আমি দীর্ঘদিন ধরে এক অনন্ত শূন্যতায় নিমজ্জিত।
মনে হয়, আমার ভেতরের প্রতিটি অংশ ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে।
তোমার চলে যাওয়ার দিনটি যেন সমস্ত সুখ-স্বপ্ন কেড়ে নিয়ে গেল।
আমার অস্তিত্ব এখন আমাকে চিনতে চায় না। এই শূন্যতা কার কাছে বলব?
তোমার স্মৃতির সুবাস এখনো আমার চারপাশে ঘুরে বেড়ায়।
আমি যখনই সেই স্মৃতিগুলো মুছে ফেলার চেষ্টা করি,
আমার অন্তর চিৎকার করে ওঠে,
“তোমার রেখে যাওয়া এই শেষ চিহ্নটুকুও কি কেড়ে নেবে?”
এই চিৎকার আমার ভেতরকে বিদীর্ণ করে।
এই যন্ত্রণা কার কাছে প্রকাশ করব?
আমার ঘরের কোণায় পড়ে থাকা অপ্রকাশিত শব্দগুলো যেন চুপচাপ আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
বইয়ের শেষ পাতায় যে অজানা ভাবনা লুকিয়ে ছিল, তা আজও আমাকে জিজ্ঞেস করে,
"তুমি কি কখনোই এগিয়ে যেতে পারবে?"
আমার বাড়ির দেয়ালে হাসির যে প্রতিধ্বনি একসময় ভেসে আসতো,
আজ তা স্তব্ধ হয়ে গেছে, যেন কোন এক অবিচ্ছিন্ন শূন্যতায় ডুবে রয়েছে।
আমার মায়ের চোখে আজো সেই গভীর শোকের অন্ধকার।
তাঁর বুকে চাপা পড়ে আছে এক অতীত ব্যথা,
যা কোনো সান্ত্বনা দিয়ে ভোলানো যায় না।
এই নিরব কান্নার কথা কার কাছে বলব?
আমার ঘর ভরে গেছে এক নীরব হাহাকারে।
কোণে পড়ে থাকা কবিতাগুলো অসম্পূর্ণ,
গানগুলো থেমে গেছে অর্ধেক পথে।
তারা যেন অপেক্ষা করছে,
আমার ভাঙা হৃদয় থেকে আবার কিছু কথা বেরিয়ে আসবে।
কিন্তু আমি ভয় পাই,
এই অসম্পূর্ণতাগুলো কখনোই পূর্ণতা পাবে না।
তুমি বলে যাওনি,
তোমার চলে যাওয়ার পর এই ভাঙা টুকরোগুলো আমি কীভাবে জোড়া দেব।
তোমার শূন্যতাকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে শিখতে হবে কি করে?
এ প্রশ্ন কার কাছে রাখব?
কার কাছে এই যন্ত্রণার গল্প বলব?
তুমি ছাড়া আর কেউ কি আছে,
যে এই অনুভবের গভীরতা বুঝবে?