সুবা হারাইয়া গেছে। সন্ধ্যার বর্ণিল অন্ধকার — কৃষি মার্কেটে। রহস্যময় জনপদ । বিলুপ্ত জনপদে কেউ হারাইয়া গেলে কুকুর গুলো চিৎকার করে — সুবা আমার পরিচিত কেউ না। মন খারাপের প্রশ্নই ওঠে না। গতকাল ফেসবুক মারফত জানা গেলো মেয়েটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপরে একটা স্যাড রিয়্যাক্ট দিয়ে মন খারাপ করলাম। আজ পূজোয় গিয়েছি। আড্ডা মেরেছি। জমিয়ে কাচ্চি খেয়েছি — এখন তিতুমীর কলেজের স্টুডেন্টদের নিয়ে খুব হাসাহাসি করছি। রাজনীতি নিয়মিতই করি। সততা ও নৈতিকতা খুঁজতে রাজনীতিবীদদের টকশো শুনছি, রাজনীতি বুঝার তাগিদে — কেউ হারাইয়া গেলে আমার কি?
খুব হাসছি এক নেতার কথা শুনে — জনগণের বন্ধু হতে চান তিনি। জনগণ কই পাবে? কুকুর বেড়াল কি জনগণ হইতে পারে?
মানুষ হয়েও কুকুর বিড়ালের সাথে বড় হচ্ছি। পরিচয় লুকিয়ে থাকি আজকাল। ওরা যদি জানতে পারে আমি মানুষ — অমনি খাবলে খাবে। খুব ভয় হয়। ভয় হয় মানুষের জন্য। কে কখন হারাইয়া যায় — কার ছেলে খুন হয়। কার বাবা মামলা খায়। কার মা ধর্ষিত হয়। কেউ জানে না...
সুবার হারানো নিয়ে পরিবারের সবাই যখন শোক করছে। স্মৃতিচারণ করছে— প্রায় প্রায়ই কেউ না কেউ হারাইয়া যায়। ফেসবুকে অনেক অনেক আলোচনা হয় এরপরে কেউ ফিরে আসে না। কেউ কেউ ফিরে লাশ হয়ে। মোহম্মদপুর থেকে পুরান ঢাকা সন্ধ্যা নেমেছে সর্বত্রই। কুকুর বেড়াল ক্লান্ত ফেসবুকে। নিখোঁজ হয়েছে সুবাহ। পরিবার ব্যাতিত কারও তেমন মাথাব্যথা নাই। একটা রাষ্ট্র। একটা সরকার। একটা মেয়ে। নিরাপত্তা পায়নি মানুষেরা। কুকুর বেড়ালের ভীড়ে আমি এখনো সুবাহর কথা ভেবে এদিক ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছি।