Posts

উপন্যাস

ঐশ্বর্য পর্ব ৫

January 19, 2025

Md Kawsar

Original Author নূর-এ-কাউছার

Translated by পর্ব ৫

45
View

ঐশ্বর্য

পর্ব ৫

.

.

চারি দিকে ঝি ঝি পুকার ডাক তিব্রো হচ্ছে ধিরে ধিরে চাঁদ মেঘের আরালে লুকোচ্ছে যেনো চাঁদেরও এই দৃষ্য দেখে ভয় লাগছে ঐশ্বর্য জানালা খুলে দেখতে পেলো রহমান বাড়ির প্রোধান দরোজাই কেউ হাতে হারিকেন নিয়ে দারিয়ে আছে আরেক হাতে রাম দা সে হারিকেনের আপ্ছা আলোতেউ দেখতে পেলো যতোটুকু বুঝতে পারলো এটি আর কেউ নয় এটি তার দাদু ঐশ্বর্য সাহস নিয়ে এক ঝটকায় জানালাটা লাগিয়ে দিয়ে

জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে থাকে জেনো তার হাপানোর রোগ আছে এক সময় ঐশ্বর্য আর কিছু করার সাহস পেলো না সে তার সোয়ার জায়গাই গিয়ে সুয়ে পরলো সারা রাত ভয়ে ঘুমাতে পারেনি সে হটাত কাক ডাকা ভোরে সে খেয়াল কোরলো সে নামাজ পরতে পারেনি তার খুব খারাপ লাগে। যখনি তার গতকাল রাতের কথা মনে পরলো সে চিন্তায় পরে যায় ভাবতে থাকে কি কারণ হতে পারে দাদু আমার কেনো জানালাই টোকা দিলো আর কিবা কারনে সে রাম দা নিয়ে দারিয়ে ছিলো সে কি আমাকে মারতে চাই এটা ভাবতেই তার মায়ের কথা মনে পরলো তার মা বলেছিলো একটা সময় ছিলো যখন তার দাদু তাকে পছন্দ করতো না এইসব ভাবতে ভাবতে ঐশ্বর্য পিছনের উঠোনের বারান্দায় এসে দারায়। সূর্য তার নিজ জায়গাইয় আসার প্রোস্তুতি নিচ্ছে সুপারি গাছ গুলো শান্ত হয়ে আছে যেনো তারা জাদু ঘরের নিদর্শন ঐশ্বর্য একবার নদীর দিকে তাকালো তার মনে হয় কিছু একটা আছে নদীর ধারে যা তাকে বার বার আর্কশন করে ঐশ্বর্য প্রকৃতির সুন্দর্যের মাঝে দারালে মনে হয় প্রকৃতি তার পূর্নতা পেলো আকাশ টা ধিরে ধিরে রং পরিবর্তন করছে সূর্য উঠার আগেই যেন ডুবে গেলো বাতাসের গতি বারছে  ঐশ্বর্যের ভেতর থেকে একটি ধির্ঘশাস বেরিয়ে এলো তার মনে ভিশন রকমের এক কষ্ট দুই বছর আগে যা ঘটেছে তা নিয়ে। সে আবেগের বসে মাথা থেকে কাপরটা নামিয়ে ঘারে ফেলে দেয় আকাশটা একদম অন্ধকার হয়ে গেলো বাতাশের সাথে চারিদিকে গাছের সাথে লেগে আসা শা শা শব্দ মিষ্টি একটা ঘ্রাণ সব কিছু মিলিয়ে প্রকৃতি যেন ঐশ্বর্যের অপেক্ষাই করছিলো ঐশ্বর্য প্রকৃতিতে নিজের খোলা চুল এবং গা এলিয়ে দিলো চোখ বন্ধ করে উপরের দিকে মুখ করে আছে ঐশ্বর্য হাল্কা সবুজ রঙের  থ্রি পিছ সাদা রঙের ওরনা গলায় দিয়ে দারিয়ে আছে তার সুন্দর্যের সাক্ষি হয়ে রইলো এই প্রকৃতি কিন্তু আজ ঐশ্বর্যেরও মনে হচ্ছে কেউ তাকে বাগানের ভিতর থেকে পর্জব্যক্ষন করছে বেশি কিছু ভেবে উঠার আগেই সে খেয়াল করে বা দিক থেকে আসা নদীর সরু রাস্তা দিয়ে কেউ দৌরে আসছে ঐশ্বর্যের খেয়ালি নেই গুরি গুরি বৃষ্টি শুরু হয়েছে ঐশ্বর্য বুঝতে পারছিলো না কি করবে লোকটি কি বিপদে আছে? আমার কি তাকে সাহায্য করা উচিত না ভিতরে চলে জাউয়া উচিত? লোকটি একদম কাছে আসায় বোঝা যায় সে এস.পি আকাশ আকাশ এতোক্ষণ ঐশ্বর্যের সুন্দর্য উপভোগ করছিলো দূর থেকে। সে এতো টাই মগ্ন হয়ে যায় বৃষ্টি শুরু হচ্ছে তার কোনো খেয়ালই নেই ঐশ্বর্য সাথে সাথে মাথাই কাপর দিয়ে লম্বা একটা ঘুমটা টেনে নেই আকাশ দৌড়ে এসে তাদের বারান্দায় দাঁড়ায় ঐশ্বর্য চমকে যায় সে বুঝতে পারে না সে কি করবে তাই ঘুরে ভেতরে আসতে নেই তখনি আকাশ বলল শোনেন আমাকে একটু সাহায্য করুন আমি ভিজে গেছি ঐশ্বর্য কিছু না বলে ভেতরে চলে আসে আকাশ একটু জোরেই বলল, যাহ বাবা না কিনবা হে কিছুই তো বলল না একটু বসার জন্য একটা চেয়ারি দিতেন কথা গুলো একটু জোরেই বলে আকাশ ঐশ্বর্য এক হাতে একটা গামছা আরেক হাতে একটা চেয়ার দরজার ফাক দিয়ে দিয়ে যায় ঐশ্বর্য খেয়ালি করেনি এতো সকালে ঐ নদীর ধারে কি করছিলেন আকাশ এটা তার পরবর্তী তে মনে হয় যখন সে ঘরে চলে আসে তাই সে আবার যায় জিজ্ঞেস করতে অন্যদিকে আকাশ সেই সবুজ প্রাকৃতির মাঝে এক সবুজ পরিকে দেখে তার  কথায় ভাবছে ঐশ্বর্য দরজা টেনে চাপিয়ে দিয়ে পেছন থেকে ডাক দেই শুনছেন আকাশ কল্পনার জগৎ থেকে বের হয়ে জিজ্ঞেস করলো কে? অপর দিক থেকে উত্তর এলো আমি ঐশ্বর্য আকাশের গায়ের লোম দারিয়ে গেলো সে জিজ্ঞেস করলো আপনিই কি সবুজ পরি?

ঐশ্বর্য : জি কি বললেন?

আকাশ : (আকাশ নিজের মাথায় একটা চর দিয়ে বলল) আপনিই কি সে যাকে কালকে দেখেছি ও আজকে আমাকে গামছা চেয়ার দিলো?

ঐশ্বর্য : হুমমম

আকাশ : আপনার গলার কন্ঠ তো ভারি মিষ্টি।

এবার ঐশ্বর্য হাসি দিয়ে বলল জি ধন্যবাদ কিন্তু আমার কাছে সবার কন্ঠই সুন্দর আকাশ বলল হেএএএ তা ঠিক কিন্তু আপনার টা একটু বেশিই সুন্দর ঐশ্বর্য বলল আচ্ছা আপনি এতো সকালে নদীর ধারে কি করছিলেন আকাশ বলল আমার আজকের ডিউটি ছিলো নদীর কাছে আমি কাল রাত থেকেই এখানে কালি ঘাটে ডিউটি ছিলো কিন্তু গ্রামের মানুষ ওখানে যেতে দেই না তাই তার বাইরেই দারিয়ে ছিলাম মাঝ রাতে একটা ঘটনা সুত্রে এদিকে আসা হয়েছে এটা বলে আকাশ থামলো ঐশ্বর্যেরও কাল রাতের কথা মনে পরে গেলো তাই সে জিজ্ঞেস করলো কি ঘটনা আকাশ বলল তা কিছু না আপনি এই সব ভাইবেন না ঐশ্বর্য এক প্রোকার জোর করতে থাকে কারন তাকে যে জানতেই হবে এই গ্রামে আসলে কি ঘোটছে কেনোই বা তার বাড়ির পেছনে এতো আস্তে বারন করলো তার দাদু এক সময় এতো জোরা জোরিতে আকাশ বলল আচ্ছা ঠিক আছে আপনি বিকেলে আমার সাথে এখানে আবার দেখা করেন তখন সময় নিয়ে আপনাকে বলবো ঐশ্বর্য বলল এখন বলেন না আম্মাই জানলে আমাকে বকা দিবে আকাশ বলেন আচ্ছা তাহলে শোনেন,

.

.

ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন  

পর্ব ৬ জলদি আসবে সবাই পাশে থাকবেন ধন্যবাদ

Comments

    Please login to post comment. Login