শেষ যখন সিএনজিটা থামলো তখন রাত ৮ টার কাছাকাছি কোন একটা সময় ছিল| কর্মব্যস্ত আর একটা দিনের সমাপ্তি, তবুও তৃপ্তির শান্তিটার দেখা এখনো মিলে নাই|
কানের পাশে সিএনজি-বাস-গাড়ি -ট্রাক এর ঝিমমারা অপছন্দের শব্দজট আর নাকের পাশে ঝালমুড়ি-ফুচ্কা/চটপটি - ভালোবাসার ফল ভাজা বা প্রেট্রোল পোড়া গন্ধের স্বাদের মোহে কয়েক মুহূর্তের জন্য নিজেকে নিয়ে ভাবতে শুরু করেছিলাম|
৫ মিনিট কখন কেটে গেলো সেটা টেরই পেলাম না|
চারিদিক এখন কেমন জানি চুপচাপ, বেশিরভাগ ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেছে, অনেক ব্যস্ত চালক এখন আর হর্ন দিচ্ছেন না, কেউ কেউ হেড লাইটও নিভিয়ে দিয়েছেন. আসছে শীতের হালকা ঠান্ডা বাতাসে এখন কেবল নাগরিক জীবনের বিচিত্র সব কথোপকথন, তর্ক-বিতর্ক, আলোচনা-সমালোচনার মিষ্টি গুনগুন ছাড়া কিছুই শোনা যাচ্ছে না|
বিজয় স্মরণীর সিগন্যাল ছাড়ার ঠিক আগে দেখলাম দেখলাম- খালি গায়ে একটা ছেড়া হাফ প্যান্ট পরা ৭/৮ বছরের একটা ছেলে এক বালতি গোলাপ নিয়ে আমার সামনে এসে বললো - "ভাইয়া একটা নেন না" ; কিছু বুঝে ওঠার আগে সিএনজি সহ সব ইঞ্জিন গুলা চলা শুরু করলো, আবার শুরু যান্ত্রিক জীবন|
ছেলেটার কথা মনে করে শুধু ভাবলাম- নহ !
আমি ভালোই আছি|