কুয়াশার স্তব্ধতায় হঠাৎ সে এলো,
অচেনা বাতাসে বেজে উঠল কাঁপন,
তার চোখে—অভিমানী জোছনার ছায়া,
তার কণ্ঠে—গভীর নদীর সুরেলা স্পন্দন।
বলল, তোমাকে খুঁজেছি অনন্ত আকাশে,
অর্ধেক চাঁদের বিষাদী আলোয়,
তোমার স্পর্শের নরম নুড়ি খুঁজেছি আমি
জলছায়া নদীর হিমে—সময়ের ঢেউয়ে ভেসে।
তার গায়ে শালিকের বিষণ্ন কালো রঙ,
শিরীষ পাতার নরম ধুলোবিন্দু,
তার কেশে সন্ধ্যার ছায়া জমে আছে যেন —
নক্ষত্রের ভাঙা স্মৃতি হয়ে।
চোখ তার দুটি ক্ষীণ দীপশিখা,
সে বলে, আমার বুকের গভীর শঙ্খে শুনবে কি?
সময়ের গর্জন, নীরবতার ডাক।
তবু সে আসে, তবু সে হারায়,
নীহারিকার মতো ধরা দেয়, মেঘের মতো মুছে যায়।