নিশ্চয়ই, এখানে একটি ভয়ঙ্কর ভুতের গল্প দিচ্ছি।
রহস্যময় বনভূমি
গ্রামের ঠিক পাশে এক গভীর বন ছিল, যার নাম কালাপাহাড় বন। এই বনের ইতিহাস অনেক পুরনো। মানুষ বলে, কেউ একবার সেই বনে ঢুকলে আর ফিরে আসে না।
একবার গ্রামের কয়েকজন যুবক, অমিত, রাজীব, এবং সুমন, সিদ্ধান্ত নেয় তারা এই বনে গিয়ে রহস্যের সমাধান করবে। রাতের বেলায় তারা তিনজন একটি মশাল আর কিছু খাবার নিয়ে বনে ঢুকে পড়ে। বনের ভেতরে ঢুকতেই চারপাশের গাছগুলো যেন বেঁকে আসছিল। বাতাসে এক অদ্ভুত গন্ধ আর কানে কানে ফিসফিসানি শোনা যাচ্ছিল।
বনের গভীরে গিয়ে তারা দেখতে পায় একটা পুরনো ভাঙা মন্দির। মন্দিরের দরজা নিজে থেকেই খুলে যায়, যেন কারও আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। ভেতরে ঢুকে তারা দেখতে পায় এক অদ্ভুত কালো পাথরের মূর্তি। মূর্তির চোখ যেন লাল হয়ে জ্বলছিল।
হঠাৎ করেই দরজাটা বন্ধ হয়ে যায়। চারপাশে নেমে আসে গা ছমছমে নীরবতা। সুমন আতঙ্কে চিৎকার দিয়ে ওঠে, কারণ তার পায়ের কাছে একটা অদ্ভুত হাত দেখা যায়। সেই হাতটা ধীরে ধীরে তাকে টেনে নিতে শুরু করে। রাজীব আর অমিত এগিয়ে আসার আগেই সুমন অদৃশ্য হয়ে যায়।
অমিত আর রাজীব ভয় পেয়ে মন্দিরের দরজা ঠেলে বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু দরজা নড়ছিল না। মন্দিরের ভেতরে তখন এক নারীর হাসির শব্দ শোনা যায়। হঠাৎ তারা দেখতে পায় এক সাদা পোশাক পরা মহিলার ছায়া। সে ধীরে ধীরে তাদের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। তার চোখে কোনও মায়া ছিল না, বরং ছিল এক ভয়ঙ্কর রাগ।
রাজীব হঠাৎ চিৎকার করে ওঠে, "আমাদের ছেড়ে দাও! আমরা কোনও ক্ষতি করতে আসিনি।"
মহিলার ছায়া বলল, "যারা এই মন্দিরে প্রবেশ করে, তাদের ফিরে যাওয়ার অধিকার নেই।"
এরপর যা হলো তা গ্রামের কেউ জানে না। পরের দিন সকালে, গ্রামবাসী শুধু বনের ধারে তাদের রক্তমাখা পোশাক খুঁজে পায়। তিনজনের আর কোনও খোঁজ মেলেনি।
গল্পটি কেমন লাগল? যদি আরও এমন ভৌতিক গল্প চান, জানাবেন!