part 4
সন্ধ্যা ৭ টা। আনায়া মাত্রই পড়তে বসেছে তার রুমে। কিন্ত পড়ায় মন বসছে না। বার বার মনে পড়ছে কারানের বলা কথাগুলো। আনায়া স্ট্রং পারসোনালিটির মেয়ে। কিন্ত কারানের সামনে সে যেন নেতিয়ে পড়ে। জানে না এমন কেন হয়। এসব ভাবতে ভাবতেই আনায়ার মুখ তেঁতো হয়ে গেল। কারান মির্জা নামটা তার জীবনের বিষের মতো। আনায়া ভাবতে লাগলো সেদিনের কথা যেদিন কারানের সাথে তার দীর্ঘ অনেকদিন পরে দেখা হয়েছিল।
flashback…
(আনায়ার মাথা গরম হয়ে আছে। চোখ মুখ লাল হয়ে আছে। তার ক্লাসেরই একটি ছেলে আরশাদ তাকে কিছুদিন যাবত ডিসর্টাব করছিল। আনায়া জেনে বুঝে এড়িয়ে গেছে। সে এসবে পড়তে চায় না। কিন্তু সেদিন আরশাদ তার হাত ধরেছিল বিধায় তার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সে কিছু না বলেই বেড়িয়ে এসেছিল। রাস্তায় সে বিড়বিড় করতে করতে হাঁটছিল। হঠাৎ চোখের সামনে কালো কালার একটি কার দেখে মাথায় কু বুদ্ধি হানা দিলো। ব্যাগ থেকে নিজের ডার্ক রেড লিপস্টিক বের করে গাড়ির কাচটায় একটা টান দেয়। ভেবেছিল কেউ দেখবে না। দুপুর ছিল বিধায় রাস্তায় মানুষও কম ছিল। কিন্তু হঠাৎই পিছন থেকে কেউ বলে উঠলো, কি করছেন আপনি?)flashback end.
আনায়ার ভাবনার মাঝে হঠাৎ ডোর বেল বেজে উঠে। সে কিছুক্ষণ ওভাবেই বসে থাকে। দ্বিতীয়বার বেল বাজতেই আনায়া উঠে দাঁড়ালো। তার মা মনে হয় রুমে থেকে শুনতে পায় নি। আনায়া দরজা খুলে অবাক হয়ে দুকদম পিছিয়ে যায়।
অপরদিকে,
মির্জা বাড়ি। কোমল ড্রয়িং রুমের সোফায় বসে আছে। সে ভাবছে কারান কোথায় গেল? এইসময় কারান বাড়িতেই থাকে। সে এইসময় তার অফিসের ফাইল নিয়ে বসে। মির্জা পরিবার ব্যবসায়ী পরিবার। কারানের দাদা থেকে শুরু করে বাবা, চাচা সবাই বিজনেস করেছে। শুধু কারান করে নি। তার কলেজের লেকচারার হওয়ার শখ ছিল। হয়েছেও। কিন্তু তাকে বিজনেস ও সামলাতে হয়। তার এসিস্ট্যান্ট আকাশের ওপর সব দায়িত্ব দিয়েছে কারান। আকাশ সব কাজ করে কারানের কাছে এসে শুধু দেখিয়ে যায়। আর প্রয়োজনীয় ফাইলে সাইন করিয়ে নেয়। কোমল এসবই ভাবছিলো। তখন ডোর বেল বেজে উঠে। কাজের খালা গিয়ে দরজা খুলে দেয়। কোমল তাকিয়ে দেখে আকাশ টিস্যু দিয়ে কপালের ঘাম মুছে সামনে তাকাতেই কোমলকে দেখে হালকা হাসে। কোমল তাকিয়ে আছে ছেলেটার দিকে। লোকটা যেন অদ্ভুত সুন্দর। আকাশ জিজ্ঞেস করলো, ভাই কোথায়? কোমল বলল, জানিনা কোথায়। আপনি বসুন পানি নিয়ে আসি। কোমল উঠে গেল। আকাশ সোফায় বসে কোমলের যাওয়ার পানে তাকায়।
চলবে…..