তৃতীয় পর্ব: রাগের পেছনের গল্প
নিশা এখন রুদ্রকে একটু একটু করে বুঝতে শুরু করেছে। সে অনুভব করছিল যে রুদ্রের রাগের পেছনে হয়তো কোনো গভীর ক্ষত লুকিয়ে আছে।
একদিন বিকেলে রুদ্র নিশার বাসার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ সে দেখতে পেল নিশা তার ছোট ভাই-বোনদের সঙ্গে খেলছে। এই দৃশ্য দেখে রুদ্র থমকে দাঁড়ালো। কিছুক্ষণ চুপচাপ থেকে সে চলে যেতে লাগল। কিন্তু নিশা তাকে দেখে ডেকে বলল,
"রুদ্র দা! একটু বসুন। কিছু কথা বলবো।"
রুদ্র বসতে রাজি হলো। নিশা বলল,
"আপনার কি পরিবারে কেউ নেই? আপনার মধ্যে সবসময় একটা একাকিত্ব দেখা যায়।"
প্রথমে রুদ্র এই প্রশ্ন এড়িয়ে যেতে চাইল। কিন্তু নিশার সৎ ও সরল চোখের চাহনিতে সে ভেঙে পড়ল। ধীরে ধীরে সে বলতে শুরু করল,
"আমার পরিবার একসময় খুব সুখী ছিল। বাবা-মা দুজনেই চাষাবাদ করতেন। কিন্তু জমির বিরোধে আমার বাবাকে হারাতে হয়েছিল। আমার মা সেই কষ্ট সহ্য করতে পারেননি। সেদিন থেকে আমি একাই লড়ছি।"
নিশার চোখে পানি চলে এল। সে বলল,
"আপনার এত বড় কষ্ট আছে, আর আমি তা বুঝতেই পারিনি। কিন্তু আপনার তো রাগ কমিয়ে অন্যভাবে নিজেকে গড়ে তোলা উচিত।"
রুদ্র হেসে বলল,
"তুমি সত্যিই অনেক শক্ত মেয়ে। তোমার মতো মানুষকে পাশে পেলে বোধহয় এই কঠিন পৃথিবীটা একটু সহজ মনে হয়।"
নিশা ঠিক করল, রুদ্রের রাগ আর কষ্টের পেছনের অন্ধকার দূর করতে সে তার পাশে থাকবে।
---
পরবর্তী পর্বে: নিশা এবং রুদ্র একসঙ্গে কাজ শুরু করে, কিন্তু একটি বড় বাঁধা তাদের সামনে এসে দাঁড়ায়