Posts

উপন্যাস

ঐশ্বর্য পর্ব ৪

January 18, 2025

Md Kawsar

Original Author নূর-এ-কাউছার

Translated by পর্ব ৪

31
View

ঐশ্বর্য

পর্ব : ৪

.

.

ফ্লেসব্যক ১৯৮৭, sara সারা ঘরে নিরবতার বাতাস বইছে ভুত যেনো ভর দুপুরেই প্রোকোট হলো ঐশ্বর্য আবার জিজ্ঞেস করলো আম্মা বললেন না যে অই কালি ঘাটের রহস্য কি সবাই কেনো এতো ভয় পাই অই ঘাট নিয়ে। শান্তি বলল  আমি নিজেও জানি না আগে খেয়ে নে পরে এই সব কথা ভাবিস ঐশ্বর্য আর সাহস পেলো না দ্বিতীয় বার প্রশ্ন করার তারা এক সাথে খেতে বসে পরলো তখনি কেউ একজন লাঠিতে ভর করে বাসায় প্রোবেস করে বড় করে একটা সালাম দেই সবাই তাকিয়ে দেখে নুরুল রহমান এসেছে ঐশ্বর্যের দাদা। ঐশ্বর্য আর শান্তি তারা তারি মাথাই কাপর দিলো সালামের উত্তর দিলো শান্তি ঐশর্য সালামের উত্তর দেয়ার আগে নুরুল বলে উঠলো দাদু ভাই খাবার সময় সালাম দিতেউ হয় না নিতেউ হয় না ঐশ্বর্য হাসি দিয়ে বলল জ্বী দাদু আপনি কেমন আছেন আমি আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আসলে নুরুল রহমান এতো দিন আল্লাহর রাস্তায় একশোবিশ  দিনের সময় দিতে গিয়ে ছিলেন যাকে আমরা ৩ চিল্লা বা একশোবিশ দিনের জামাত বলি ইউসুফ দৌরে এসে জরিয়ে ধোরলো শান্তি বলল বাবা ভালো আছেন নুরুল বললেন হে বৌমা ভালোই আছি মহান আল্লাহর রহমতে এখনো সুস্থ আছি তা আজ রহমান বাড়ি এতো নিরব কেনো ইউসুফ বলল দাদা আইজ বাড়িতে পুলিশ আইছিল আম্মাই ইচ্ছা মতো ঝারছে কি বলে বৌমা পুলিশ কেনো এসেছিল ঐশ্বর্য বলল দাদু  ঐ কালি ঘাটে নাকি আমাদের ইসমাইল চাচার ছেলেরে মানুষ দেখছিল তাই তারে নিয়া বাজারে বিচার চলছিলো তখনি নাকি অই কালি ঘাটে আরেকটা লোক কে গ্রামের মানুষ দেখতে পাই দুইটা লাশ নিয়ে দারায়া আছে গ্রামের মানুষ অই খানে জাউয়ার আগেই সে নাকি লাশ দুইটা পানিতে ভাসিয়ে দিয়ে পালিয়ে আমাদের বাড়ির এই দিকে আসে গ্রামের মানুষ তাই  দেখেছে তাই পুলিশ ভেবেছে আমাদের বাসায় গা ঢাকা দিয়েছে তাই তারা তল্লাশি দিয়ে গেছে নুরুল রহমান বললেন দাদু ভাইযে বলল বৌমাক ইচ্ছা মতো ঝারছে কেনো তারা কি কিছু বলেছে বললে বলো একএকটার খবর আছে ঐশ্বর্য যেইনা বাকি টুকু বলতে যাবে তখনি শান্তি বলে উঠলো, আরে কই না এমনি, না বলে বাড়িতে ঢুকেছে তাই কিছু কথা শুনিয়েছি তাদের পরবর্তীতে তারা ক্ষমা চেয়েছিলেন। শান্তি আরো বলল ঐশ্বর্য খাওয়া শেষ ঘরে যা আমি পরে এসে তোর সাথে কথা বলতাছি। ঐশ্বর্য মনে মনে ভাবছে আম্মা মিথ্যা কথা বলল কেনো তারা তো দরজায় করা নেরে অনুমতি নিয়েই ঢুকলো সে রুমে এসে বসে রইলো তাদের বাড়ির পিছনের দিকটাই ছিলো সুপারি গাছের বাগান, বাগানের ডান পাশেই ছিলোভ্রম্মপুত্র নদ বিকেল গরিয়ে সন্ধ্যা হচ্ছে সূর্য ঢলে পড়েছে রাতের অন্ধকারে আকাশ টা পরিষ্কার হয়ে গেছে আষাঢ় মাসে যেমনটি হয় কখনো ঘণ কালো অন্ধকার কখনো পরিষ্কার সচ্ছ আকাশ বাড়ির পেছনে বসার আরি পাতা ওখানে বসে ঐশ্বর্য আষাঢ় মাসের সীমাহীন বাদোলের দৃশ্য দেখে আর তার ইচ্ছে হয় সে যোদি অই বাদল গুলো ধরে দেখতে পারতো সে যোদি অই আকাশে বাদলের সাথে উড়ে বেরাতে পারতো এসব ভাবতে ভাবতে হটাত নুরুল রহমান পেছনে কাশি দেয় ঐশ্বর্য মাথায় কাপর দিয়ে সালাম দেয় সালামের উত্তর দিয়ে নুরুল রহমান বললেন কি আষাঢ়েরআকাশ যতো দেখবে তত মুগ্ধ হবে গোলাপি সুন্দরী ঐশ্বর্য হাসলো বলল দাদু এদিকে আসো বসো নুরুল রহমান বসলেন তারা অনেক আলাপ আলোচনা করলো তার পর ঐশ্বর্য জিজ্ঞেস করলো আচ্ছা দাদু তুমি কি কালি ঘাটের বিষয় কিছু বলতে পারবা? আমার খুব ইচ্ছে করে অই জায়গার বিষয়ে জানতে সবাই তো ঐইখানের নাম শুনলেই ভয় পাই। আচ্ছা ওখানে কি সত্যি ভুত আছে নুরুল রহমান বললেন দেখো গোলাপি সুন্দরী সবার দেখার আলাদা আলাদা নজর আছে, নুরুল রহমান আর ঐশ্বর্য এভাবে একান্ত ভাবে কথা বার্তা বলার সময় নুরুল রহমান  ঐশ্বর্যকে গোলাপি সুন্দরী বলে ডাকে। তিনি আরো বলল কেউ ভুত বিশ্বাস করে ভুত দেখে কেউ মানুষ বিশ্বাস করে মানুষ দেখে কিন্তু দাদু ভাই একটা কথা মাথাই রাখবা যা রটে তা কিছু টা হলেও ঘটে ঐশ্বর্য বুঝতে পারে কিছু তো একটা ঘটেই নইলে তার দাদু এইভাবে বলতেন না কারণ তিনি ভুতে বিশ্বাস করেন না তিনি খুব শক্ত মনের মানুষ নুরুল রহমান বললেন গোলাপি সুন্দরী কি ভাবছেন এই সন্ধ্যা সময় আপনি এখানে চুল খুলে দারিয়ে কেনো সন্ধ্যা সময় মেয়েদের এভাবে চুল খুলে বাইরে বের হউয়া উচিত নয় তাতে অনেক অপশক্তি নজর দেয় আর আপনি তো সুন্দরী দের সেরা আপনাকে দেখলে জিন জাতির সকলেই পিছে পরে যাবে কথাটি মস্করা ভেবে ঐশ্বর্য হেসে উরিয়ে দিলেও নুরুল রহমান কথাটি মোটেও মজা করে বলে নি তিনি সুপারি বাগানে কাউকে তো দেখেছে যে ঐশ্বর্যের উপর অনেক সময় ধরে নজর রাখছে নুরুল রহমান কন্ঠ কঠোর করে বললেন শোনো তুমি কাল থেকে বিকেল বেলাই পিছনের উঠোনে আসবে না  ঐশ্বর্য অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো কেনো দাদু নুরুল রহমান বলে উঠলো আহ আমি আর কুনু কথা হুনবার চাই না এইডা আমার কঠোর আদেশ এর বাইরে জাবা না বলে দিলাম ঐশ্বর্য। ঐশ্বর্য ভয় পেয়ে যায় এবং ভিতরে চলে আসে ও ভাবতে লাগলো হটাত কি এমন হলো দাদু সেই পুরোনো দিনের মতো গোর্জে উঠলেন ঐশ্বর্যের এখনো মনে আছে এক সময় নুরুল রহমান তার মায়ের সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করতো তখন রবি তার বাবা দেশের কাজে বেস্তো ছিলো তখন ঐশ্বর্য অনেক ছোটো তাই তেমন কিছু মনে নেই তার মাকে জিজ্ঞেস করলেউ বলতো না এক সময় জিজ্ঞেস করর কথা ভুলে যায় কিন্তু আজ তার খুব মোন চাইছে সে তার মাকে জিজ্ঞেস করবে দাদু কেনো এমন করতো আজি এমন করলেন কেনো এইসব ভাবতে ভাবেতই রাত হয়ে জায় এক সময় তারা খাউয়া দাউয়া শেষ করে শুয়ে পরে মাঝ রাতে কেউ ঐশ্বর্যের ঘরের জানালায় টোকা দেয় ঐশ্বর্যের ঘুম ভেঙ্গে যায় প্রোথমে ভাবে তার মনের ভুল এর পর আরো কয়েকবার টোকার শব্দ শুনতে পায় সে তাই সে ভয় না পেয়ে ধিরে ধিরে জানালা খুলল জানালা খুলে সে যা দেখতে পেলো তা দেখার জন্য কিছুতেই সে প্রোস্তুত ছিলো না।

.

.

ভুল ত্রুটি ক্ষ্মা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন

পর্ব ৫ জলদি আসবে সবাই পাশে থাকবেন ধন্যবাদ

Comments

    Please login to post comment. Login