---
শিরোনাম: মেঘমালা এবং রোদ্দুর
পর্ব ১৪: এক অন্ধকারে মেলন
মেঘমালা আর রোদ্দুরের সম্পর্ক ছিল এক ধরনের টান, যা তাদের একে অপরের কাছ থেকে পালানোর সুযোগ দেয়নি। তারা জানতো, তাদের ভালোবাসা কখনোই সোজা পথে চলবে না, তাদের মধ্যে যে গভীর আকর্ষণ ছিল, তা এক অন্ধকার পৃথিবীর দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু তারা নিজেদের ঠেকাতে পারছিল না।
এক রাতে, যখন ঘরটা সুনসান ছিল, রোদ্দুর মেঘমালাকে একাকী দেখতে পেয়ে তার দিকে এগিয়ে গেল। তার চোখে ছিল এক ধরনের অদ্ভুত আলো, যেন সে নিজের ভেতরের অন্ধকারে ডুব দিতে চাচ্ছিল।
"তুই জানিস, মেঘমালা," রোদ্দুর তার কাছে গিয়ে বলল, "আমরা একে অপরকে না চাইলেও নিজেদের মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছি। তোর শরীরের প্রতি আমার আকর্ষণ এতটাই তীব্র, যে মনে হয় যদি তোর কাছ থেকে দূরে চলে যাই, আমি মরে যাব।"
মেঘমালা রোদ্দুরের দিকে তাকিয়ে কিছু সময় চুপ থাকল। তারপর, ধীরে ধীরে বলল, "তুই বলছিস, রোদ্দুর, কিন্তু আমি জানি, এই ভালোবাসা আমাদেরকে শেষ করে দেবে। তবুও, তোর প্রতি আমার অনুভূতি এতটাই তীব্র, যে আমি কিছুই ভাবতে পারি না।"
তাদের মধ্যে সেই অদ্ভুত টান ক্রমশই আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছিল। রোদ্দুর ধীরে ধীরে তার হাত ধরে, মেঘমালার গা ঘেঁষে চলে এল। তার শরীরের প্রতিটি অঙ্গ ভয়ে কাঁপছিল, কিন্তু সে যেন কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছিল।
"আমরা যদি একে অপরকে না পাই, তাহলে আমাদের পৃথিবী শেষ হয়ে যাবে," রোদ্দুর তার কানের কাছে ফিসফিস করে বলল। তার ঠোঁট মেঘমালার গালের কাছে আসছিল, যেন চুম্বনের জন্য অপেক্ষা করছিল।
মেঘমালা রোদ্দুরের ঠোঁটের কাছে তার নিজের ঠোঁট রাখতে গিয়ে বলল, "এটা কি প্রেম, রোদ্দুর? আমরা কি একে অপরকে শুধুই শরীরের জন্য চাই?"
রোদ্দুর তার ঠোঁটে এক চুমু রাখল, যেন তার উত্তর না বলেও সে জানে—তাদের সম্পর্ক শরীরের মধ্যে লুকানো কিন্তু গভীর এক ভালোবাসার সাক্ষী।
তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরল, গভীর এক চুম্বন দিয়ে তাদের মধ্যে অন্ধকারের এক নতুন অধ্যায় শুরু হল। এই চুমু ছিল শুধু এক চুম্বন নয়, এটি ছিল এক স্বীকারোক্তি, এক আবেগের প্রকাশ, যে তারা একে অপরের সঙ্গে এক অন্ধকার দুনিয়ায় হারিয়ে যেতে চায়।
এমন এক সম্পর্ক, যেখানে প্রেমের আবেগ আর অন্ধকার দিক একসঙ্গে মিলিত হয়ে তাদের ভেতর এক অসীম আকর্ষণ সৃষ্টি করেছিল। তারা জানতো, এই পথ কোনো ভালো শেষ নিয়ে আসবে না, তবে তাদের মধ্যে যে গভীরতা ছিল, তা আর কেউ বুঝতে পারবে না।
---