Posts

উপন্যাস

ঐশ্বর্য পর্ব ৩

January 17, 2025

Md Kawsar

Original Author নূর-এ-কাউছার

Translated by

5
View

ঐশ্বর্য

পর্ব : ৩

.

সাহিনা হটাত খেয়াল করলো ঐশ্বর্য ঠিক করে কথা বলতে পারছে না চোখ গুলো লাল বর্ন ধারণ করেছে সাহিনা বলল তুমি কি ক্লান্ত? তুমার বিস্রামের প্রোয়জন ঐশ্বর্য বলল না আমি ঠিক আছি আমার েআর কিছুর প্রোয়জন নেই সৃষ্টি কর্তা সব দিয়েছেন আমায় আমি চাইলেই ধোরে রাখতে পারতাম কিন্তু অবহেলাই সব শেষ তার পর ঐশ্বর্য কিছু একটা বলতে গিয়ে মাথা ঘুরিয়ে পরে যায় সাহিনা ভয় পেয়ে যায় তার পর ডাক্তার কে কল দিয়ে আনে অন্য দিকে নজরুল সব দিকেই খোঁজ চালাচ্ছে অবশেষে সে চন্দনপুরের হোদিশ পায় সেখানে গিয়ে সে তার ভাই কে খোজার কথা ভাবে যেমন চিন্তা তেমন কাজ সে বেরিয়ে পরলো ময়মনসিংহ শহর থেকে চন্দনপুর গাড়ি করে জেতে আরাই ঘন্টা সময় লাগে সে তার দল বল নিয়ে বেরিয়ে পরে অর্ধেক রাস্তাই তারা দেখতে পেলো নির্জন রাস্তায় একজন লোক দারিয়ে তাদের কাছে সাহায্য চাইছে নজরুল অশথ পথে কাজ করলেও নিচু মনেরমানুষ ছিলো না মোটামুটি অনেক গরিবের সাহায্য করেছে তাই সে ওই লোকটাকেও সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেয় গাড়ি থামিয়ে বলল কি লাগবো কাকা এই ছুনসান রাস্তাই একলা কি করো লোকটি হাসি মুখে বলল আপনেরা কোন দিক দিয়া যাইবেন? নজরুল বলল চন্দন পুর লোকটি বলল ওও আমারে কি একটু সাহেয্য করবেন আমিও চন্দন পুর থাহি নজরুল ওর সাথে বসা লোক টাকে বলল অই তুই পিছে যা কাকা আপনি এনে বসেন তার পর তারা আবার চলতে শুরু করলো নজরুল লোকটির সাথে পরিচয় পত্র শেষ করে সরা সরি জিজ্ঞেস করে বসলো আচ্ছা কাকা চন্দন পুর এর রহস্য কি যা নিয়ে সারা দেস তুল পার চলছে লোকটি বিবৃতি নিয়ে আতঙ্কের হাসি দিয়ে বলল আ..আমি অইহানের কিছুই জানি না আমি সারা বছর শহরে কাম করি বছরে দুই ডা মাস গেরামে কাডাই নজরুল বলে ওও তা শহরে কোই কাম করুইন লোকটি বলল শহরে মামায় একটা বড় কয়লার ফেকটরিতে মেনেজার অইনে মামার উছিলায় কামডা পাইছি আরকি। নজরুল বলল ওও, কিছু একটা চিন্তা করে বলল আইচ্ছা কাকা তুমি কালি ঘাডের বিষয়ে কিছু জানো? এটা বলতেই লোকটা ভোরকে যায় আর বলতে লাগে গাড়ী থামাইন এহনি গাড়ী থামাইন নজরুল কিছুই বুঝতে পারলো না কি থেকে কি অইলো গাড়ী থামাইন গাড়ী  থামলো লোকটা গাড়ী থেকে নেমে বলল যাইন আপনের গাড়ীতে আমি জামু না নজরুল বলল কি অইছে কাকা আপনি চেতলেন কে কি আছে অই কালি ঘাডে? লোকটি বলল আহ বার বার অই অভিসপ্ত জায়গার নাম নিবাইন না লোকটি ভয়ার্ত মুখ করে কন্ঠ খাদে নামিয়ে বলল অই ঘাড নিয়া কথা কইলে মানুষ মইরা যায় অই ঘাডে আদমখোর থাহে সাহেব আদম খোর যোদি অই গেরামে এই ঘাডের জন্য জান তাইলে ভুইলা জান কেউ প্রানে বাছতে পাইবেন না এই কথা সে জেতে জেতে তিন বার বলল নজরুল চিন্তায় পরে গেলো ওর সাথের সবাই ভয় পেয়ে গেলো সবার চখে চিন্তার ছাপ তারা ওখানে গিয়ে কোনো ভুল তো করছে না? সবার মনে এক প্রশ্ন সবাই অই চন্দন পুরের রাস্তার দিকে তাকালো মনে হচ্ছে জোমের বাড়িতে বেরাতে জাচ্ছে। নজরুল কিছু না ভেবে গাড়ী চালাতে বলল তার মনে শুধু তার ভাইকে খোজার কথা তার বাইরে কিছুই না সাথের লোক গুলো অকে খুব ভয় পেতো তাই কিছু বলার সাহস পেলো না। এমন সময় তারা রাস্তাই একটা তেলের পাম্প দেখতে পাই সে বলল তেল ভর গারিতে আমি আম্মার সাথে কথা কই তখন ফোন ছিলো না পাম্পে টেলিফোনের ব্যবস্থা ছিলো তাই সে কল করলো তার গোডাউন এর টেলিফোনে অন্য কেউ না সাহিনাই কলটা ধরলো নজরুল জিজ্ঞেস করলো মাইয়া ডাই কিছু কইলো

সাহিনা : হে কিন্তু এখনো মনে হই অনেক কিছু বলবে পরে তোকে জানাচ্ছি তুই কোনো হোদিস পেলি?

নজরুল : আমি খোঁজ নিয়া জানলাম চন্দনপুর এ কালি ঘাড নামে একটা ঘাড আছে অইডা নিয়া অই মাইয়ার নাকি বড় একটা কাহিনি আছে যা নিয়া সারা দেশে তুলপার চলতাছে

সাহিনা : হে আমাকেউ মেয়েটি অই কালি ঘাটের বিষয়ে বলতে চাইলো কিন্তু মাথা ঘুরিয়ে পোরে গেলো

নজরুল : কি কইন আম্মা কেমনে কি এহন মাইয়া ডার কি অবস্থা

সাহিনা : তোর কারণেই তো হইছে এমন ফুটফুটে মেয়েটারে এতো অত্যাচার করছছ মেয়ে টা মাথা ঘুরাইয়া পইরা গেলো শেষ মেষ

নজরুল : না আম্মা আমরা কিছুই করি নাই আর অই মাইয়ারে আমি কিছু কইতেউ পারি না। মাইয়াডা রাস্তা দিয়া দৌরাইয়া জাইতাছিলো তহন ভাবছিলাম হইতো আমারে দেইখা দৌরাইতাছে পরে মাইয়ারে দৌরাইয়া ধরছি তার পর দেখি আগে থিকাই মাইয়া ডার চেহারার এই অবস্থা।

সাহিনা : কিছু বলার আগেই কল কেটে যায়।

সাহিনা এখন চিন্তিত সে ভাবছে কি এই গ্রামের কাহিনি কি আছে অই কালি ঘাটে আর অই কালি ঘাটের সাথে এই মেয়ের কি কাহিনি আর এই মেয়ের সাথে আমার ছেলেদের কি সম্পর্ক? এমন হাজার প্রশ্ন সাহিনার মাথা নারা দিয়ে উঠছে সে এই সব ভাবতে ভাবতে আবার ঐশ্বর্যের কাছে আসে এসে দেখে মেয়েটা এখনো ঘুমোচ্ছে সাহিনা মেয়েটাকে দেখে ভাবছে কি মায়াবী চেহারা মেয়েটাকে দেখে মনে হচ্ছে ভয়ংকর এক রাত পেরিয়ে

সোনালি এক সূর্য উদিত হচ্ছে সাহিনা মেয়েটার মাথাই হাত বুলাতে লাগলো ঐশ্বর্য কারোর নরম হাতের ছোয়া পেয়ে আম্মা বলে ধিরে ধিরে চোখ খুলল সাহিনা বলল তুমি কি ঠিক আছো ঐশ্বর্য বলল হে ঠিক আছি আরো কিছুক্ষন তারা কথা বললেন তার পর সাহিনা জিজ্ঞেস করলো তুমি তো কালি ঘাটের বিষয়ে কিছু বলতে চেয়েছিলে ঐশ্বর্যের চোখ বেয়ে আবারো কিছু ফোটা পানি পরে গেলো সাহিনা বলল তুমি ঠিক আছো ঐশ্বর্য মাথা নারিয়ে আবার বলতে শুরু করলো, কালি ঘাটের বিষয়ে

.

.

ভুল ত্রুটি ক্ষ্মা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন

পর্ব ৪ জলদি আসবে সবাই পাশে থাকবেন ধন্যবাদ।

Comments

    Please login to post comment. Login