পোস্টস

নিউজ

ইলন মাস্কের জীবনী ‘ইলন মাস্ক’ আসছে সেপ্টেম্বরে

৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিউজ ফ্যাক্টরি

বর্তমান বিশ্বের সেরা দশজন ধনী ব্যক্তিদের তালিকার শীর্ষে আছেন ইলন মাস্ক। তার জীবন কাহিনী, তার সফলতা নিয়ে এর আগেও বেশ কয়েকটি জীবনী প্রকাশিত হয়েছে। সর্বশেষ মার্কিন লেখক এবং সাংবাদিক ওয়াল্টার আইজ্যাকসন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এবং খামখেয়ালি এই ব্যক্তিকে নিয়ে লিখেছেন নতুন আরেকটি জীবনী। বইটি চলতি মাসেই প্রকাশিত হবে।

প্রকাশনা সংস্থা সাইমন অ্যান্ড শুস্টার জানিয়েছে, ওয়াল্টার আইজ্যাকসনের লেখা এই জীবনীগ্রন্থটির  নাম রাখা হয়েছে ‘ইলন মাস্ক’। এটি  ১২ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হবে। 

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে পরিচিত জীবনীকারদের একজন ওয়াল্টার আইজ্যাকসন। লিওনার্দো দা ভিঞ্চি, বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন, আইনস্টাইন, স্টিভ জবস, কিসিঞ্জারের মত বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনী লিখেছেন তিনি। আর এই বইগুলো বেস্টসেলারের তালিকায়ও ছিল।   

সম্প্রতি মার্কিন পত্রিকা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে ইলন মাস্ক বইয়ের কিছু অংশ প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, ওক কালচারের প্রতি মাস্কের তীব্র বিতৃষ্ণা রয়েছে। তার ছেলে জেভিয়ার আলেকজান্ডার মাস্ক ১৬ বছর বয়সে নিজেকে ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে দাবি করে। সে নিজের নাম পরিবর্তন করে রাখে ভিভিয়ান জেনা উইলসন। এই ঘটনার পর থেকেই মাস্ক ওক কালচার বিরোধী হয়ে উঠেন।    

প্রসঙ্গত, ওক হল আফ্রিকান-আমেরিকান ভার্নাকুলার ইংলিশ থেকে প্রাপ্ত একটি বিশেষণ যার অর্থ জাতিগত কুসংস্কার এবং বৈষম্যের প্রতি সতর্ক থাকা। ২০১০ এর দশকের শুরুতে এটি যৌনতা এবং এলজিবিটি অধিকারের মতো সামাজিক বৈষম্য সম্পর্কে বৃহত্তর সচেতনতা বুঝাতে ব্যবহৃত হয়। ২০২০ সালের দিকে পশ্চিমা কয়েকটি দেশে ডানপন্থী রাজনীতিবিদরা ব্যঙ্গাত্মকভাবে এই শব্দটিকে বিভিন্ন বামপন্থী এবং প্রগতিশীল আন্দোলন এবং মতাদর্শের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে শুরু করেন।   

এদিকে আইজ্যাকসন লিখেছেন, মাস্ক বিশ্বাস করেন, দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ক্রসরোডস স্কুল তার ছেলের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে ভুমিকা রেখেছিল। এই স্কুলেই সে পড়ালেখা করেছিল। তার ধারণা মার্কিন স্কুলগুলো শিক্ষার্থীদের ওক কালচারের মত বিষয়ে শিক্ষা দিচ্ছে। 

সূত্র: কিরকাস