দেশের ডাক

দেশপ্রেমের ডাকে সাড়া দিয়ে
অনিক সবেমাত্র ম্যাট্রিক পাস করেছে। সারাটা বছর পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকার পর সে একটু বিরতি নিতে চাইছিল। কিন্তু ভাগ্য সঙ্গী হলো না। ঠিক আনন
অনিকের বাবা-মা দেশপ্রেমদেশের প্রতি ভালোবাসা পুষে বড় হয়েছিল। যুদ্ধ শুরু হওয়ার খবর পেয়ে অনিকের মনে একটা অন্যরকম উত্তেজনা কাজ করছিল। সে দেশের সেবা করতে চাইছিল। কিন্তু তার বাবা-মা তার এই ইচ্ছায় একদমই রাজি হলেন না। তাঁরা অনিককে বুঝিয়ে বললেন, সে এখনো ছোট, যুদ্ধের মতো কঠিন পরিস্থিতিতে তার কিছু করার নেই।
অনিকের মনে অনেক কষ্ট হলো। সে একদিকে দেশের সেবা করতে চাইছিল, আবার অন্যদিকে বাবা-মার ভালোবাসা থেকে দূরে যেতে চাইছিল না। রাতে অনিক একা একা বসে অনেক ভাবনা চিন্তা করলো। শেষ পর্যন্ত সে একটা সিদ্ধান্ত নিল। সে বাড়ি থেকে চলে যাবে।
এক রাতে অনিক বাড়ি থেকে চুপচাপ বের হয়ে গেল। সে সরাসরি গেল একটি গেরিলা বাহিনীর ঘাঁটিতে। সেখানে সে তার পরিচয় গোপন করে একজন সৈনিক হিসেবে যোগ দিল।
তিন মাস ধরে অনিক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলো। সে অনেক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গেল। কিন্তু সে তার দেশের জন্য সবকিছু করতে প্রস্তুত ছিল। অনিকের বীরত্বের কথা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লো।
যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর অনিক তার বাড়িতে ফিরে গেল। তার বাবা-মা তাকে দেখে খুব খুশি হলো। অনিক তাদের বুঝিয়ে বললো, সে কেন বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল। তার বাবা-মা অনিকের সাহসিকতায় গর্বিত হলো।