অন্ধকারের গভীর থেকে জেগে উঠিনি আজ,
নদীর কলরব কানে বাজলেও,
আমার দৃষ্টির সীমায় নেই চাঁদের নির্বিকার ছায়া,
সে তো বহু আগেই মিলিয়ে গেছে
অজানা কোনো দ্বীপে ।
আমি পড়ে আছি,
একান্ত নিস্তব্ধতায় ঢাকা এক শূন্য রাত্রির বুকে,
যেখানে হিমেল বাতাসও
শব্দহীন হয়ে গেছে সময়ের শাসনে।
আমি জাগবো না,
আর কোনো আলো আমার ঘুম ভাঙাবে না,
আর কোনো ভোরের আহ্বান
আমার নিঃশ্বাসে উত্তাপ দেবে না।
হে ধূসর চাঁদ,
তুমি আর কোনো প্রদীপের প্রতিচ্ছবি নও,
তুমি জ্বলন্ত দিনশেষের ক্লান্তি নও,
তুমি কেবল এক মৃত সুর—
যে অনুরণিত হয় না আর হৃদয়ের কোনো কোণে।
আমি জানি,
তোমার আলোতে নেই কোনো উষ্ণতা,
নেই কোনো আহ্বান—
শুধু এক শীতল ছায়া,
যা মৃত্যু আর ঘুমের মাঝখানে দুলতে থাকে।
আমি শুনেছি—
আকাশের গহ্বরে ছিন্ন তারাগুলো
চিৎকার করছে অনন্তের শূন্যতায়,
কিন্তু আমি ফিরবো না,
আমি সাড়া দেব না আর
কোনো ব্যাকুল সম্বোধনে।
হে প্রবহমান সময়,
তোমরা আমাকে ভুলে যাও,
তোমরা আমাকে জাগাতে এসো না।
এই নিঃসঙ্গ নদীর কিনারে,
আমি লীন হয়ে থাকবো—
পৃথিবীর সমস্ত আলো থেকে দূরে,
অচেতন রাত্রির অন্তহীন অতল গহ্বরে।