একজন অবিশ্বাসীর বিশ্বাস-৪
#-পর্ব -৪
কিন্তু আজকের বিজ্ঞান বলে ,নাহ সূর্য স্থির নয়। সূর্যও নিজের কক্ষপথে অবিরাম ঘুরছে।
সাজিদ বলল –সেটা ঠিক বলেছিস।কিন্তু বিজ্ঞানের এটাই নিয়ম যে ,প্রতি নিয়ত পরিবর্তিত হবে।এখানে শেষ বা ফাইনাল বলেকিছুই নেই।
একদম তাই। আমিও জানি,বিজ্ঞানের শেষ বলে কিছু নেই।একটা বৈজ্ঞানিক থিওরি ২সেকেন্ডও টেকে না ,আবার কোন টা২০০বছরও টিকে যায়।
তাই প্রমান বা দলিল দিয়ে যা বিশ্বাস করা হয় ,তাকে আমরা বিশ্বাস বলতে পারি না। এটাকে আমরা বড়োজোর চুক্তি বলে পারি।চুক্তিটা এরকম যে তোমায় আমি ততজ্ক্ষন বিশ্বাস করব যতক্ষন তোমার চেয়ে অথিন্টিক কিছু আমাদের সামনে না আসছে।
সাদিক আবার নরেচড়ে বসল। এবার সে কিছুটা একমত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
আমি বললাম ধর্ম বা সৃষ্টিকর্তার ধারনা/অস্তিত্ব ঠিক এর বিপরীত। তুই দেখ বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের মধ্যকার এই গূঢ় পার্থক্যআছে বলেই আমাদের ধর্ম গ্রন্থের শুরুতেই বিশ্বাসের কথা আছে।পবিত্র কুরআনুল কারিমের সূরা বাকারার দুই নম্বর আয়াতেবলা আছে। এটা তাদের জন্য যারা বিশ্বাস করে।
যদি বিজ্ঞানের শেষ বা ফাইনাল বলে কিছু থাকত।তাহলে হয়তো ধর্মগ্রন্থের শুরুতে বিশ্বাসের বদলে বিজ্ঞানের কথা বলা হতো।হয়তো বলা হতো–এটা তাদের জন্যই , যারা বিজ্ঞানমনস্ক।
চলমান পাতা💖💖