অন্তরদহন: এক অসমাপ্ত প্রেম
১. শুরুর গল্প
তাহসিন আর রূপার প্রথম দেখা হয়েছিল মেডিকেল কলেজের গেটের সামনে, এক বৃষ্টিভেজা বিকেলে। রূপা ছাতা আনতে ভুলে গিয়েছিল, আর তাহসিন তার ছাতাটা বাড়িয়ে দিয়েছিল এক অপরিচিত মেয়ের দিকে।
— "ভিজে গেলে ঠান্ডা লেগে যাবে," বলেছিল তাহসিন।
সেই প্রথম কথা, তারপর ধীরে ধীরে তারা পরস্পরের খুব কাছের হয়ে উঠল। পড়াশোনা, ক্যাম্পাসের ব্যস্ততা, সবকিছু পেরিয়ে একসময় তারা বুঝতে পারল—এটা শুধু বন্ধুত্ব নয়, এর চেয়ে অনেক বেশি কিছু।
২. প্রতিশ্রুতি ও অপেক্ষা
তাহসিন ও রূপা একসাথে ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু জীবনের গল্প এতটা সহজ ছিল না। তাহসিনের পরিবার কখনোই মেনে নেবে না রূপাকে, কারণ তারা চেয়েছিল ছেলেটা তাদের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করুক।
রূপা বলেছিল, "আমরা একসাথে থাকবো, তাই না?"
তাহসিন তার হাত শক্ত করে ধরেছিল, "অবশ্যই, আমি কাউকে নিয়ে ভাবতেই পারি না তোমাকে ছাড়া!"
কিন্তু প্রতিশ্রুতি সবসময় পূরণ হয় না…
৩. হারানোর মুহূর্ত
একদিন হঠাৎ খবর এলো—তাহসিনের বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। পরিবারের চাপে সে কিছুই করতে পারেনি। রূপা ফোন করেছিল, কিন্তু তাহসিন ধরেনি।
বিয়ের পরদিন, তাহসিনের ইনবক্সে একটা ছোট্ট মেসেজ এলো—
"ভালো থেকো… আমাকে ভুলে যেও না…"
তারপর, কিছুদিন পর রূপার মৃত্যুর খবর এলো—একটা গাড়ি দুর্ঘটনা। কেউ জানে না সেটা দুর্ঘটনা ছিল, নাকি ইচ্ছাকৃত…
৪. শেষ দহন
তাহসিনের জীবন থমকে গিয়েছিল। সে কতবার সেই পুরোনো মেসেজটা পড়েছে, কিন্তু কোনো উত্তর দিতে পারেনি।
রূপা নেই, কিন্তু সে বেঁচে থেকেও যেন নেই।
তাহসিনের বুকের ভেতর সারাক্ষণ একটা দহন জ্বলতে থাকত—"আমি যদি সেদিন তাকে রক্ষা করতে পারতাম, তাহলে কি সে আজ আমার পাশে থাকতো?"
কিন্তু কোনো উত্তর ছিল না… শুধু অন্তরদহন, আজীবন…