গ্রামের নাম সুখপুর। এই গ্রামে সবাই অদ্ভুত শখ নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু তাদের মধ্যেও সবচেয়ে অদ্ভুত শখটা ছিল খোকন মিয়ার। তিনি নাপিত হতে চেয়েছিলেন, যদিও জীবনে একবারও কারও চুল কাটেননি।
একদিন সকালে খোকন মিয়া চিৎকার করে বললেন, "আমি আজ থেকেই নাপিতের কাজ শুরু করব।" সবাই ভেবেছিল, এটা তার আরেকটা মজার সিদ্ধান্ত। তবে খোকন মিয়া সিরিয়াস ছিলেন।
তিনি গ্রামের বাজার থেকে একটা সস্তা কাঁচি, ক্ষুর আর সাবান কিনে আনলেন। দোকানের সামনে একটা বড় লেখা ঝুলিয়ে দিলেন, "খোকনের সেলুন: চুল কাটুন, স্টাইল পেয়ে যান!"
প্রথম কাস্টমার হলেন হারাধন কাকা। খোকন মিয়া তার মাথায় সাবান মাখিয়ে কাঁচি চালানো শুরু করলেন। কিছুক্ষণ পর হারাধন কাকা আয়নায় দেখলেন তার মাথায় একটা "চ্যাঁদা মাঠ"! তিনি চিৎকার করে বললেন,
"খোকন! এটা কী করলি? আমি মানুষ, মাঠ না!"
খোকন নির্লজ্জের মতো বলল, "স্টাইল তো দিলাম! সবাই তোমাকে চেনা শুরু করবে।"
হারাধন কাকা রেগে গিয়ে গেলেন পঞ্চায়েতের কাছে অভিযোগ করতে। কিন্তু পথে গ্রামের ছেলেরা তাকে দেখে হেসে লুটোপুটি খেল। সবাই ভাবল, এটা নতুন ফ্যাশন।
এবার খোকনের ব্যবসা জমে গেল। সবাই মজা নিতে তার সেলুনে আসত। কারও চুলে তিন তলা বিল্ডিংয়ের মতো কাট দিতেন, কারও দাড়ি ছেঁটে বানাতেন গরুর শিংয়ের মতো। আর গ্রামের মানুষ নতুন ফ্যাশনে মজা নিতে ব্যস্ত।
এভাবেই খোকনের অদ্ভুত সেলুন একসময় "সুখপুর ফ্যাশন সেলুন" নামে বিখ্যাত হয়ে গেল। যদিও কারও চুল বা দাড়ি আগের মতো আর কখনো থাকত না, সবাই মজা আর হাসির জন্য খোকনের কাছে যেত।