় কয়েক মার্কের জন্য হয় না এভাবেই কষ্টের জীবন চলতে থাকে। হঠাৎ করে ছেলেটার বাবা গুরুতর অসুস্থ হয়ে যায়। ছেলেটার মাথায় আরো চিন্তা আসলো। ছেলেটার সব কিছুই এলোমেলো হয়ে গেল। তার পরেও হাল ছাড়ে না। একের পর এক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ছেলেটা মাঝে মাঝে নিজেকেই বলে আর্লিনাকে কেন এতো ভালোবাসলাম আমার মাঝে কোনো সফলতা নেই।সফলতাও আর্লিনার মতো আমার আপন হতে চায় না। আসলেই পুরুষের সৌন্দর্য টাকায়। ছেলেটা মাঝে মধ্যে নীলার কাছ থেকে খোঁজ খবর নেয় আর্লিনা কেমন আছে। আর্লিনা এখন আর আগের মতো ছেলেটার সমনে আসে না অবহেলা করে।এই একটু আড়ালে থাকা একটু অবহেলায় ছেলেটা কতটা কষ্ট পায় তার হৃদয় কতটা আহত হয় সেটা কেউ জানে না। একদিন নীলা বলে আর্লিনা বলছে তুমি যদি তাকে আরো কিছু বলো বা অন্য কাউকে দিয়ে কিছু বলাও তাহলে আর্লিনার পড়ালেখার ক্ষতি হবে এবং এটাও বলছে তুমি এখন তোমার মতো থাকতে পারো না।ছেলেটা বলে আমি আর্লিনার মতো থাকতে চাই সে যেভাবে বলবে আমি সেইভাবেই থাকবো কারণ, ছেলেটা বুঝে আর্লিনার এখন এইসব করার সময় না তাই কিছু পেতে হলে কিছু ত্যাগ করতে হয়। ছেলেটা এইটাও বলে, আমি না হয় প্রিয় মানুষটার জন্য কিছু ত্যাগ করলাম। ছেলেটা জানতো আর্লিনার স্বপ্ন কি।আর্লিনা ডাক্তার হতে চায়। ডাক্তার হতে হলে অনেক পড়ালেখা করতে হয়। ছেলেটা এইটাও জানে আর্লিনা কেমন ছেলে পছন্দ করে। আর্লিনা হুজুর টাইপের ছেলে পছন্দ করে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজী পছন্দ করে। ছেলেটাও আর্লিনার পছন্দের মানুষের মতো হতে চায়। ছেলেটা একা একা এই কথা গুলো বলে, প্রথম দেখাতেই আর্লিনা আমার মন হরণ করে ফেলে। এটাকেই বলে ভালোবাসা। যাকে দেখার পর থেকে হৃদয়ে আর কারো জন্যে এমন হাহাকার লাগেনি,কারো জন্যে এতো মায়া জন্মায়নি আর সেই শখের মানুষটা আজ আমাকে শিখেয়ে দিয়েছে জীবনে শখ রাখতে নেই। এই কষ্টগুলো নিয়েই ছেলেটা সফলতা এবং প্রিয় মানুষটাকে পাওয়ার অপেক্ষায় আছে।
কয়েক মাস পর আর্লিনার পরীক্ষা শেষ হলে ছেলেটা জানতে চাইলো নীলার কাছ থেকে তার প্রতি আর্লিনার কোনো রাগ আছে নাকি কারণ, আর্লিনা তাকে খুব অবহেলা করছে। নীলার সাথে আর্লিনার দেখা হলে তাকে জিজ্ঞেসা করে, আর্লিনা এমন উত্তর দিল যেগুলো ছেলেটার হৃদয় ভাঙ্গার কারণ হয়ে দাড়ায়!! এই কথাগুলো আর্লিনা ছেলেটাকে যদি প্রথমেই বলতো তাহলে ছেলেটা এতটা কষ্ট পাইতো না কারণ, ছেলেটা আর্লিনাকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছে। ভবিষ্যতের আসশ্বাস দিয়ে এখন বলে এটা কোনো দিনও সম্ভব না!! সরাসরি না বলে দিল। নীলা অনেক ভাবে বোঝায় কিন্তু আর্লিনা বুঝলো না।আর্লিনা এটাও বলেছে ভবিষ্যতে কোনদিনও এইটা হবে না আর বলেছে ছেলেটা যেন কোনদিন আর্লিনার সামনে না আসে!!! এই কথাগুলো নীলা তার ভাইকে সবটা বলেনি কারণ, তার ভাই কষ্ট পাবে। ছেলেটা অনেক কষ্ট পায় কথা গুলো শুনে কিন্তু এই কথাটা এখনো শুনেনি যে আর্লিনা তাঁকে এটা বলেছে যে তার সামনে ছেলেটা যেন কোনদিন না আসে। কয়েক দিন পর ছেলেটার সাথে নীলার দেখা হয়। তখন নীলার কাছে আর্লিনার কথা জিজ্ঞেসা করতেই নীলার বান্ধবী বলে ভাইয়া আপনি আর্লিনার পেছনে আর সময় নষ্ট করবেন না। আর্লিনা আমাকে বলেছে নীলাকে বলতে আপনি কোনদিন আর্লিনার সামনে না আসতে আর ভবিষ্যতে এইটা নিয়ে আর না ভাবতে!!এই কথাগুলো শুনে ছেলেটা বিশ্বাস করতে পারছিল না!! আর্লিনা তাকে এমন ভাবে বলবে! ছেলেটার হৃদয় ভাঙ্গার আওয়াজ কেউ শুনতে পায়নি অনেক অনেক কষ্ট পেল। ছেলেটা কষ্টের সাথে বললো কেন? কারণটা কি বললো না সে? তাঁরা বললো আমরা জানি না। ছেলেটা এবার বলে, ভালোবাসার মানুষটার সামনে গেলে যদি সে কষ্ট পায় আমাকে ঘৃণা করে তাহলে আমি তাকে ভালো রাখার জন্য কোনোদিন তার সামনে আসবো না দূর থেকে মন উজাড় করে তাকে ভালোবাসবো জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত। ছেলেটা মনের কষ্টে নিজে নিজেকে বলে, আর্লিনা মনে হয় আমাকে অনেক ঘৃণা করে, আমি দেখতে কালো,আমার আব্বা নাই মারা গেছে, আমি গরিব, বেকার,খারাপ ছেলে, আমি তার যোগ্য না, আমি তার পছন্দের না। এই কারণ গুলোর মধ্যেই কোনো একটা হবে। আমি মাঝে মাঝে মনে করি এইটা আমার একটা দূর স্বপ্ন আমার আর্লিনা এমন হতে পারে না কিন্তু যখনি বুঝতে পারি এইটা কোনো দূর স্বপ্ন নয় বাস্তবতা তখনি শুধু মনের অজান্তেই চোখে জল চলে আসে। আমি আর্লিনাকে কোন দোষ দেই না সব দোষ আমার কেনো তাকে এতটা ভালোবেসে ছিলাম। আর্লিনা আমি হারাম কিছু করতে চাইছিলাম না শুধু তোমাকে ভালোবাসতে চেয়েছিলাম তুমি বুঝলা না। আর্লিনা আমি তোমাকে নিয়ে একটা সুন্দর স্বপ্ন দেখেছিলাম কিন্তু তুমি আমার সেই স্বপ্ন টা ভেঙ্গে দিলে! আচ্ছা আমি দূরে থাকলে তুমি যদি ভালো থাকো তাহলে আমি দূরেই থাকবো। জীবনে তোমাকে পাবো না বলে আমি জীবনকে ভালোবাসি না তিলে তিলে শেষ হয়ে যাবো। জীবনে কোন মেয়েকে আর কোনদিন বলবো না ভালো লাগে ভালোবাসি। তুমিই আমার জীবনের প্রথম ভালোবাসা তুমিই শেষ। আমার হৃদয়ে দরজা তোমার জন্য সবসময় খোলা থাকবে ভাল থেকো নিজের খেয়াল রেখো সব সময়। তোমার সুন্দর মুখে সুন্দর হাসিটা সবসময় যেন লেগে থাকে। তোমার মায়াবী চোখ দিয়ে যেন কোনদিন জল না ঝড়ে।
এতক্ষণ পর্যন্ত ছেলেটার মনে কষ্টের কথা গুলোই লিখেছিলাম। আসলেই সবাই সবকিছু বুঝে না। কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের মন রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান এর মতো কঠিন এমন কিছু। কিছু অল্প কথাই মানুষকে আনন্দ দেয় আর কিছু অল্প কথাই মানুষকে অনেক কষ্ট দেয়।