হাসনাত আব্দুল্লাহ্ গতকাল রাতে উচ্ছৃঙ্খল মব নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বেসামাল ছাত্রদের চরম অভব্য গালি খেয়েছেন, মারমুখী পুলিশের মুখে পড়েছেন। তারপরও ছেলেটি হাল না ছেড়ে চেষ্টা করে গেছেন।
এই বেপরোয়া মব হঠাৎ করে আকাশ থেকে উদয় হয়নি। গেল ১৫ বছরের রাজনৈতিক, শিক্ষাগত ও সাংস্কৃতিক বন্ধ্যাত্বের distorted product এরা। এদেরকে শালীনতা, ভব্যতা, সহনশীলতা ও সাধুতা শেখাতে আরেক প্রজন্ম কেটে যাবে।
একসময় ছা ত্র লী গে র অনুবর্তী থাকা হাসনাতদের হাজারটা ভুল ধরতে পারব আমরা, কিন্তু কাল রাতে ঢাকা কলেজ বনাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নজিরবিহীন রায়টে হাসনাত আব্দুল্লাহ্'র সাহসী ভূমিকার অকুন্ঠ প্রশংসা করব। ছেলেটি কোনো পক্ষ না নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেরই চেষ্টা করে গেছেন।
যারা বৈষম্যবিরোধীদের দুই চোখে দেখতে পারেন না, তাদের বলি: আ ও য়া মী লী গ কে হারিয়ে দেয়ার যতটা ক্রেডিট মাহফুজ-হাসনাত-সারজিস-নাহিদদের তার অধিক দায় শে খ হা সি না র নিজের। ভোটের চরিত্র বদলে দেয়া বিগত সরকার প্রধান যেদিন হেসে হেসে বলেছিলেন, 'আমার পিয়নও ৪০০ কোটি টাকার মালিক'-সেদিনই নিজের পতনের ভিত রচনা করেন। আন্দোলনকারীদেরকে ঢালাওভাবে রা জা কা র বলে ক্ষেপিয়ে দেয়ার বেফাঁস মন্তব্য পরাজয়ের ভিতকে পোক্ত করেছে মাত্র।
ছেলেরা কোটার বৈষম্য দূর করতে চেয়েছিল। সরকারের পতন চায়নি। তারা কোনো সংঘবদ্ধ রাজনৈতিক দল ছিল না। নিজেই নিজের পরাজয় ডেকে এনে তার দায় বাচ্চাদের ওপর চাপিয়ে গোস্যা দেখানোর মানে নাই। বরং নিজেদের কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা করে তরুণ প্রজন্মকে আমলে নিয়ে এডপ্টেশনের চিন্তা করেন। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সাদাসিধে মানুষ ক্ষমা করতে জানে। দেশটা আপনাদেরও। যাবেন কোথায়? পালিয়ে আর কতদিন থাকবেন?🫵
লেখক: সাংবাদিক
২৮ জানুয়ারি ২০২৫