রক্তের গ্রুপ মিললেই মন এক হয় না। আমাকে বাঁচাতে রক্ত দিয়েছো। স্বীকার করছি। আমাকে বাঁচানোর চেয়ে তোমার মনে প্রমাণের প্রবল ইচ্ছে ছিল, মেয়ে হয়েও তুমি সাহসী। সে ক্ষেত্রে তুমি পাস করেছো। আর সেই সময় আমার প্রয়োজন ছিল রক্তের।
কে কী উদ্দেশ্যে রক্ত দেয় তা জানা কষ্টকর। তবে রক্ত দেওয়াকে মহৎ কাজ হিসেবে সবাই জানে। সে ক্ষেত্রে তোমার কাজটাও মহৎ ছিল। আবার যেকোনো সময় তুমি সেই মহৎ কাজটা করতে পারবে, সেটা জানি। কিন্তু একটা মহৎ কাজ করেই তো গোটা জীবন মহৎ মানুষের প্রশংসার দাবিদার হওয়া যায় না।
তুমি সুন্দরী, স্বীকার করছি। সকল সুন্দরী প্রেমিকা নয়, লেকিন সকল প্রেমিকাই সুন্দরী—এটা জানো তো? সুন্দরী হওয়ার আগে প্রেমিকা হওয়ার চেষ্টা করো। যার যার প্রেমিকা তার তার কাছে সুন্দরী।
সব সুন্দরী আমার জন্য নয়। গণসুন্দরী হলেই যে আমি তাকে ভালোবাসব বা আমার কাছে সুন্দর লাগবে তা কিন্তু সঠিক নয়। আর তোমাকে ভালোবাসতেই হবে আমার, এমন কোনো কমিটমেন্ট নারী জাতির কাছে নেই।
আমি গরিব মানুষ পাঠাও-উবারের ড্রাইভার, প্লেন-হেলিকপ্টারের নয়। অ্যাক্সিডেন্টে মরলেও কোনো লাভ নাই যতটা লাভ পাইলটের বেলায়। তো লাভ যেখানে সেখানে যাও।
রক্ত যখন দিয়েছো হে মহৎ সুন্দরী, তাই জেনে রাখো, গরিবের প্রেমিকা সুন্দরী হলে ঝামেলা আর বউ হলে বিপদ। আমার মতো সাদাসিধে, আলাভোলা মানুষ তোমার রূপ-যৌবনের মূল্যায়ন করতে পারবে না।
অতএব, আশা করি আর বিরক্ত করবে না। কারণ, আমি জানি, সুন্দরীদের জন্ম মাল্টিন্যাশন্যাল কোম্পানির স্বার্থে।