কোনো এক সময় একটি গ্রামে একজন ডাক্তার ছিল। তার দুটি সন্তান ছিল। তারমধ্যে একজন সবসময় রোগী দেখার সময় সঙ্গে যেত। একদিন গ্রামে একজন অসুস্থ রোগীকে চিকিৎসা করতে গেল। সে রোগীর বাড়ি গিয়ে দেখে রোগীর ভীষণ জ্বর। রোগীর হাত নিয়ে নাড়ী পরীক্ষা করতে লাগলো। নাড়ীতে হাত রেখেই সে বললো, "মনে হয় তুমি বেশি তেঁতুল খেয়েছ।"
রোগীটি সত্যিই তেঁতুল খেয়েছিল। তাই রোগ্ন ব্যাক্তি অবাক হয়ে গেল। সে ভাবতে লাগলো যে শুধু নাড়ীতে হাত রেখে যা খেয়েছিলাম তা কি করে বললো। নিশ্চয় সে একজন খাঁটি ডাক্তার। সুতরাং, তাকে যথারীতি ফি দিয়ে বিদায় করে দিল।
তার সঙ্গে থাকা ছেলেটি তার বাবাকে জিজ্ঞেস করলে," আপনি কীভাবে জানতে পারলেন যে, রোগীটি তেঁতুল খেয়েছিল?"
পিতা বললো -"রোগীর চৌকীর নীচে তেঁতুলের খোসা দেখছিলাম। তাই আমি অনুমান করলাম যে সে তেঁতুল খেয়েছে।"
ছেলে ভাবলো ডাক্তারী করা তো সহজ কাজ! তাই সেও ডাক্তারী করতে শুরু করলো। একদিন হাঁপানি রোগীর বাড়িতে গিয়ে দেখে তার চৌকীর নীচে ছিড়া জুতা। তখন তার পিতার
চিকিৎসা পদ্ধতি অনুযায়ী সে রোগীর নাড়ীতে হাত রেখে বলতে লাগলো, "মনে হয় আপনি ছিঁড়া জুতা খেয়েছেন তাই আপনার রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। "🤣
একথা শুনে সবাই তো অবাক। দূর- দূর বলে সবাই তাকে তাড়িয়ে দিল।