ঐশ্বর্য
পর্ব ৬
ঐশ্বর্যের এতো জোরা জোরিতে আকাশ বলল শোনেন তাহলে ঐশ্বর্য বলল তারা তারি বলেন আম্মাই চলে আসবে। আকাশ বলতে লাগলো কাল রাতে আমি যখন আমার টিম নিয়ে কালি ঘাটের দিকে যাচ্ছিলাম তখন গ্রামের মানুষ বাধা দেয় লতিফ মিয়া নামের একটি বৃদ্ধ ভুতুড়ে কন্ঠে ঠোটে বাকা হাসি এবং এক ধরনের বিরক্তি কর কথা বলার ভংগি নিয়ে বলল তোরা কি মরবার চাস যাহ যা যা যা এহান থিকা দূরে যা তোগর লিগা গেরামে বিপদ আইতে পারে যাহ, এটা বলেই লোকটা চেচানো শুরু করে দেয় গ্রামের মানুষ সবই এই দিকেই চলে আসে তার পর তারা আর আমাদেরকে কালি ঘাটে যেতে দেয় না তার পর আমরা নদীর সোজা হাটতে হাটতে এই দিকে চলে আসি। এখান থেকে কালি ঘাট দেখা যায় আমরা অনেক রাত পরযন্ত অপেক্ষা করি তেমন কিছুই দেখি না হটাত মনে হলো সুপারি বাগান থেকে কেউ এই দিকে আসছে সুকনো পাতার খস খস আউয়াজ আসছিলো মনে হলো কেউ ইচ্ছে করে এমন শব্দ করে আসছিলো তাই আমরা লুকিয়ে পরি এক সময় দেখতে পারি কেউ একজন কালো চাদর মুরিয়ে এদিকে আসছে সে কোনো ভাবে আমাদের উপস্তিতির টের পায় তাই সে কোনো কথা না ভেবে আপনাদের বাড়ির দিকে দৌরে চলে আসে আমরা দেখার জন্য এই দিকে আসি তখন আপনাদের বাড়ির সামনে দারাই তখনি একজন বয়স্ক লোক আমাদের বাড়ির ভেতর থেকে ডাক দেয়। ঐশ্বর্য বুঝতে পারে এটি তার দাদু, লোকটি আমাদের ডাক দেয় শোনেন আমরা দেখতে পেলাম লোকটির হাতে একটি রাম দা, তখন তার উপরে সন্দেহ যায় কিন্তু আমারা খেয়াল করি লোকটি পাঞ্জাবি পায়জামা পরা আমরা জাকে বাগান থেকে বের হতে দেখি সে এক জোরা নাগরা জুতো আর জিন্স পেন্ট পরে ছিলো। চাদের আলো এবং তার হাতের মসালের আলোতে জতো টুকু দেখা গেছে আরকি তাই আমি মনে মনে বললাম এটা আমার ভুল ধারোনা, লোকটি বলে উঠলো এই দিকে কি আর আমার ঘরে মেয়ে মানুষ থাকে গ্রামের সবাই জানে আপনার কি তা জানা নেই। আমরা পুরো ঘটনা তাকে খুলে বলি। আ..আসলে হঅছে কি আমাদের ডিউটি ছিলো নদীর ধারে একজন কে দেখতে পাই তার উপর সন্দেহ হয় এতো রাতে মানুষ নদীর ধারে কি করবে তাই তার পিছু পিছু আমরা এই দিকে চলে আসি তার পর তিনি বললেন, আচ্ছা তাই বলেন এইদিকে আর আইসেন না আপনি তো মনে হয় নতুন এসেছে। আমি বললাম জি, আমি কিছু দিন আগেই ট্রান্সফার হয়ে এসেছি। ওওও আচ্ছা শোনেন এই দিকে আর আসবেন না এই জায়গাটা ভালো না, আর আমি বাড়ির চার পাশ টা দেখে আপনাকে জানাচ্ছি কাল আপনি চলে জান আর নদীর ধারে এতো রাতে ডিউটি নিয়েন না আপনারি বিপদ হবে।
এটাবলে তিনি সদর দরজার ঐদিকে চলে যায় কেউ আছে নাকি দেখতে। আমরাও কিছুক্ষণ খুজা খুজি করে ডিউটি তে ফিরে জাই। ঐশ্বর্য বুঝতে পারে তাহলে তার দাদু জানালায় টোকা দেয় নি তাহলে কে ছিলো? ঐটা কি তাহলে এস.পি আকাশ ছিলেন? তিনি তো বলছে চলে গিয়ে ছিলেন। তাকে একবার জিজ্ঞেস করি। এটা ভেবে জিজ্ঞেস করতে যাবে তখনি শান্তি এসে হাজির বলল তুই দরজার ফাক দিয়ে উকি দিয়ে কি দেখছিস? ঐশ্বর্য ভয়ে গুটি শুটি খেয়ে যায় মনে মনে ভাবতে থাকে এবার কি হবে উনি তো বাইরেই দারিয়ে আছেন। শান্তি বুঝতে পারে কিছু তো একটা হয়েছে তাই সে কিছু না বলে এক ঝটকায় দরজা খুলে ফেলে দেখতে পেলো কেউ নেই তাই একবার আর চোখে ঐশ্বর্যের দিকে তাকালো বলল কে ছিলো এখানে? ঐশ্বর্য আতকে উঠলো ভাবলো ভাবলো আম্মা কি করে বুঝলো এখানে কেউ ছিলো। শান্তি ধমকের শুরে বললেন কি বলছি উত্তর দে কেউ এসেছিলো? ঐশ্বর্য চমকে উঠে মাথা নিচু করে মাথা নারে বলল হে। শান্তি বুঝতে পারে মেয়েটি ভয় পেয়েছে তাই মাথায় হাত রেখে বলে কে ছিলো? ঐশ্বর্য পুরো ঘটনা বলল। তার পর তিনি বললেন কি বলছিস এই সব ঐ দারোগার সাথে পরে কথা বলবো এখন বাবার সাথে কথা বলে নেই তুই ঘরে যা। ঐশ্বর্য ঘরে চলে এলো। কিছুক্ষণ পর শান্তি আর নুরুল রহমান ঐশ্বর্যের ঘরে এলেন। ঐশ্বর্য মাথাই কাপর দিয়ে দারিয়ে গেলো নুরুল রহমান বললেন দেখো দাদু ভাই আমি কালকেই বলেছিলাম বদ নজর সুন্দরি দের পিছু ছারে না আমিও কাল রাতে টোকার শব্দ শুনতে পাই তাই বেরিয়ে দেখি ঐ নতুন এস.পি কে কিন্তু আমি ভেবেছি সে বাড়ির পেছনের দরজায় কেনো টোকা দিবে সামনে দিয়ে আসলে কি হয় তাই তাদের সাথে কথা বলার ফলে বুঝতে পারি নদীর ধার থেকে যেই আসুক সে কোনো খারাপ মতলব নিয়েই এসেছে তাই তাদের বিদায় দিতে আমি হারিকেন টা জালিয়ে সদর দরজায় গিয়ে দারিয়ে ছিলাম। এটা বলে থামেন এবার শান্তি বললেন, এটার কোনো হাল বের করতে হবে। নুরুল রহমান বললেন তুমাদের কিছুই করতে হবে না দাদু ভাই তুমি আর ইউসুফ ইস্কুলে জাউ আসার সময় লোক পাঠিয়ে দিবো বাকিটা আমি দেখছি ২ দিন সময় দাউ আমার গোলাপি সুন্দরীর উপর কেউ নজর দিলে তার চোখ উপরে ফেলবো। কথাটা কিছুটা মশকরা কিছুটা রাগ আর একটা ভয়ংকর সান্ত হাসি দিয়ে বললেন। শান্তি চুপ করে আছেন মনে হচ্ছে তিনি বিশ্বাসের সম্মধন জানাচ্ছে দুইজনি চলে গেলেন ঘর থেকে শান্তি বলে গেলেন খেতে আই খেয়ে স্কুলে জাবি। তারা স্কুলের জন্য বের হয় তখনকার দিনে ঘড়ি যাদের বাসায় ছিলো তারাই সময়ের হিসাব পেতো ঐশ্বর্য দের বাসায় বৃটিশ কালের একটি পুরোনো ঘড়ি ছিলো যা নুরুল রহমান এর বাবা বৃটিশ সরকারের কাছ থেকে পেয়েছিলেন তাই তারা সময়ের নিয়মে চলতে পারতো। সামনে ঈদুল আজহা কোরবানি ঈদের হাট জম জমাট গ্রামের এক মাত্র একটি পাকা রাস্তা জার এক পাশে সবুজ মাঠ আরেক পাশে একটি বিশাল বড় দিঘি ঐশ্বর্য আর ইউসুফ ঐ রাস্তা দিয়ে হেটে জাচ্ছে স্কুলের দিকে তাদের স্কুল বারি থেকে আরাই কিলোমিটার দূরে তাই তারা একটু সকাল সকাল বাসা থেকে বের হোতো। রাস্তার ডান পাশের মাঠে হাট বসেছে বেস্তো পায়ের নিরবতা ভেঙ্গে ইউসুফ বলল আপা কি চিন্তা করো ঐশ্বর্য বলল কিছুই না। আবার কিছুক্ষণ পর ঐশ্বর্য বলল ইউসুফ তুই কি ঐ কালি ঘাটের রাস্তা চিনিস? ইউসুফ ব্রু কচকালো আর বলল কেন আপা তুমি কি অইহানে জাবা? ঐশ্বর্য বলল না দূর থেকে দেখেই চলে আসবো। আমি তো চিনি কিন্তু অইহানে জাউন জাইতো না অইনে অনেক গুলা ভুত থাহে। ঐশ্বর্য ইউসুফ এর এমন করে কথা বলা শুনে হেসে দেয় আর বলে বেশি কথা বলিশ তুই আর তকে না বলছি সুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে।ইউসুফ বলল আচ্ছা। তারা স্কুলে চলে আসে দুই জন দুজনের ক্লাসে চলে যায় আজ ক্লাসে শুধু হুমাইরা এসেছে।
.
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন
পর্ব ৭ জলদি আসবে