Posts

ফিকশন

সত্য ঘটনার ছোয়ায় বাস্তবতার একটি ঘটনা যা নতুন কিছু নয়।

January 31, 2025

আল শাহরিয়ার মাইন

Original Author আল শাহরিয়ার মাইন

Translated by আল শাহরিয়ার মাইন

68
View

"পৃথিবীতে কেউ অপরাধী হয়ে আসে না ভাই"

এ কথা সবারই জানা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোনো মানব অপরাধী হয় কিভাবে। কিভাবেই বা তার স্বচ্ছ অন্তরে জন্ম নেয় অস্বচ্ছ পাপের ইতিহাস। প্রভাব ফেলে জীবনের প্রতিটি

মোড়ে মোড়ে।এতকিছুর মধ্যেও কেউ কেউ তার জীবন

উপন্যাসের মোড় ঠিকই ঘুরিয়ে নেয়। তারাই হয় পরবর্তী     মহামানব।তাদের মধ্যেই বিরাজ করে মানবধর্ম। আজ তাদের নিয়ে কালক্ষেপণ নয়।আজ আমার লেখা গুলো ঔ সব বাকা পথে পথ হারানো ভাইয়ের জন্য।চলুন শুরু করি।

এই কথা গুলো সত্য ও আমার বন্ধুদের ঘটে যাওয়া কিছু।  তাদের নামগুলো অন্য নাম দিয়ে লেখাটি প্রকাশ করলাম।

"আমার এক বন্ধু ‘তামিস’। শুনলাম সে পর্ণগ্রাফি দেখে।মুখে ব্রণ।লম্বা, ঝাকড়া চুলের বিশাল বাহার,কথাগুলো খুব 

মিষ্টি মিষ্টি। কিন্তু তার এই চেহারাটা ছিল শুধু একটি মুখোশে আবৃত পশুদের চেয়ে নিকৃষ্ট। থাক আর না বলি। আমি প্রথমে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।তারপর সাহস নিয়ে তার কাছেই এর কথা বলছিলাম। তাকে একটু ইন্ডাইরেক্টলি বলছিলাম, " বন্ধু তোমার সময় গুলো কিভাবে ব্যায় করছো। সে একটু বিব্রত হয়ে বলতে চাইল না।আরেকটু জোর করার পর স্বজোরে বলল সে পর্ণ দেখে কিন্তু আসক্ত নয়।আমার চোখ উল্টে গেছিল।ভদ্র ছেলেটির বাসায় দুইটা বড় বোন আছে।জানিনা তাদেরকে দেখলে তামিসের মনে কি চলে।তারপর সে বললো এগুলো একদম

সাধারণ বিষয় আসক্ত না হলে কিছুই হয়না। আমাকে সে এটি বোঝালেও আমিতো নাছোড়বান্দা, জানতে চাইলাম কতটুকু সময় ধরে দেখে। বলছে তুমি শুনলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবা না।আনুমানিক বুঝলাম তার বাচনভঙ্গি দেখে সে অন্তত শুরু করলে চার ঘন্টার নিচে ফোন ছাড়েনা। যা বুঝার বুঝে নিলাম।কি নরম,ভদ্র বন্ধুটার

ভেতরে মানবধর্ম সম্পুর্নরুপে শেষ হয়ে গেছে। রাস্তার কুকুর টাও ওর মতো জঘন্য নয়। বন্ধু হিসেবে তাকে বোঝাতে চাইলাম এগুলো তুই যে প্রায় প্রতিদিন দেখিস এগুলো আসক্ত হওয়ায় বোঝায়।সে বলতে চাইল সে আসক্ত নয়।এগুলো ছাড়া তার কোনোকিছুই করতে ভাল্লগে না। সে যায় বলুক আসক্ত নয়,আপনারা তো বুঝেছেন সে তার নিজেকে 

হারিয়ে ফেলেছে। তার জীবন আছে কিন্তু সেইটে তার নয় মানুষরুপী এক জানোয়ারের। তার অনেক বলেছিলাম কিন্তু 

কথা শোনেনি, বলেছে সবাই দেখে।সে এগুলো ছাড়তে পারবেনা।তো আমার কিছু বলতে দিল না,বললো এইসব প্রসঙগো বাদ দিতে।সুতরাং বুঝতে পারলাম জানোয়ারটাকে আমাকে এড়িয়ে চলতে হবে।তার কাছ থেকে দুরে থাকার চেষ্টা করতাম। তার বাবা একজন টিচার কিন্তু সে একটা জানোয়ার, এইটাই ভেবে ঘৃণা করতে শুরু করলাম।

আমার আরেক বন্ধু হামিদ।তার কথা পরের অনুচ্ছেদে বলার চেষ্টা করবো।একটা কথা বলে রাখি সেও একটা পশু

ছিল কিন্তু বোঝানোর পর ফিরে এসেছিল।তার দেয়া আমার পরামর্শগুলো ঐ অনুচ্ছেদে লিখব।আমি মোবাইল দিয়ে টাইপ করি একসাথে অনেক লেখা সম্ভব হয়ে উঠেনা।তবে সামনে আরও ফিরে আসার গল্প দিতে চেষ্টা করবো

Comments