আজ পহেলা বৈশাখ। সকাল থেকেই সিমু খুব চিন্তিত যে, সে কার কাছে শাড়ি পড়বে,,,?সিমু ভার্সিটির হলে থাকে, অনেকেই নিজেরা শাড়ি পরতে পারলেও সিমু পারে না। কিছুক্ষণ ভেবে মীম আপুর রুমের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, হঠাৎ করে রুম থেকে মীম আপু বের হলেন, কিরে শাড়ি পরবি? মিম আপু হেসে জিজ্ঞেস করলেন,,, সিমু মিষ্টি হেসে বলল জ্বি আপু,,,,।
শাড়িতে সিমুকে একদম পরীর মত লাগছে। সে হলের গেটে দাঁড়িয়ে আছে তার ক্লাস ফ্রেন্ড রনকের জন্য। ছেলেটা সবসময় অনিয়ম করে, আজকেও লেট। আজ আসুক আচ্ছা করে বকে দিবে সিমু,,, ছেলেটার দিকে তাকালেই ওর মায়া লাগে, কিছুই বলতে পারে না। ওর হাসিটা বড্ড মায়াবী। রনক আসছে দেখে সিমু অন্য দিকে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ মাথায় একটা টোকা,, ওই.....।
সিমু রনককে দেখেই,, আজ অন্তত একটু আগে আসতে পারতিস বলেই হেসে দেয় সিমু। দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে । সিমুকে আজ এত সুন্দর লাগছে রনক দৃষ্টি ফেরাতে পারছে না। সিমু বলে ওঠে চল যাবিনা? রনক,,হুম চল।
যেতেই দেখলো কেয়া রাস্তায় দাঁড়িয়ে। কেমন আছো কেয়া? রনক বলে। কেয়া রনককে দেখে অনেক খুশি হয়,, আরে রনক তুমি। চলো আজ তোমার সাথেই ঘুরব। রনক বলে চলো যাওয়া যাক। সিমুর মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল।মেয়েটা আজ হয়তো মনের কথাটা বলতে চেয়েছিল কিন্তু পারলনা। সারাদিন ঘুরে ফিরে রনক হল গেটে সিমুকে রাখতে এসেছে। সিমু ঢুকতে যাবে তখন বলে ওঠে “সিমু অনেক ভালবাসি তোকে ” সিমু তাকিয়ে দেখে রনকের হাতে একটা লাল গোলাপ। সিমু এত খুশি হয়েছে আর কিছু বলতেই পারছে না। সিমুর চোখে পানি চলে এসেছে। সে আজ খুশিতে আত্মহারা।.....