Posts

উপন্যাস

ঐশ্বর্য পর্ব ১১

February 3, 2025

Md Kawsar

Original Author নূর-এ-কাউছার

Translated by পর্ব ১১

37
View

ঐশ্বর্য 
পর্ব ১১
.
নূর -এ- কাউছার
.
ঐশ্বর্য প্রথম চিঠি টা পরে দ্বিতিয় চিঠি টা হাতে নিয়ে পরতে শুরু করলো। 
চিঠি -২
দিনটা শনিবার ছিলো দাদুর ছোটো ভাইয়ের পুরো পরিবার আমাদের বাড়িতে ঘুরতে আসে। তার ছোটো ভাইয়ের বাড়ি ময়মনসিংহ শহরে তাদের পরিবারে তারা ৫ জন। দাদুর ভাই তার স্ত্রী আর ৩ ছেলে মেয়ে। তারা এর আগেও একবার এসেছিলো আমি তখন অনেক ছোটো  দাদুর ভাই এর ছেলে ছিলেন সবার বড় তার নাম মুরাদ সে পর পর দুই টা বিয়ে করে কিন্তু তার সংসার টিকতো না। তার সংসার না টিকার সঠিক কারন আমরা পরবর্তীতে জানতে পারি। তার চরিত্রে দোষ ছিলো। তা অবশ্য আমি ছোটো বেলায় কিছুটা টের পেয়েছিলাম। আমাদের বাড়িতে এর আগে এসেছিলেন সময় বিভিন্ন ফন্দিতে ভুল পরিকল্পনা নিয়ে আমার গায়ে হাত দিতো। আমি তখন বুঝতাম না সে বলতো আদর করে আমি এক সময় বুঝতে পারি এই সব মুরাদ চাচ্চু ঠিক করে নি সে আমার গায়ে ঐ ভাবে হাত দিয়ে ঠিক করেন নি। এতোদিন পর তারা আসবে শুনেই ঐ ঘটনা গুলো মাকে বলি মা বলে আসতে দে আমার মেয়ের গায়ে হাত দিলে আরেকবার হাত কেটে রহমান বাড়ির সদর দরজায় ঝুলিয়ে রাখবো আর ওর রক্ত দিয়ে দুই মা মেয়ে গোছল কোরবো। আমি ভাবলাম মা হয়তো সান্ত্বনা দিচ্ছে এই ভাবনাটাই কাল হয়ে দারায় আমি বুঝতে পারলে মুরাদের শিকার হতাম কিন্তু মা কে কিছুই বলতাম না। তারা এত বছর কিছু একটা কারনে দাদুর সাথে যোগাযোগ রাখেনি। এখন এত বছর পর আমাদের বাড়িতে আসে মা আগেই বলে রেখেছে আমি যেনো তোকে নিয়ে তার থেকে দূরে দূরে থাকি। তাই করলাম আম্মা আমাকে আর তোকে ঘরে রেখে পর্দা টানিয়ে দেয় আর বলে দেয় এই ঘর থেকে যেনো না বের হই। রাতে বাবা বাসায় চলে আসে তার কাকা এতোদিন পর এসেছে তাই বিকেলেই রৌনা হয়ে গেছিলো । আমি বাবার কন্ঠ পেয়ে আর ঘরে বসে থাকতে পারি নি। তাই মাথায় কাপড় দিয়ে দৌড়ে ঘর থেকে বের হতেই মুরাদ চাচ্চুর সাথে ধাক্কা লাগে আমি খেয়াল করলাম সে আমার দিকে লোলোভ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আমি জায়গা ত্যগ করে চলে আসতে চাইলে সে আমাকে বলে কিরে উর্মি মনে নাই আমারে সেই ছোটো বেলায় দেখছিলাম তরে আইজ কত বড় হয়া গেছছ। আমি জোর করে মুখে কিছুটা হাসি এনে বলি ভালো আছি চাচ্চু। পরে আবার চেলে যেতে নিয়েও পিছনে ঘুরে ঘরের দরজা টা টেনে তালা লাগিয়ে দিয়ে চাবিটা সাথে নিয়ে চলে আসি। তুই ঘরে ঘুমাচ্ছিলি আমার ওই জানোয়ার টার উপর একটুও বিশ্বাস ছিলো না। আমি বাবার সাথে দেখা করে বাবাকে ঘরে নিয়ে আসি তার পরের টুকু তুই জানিসি তোকে ঘুম থেকে তুলে অনেক গল্প করি আমরা। পরের দিন আমি স্কুলে চলে যায় বড়িতে এসে দেখি কেউ নেই বাড়িতে তুই ঘরে ঘুমোচ্ছিস আমি খেয়াল করলাম জানোয়ারটা বাসায়ি ছিলো তাই আর দেরি না করে ঘরে ঢুকে দর‍জা লাগিয়ে দেই। তার পর সে ঘরের সামনে এসে আমাকে ডাকতে থাকে আমি অনেক ভয়ে ভয়ে দরজা খুলি সাথে সাথে সে আমার হাত গুলো চেপে ধরে আমি বললাম কি করছেন চাচ্চু আমার হাতে ব্যথা লাগছে। সে বলল, সোন উর্মি তোর মতো সুন্দর মাইয়া আমি আইজ পর্যন্ত দেহি নাই তুই আমার সাথে শহরে চল আমি তরে রানি বানাইয়া রাখমু সাথে তর ছুডু বইন ডারেও লইয়াল। বলেই হাসতে শুরু করে দেই কি ভয়ানক তার হাসি। আমি তার মুখে থুতু মেরে দিয়ে বলি ছি চাচ্চু আপনি এতো টা নিচে নামতে পারেন! তরে চাচ্চু ডাকা ভুল তুই জানোয়ার বের হ ঘর থেকে আমি আম্মা আসলে সব বলে দিবো তার পর সে আমার সাথে জোরজবরদস্তি করতে থাকে আমি চিৎকার করতে থাকি তখন তুই ঘুম থেকে উঠে যাস। বাকি ঘটনা তুই জানিসই হয়তো তোর মনে নাও থাকতে পারে তাই বলি। তুইও চিল্লানো শুরু করে দিলি। এদিকে মুরাদ জোরে জোরে হাসছে আর বলছে কেউ আইতো না সবাই গেছে মেলা দেখতে। আমি ছিটা ছিটি শুরু করে দেই তুই ভয় পেয়ে বিছানায় গুটিশুটি হয়ে বসে ছিলি আমি বললাম যাই হোক ঐশি নিচে নামবি না। তার পর জানোয়ার টা আমার শরীরে হাত দেয় আমি তার হাতে কামরে দেয় অনেক জোরে সে আমার হাত ছেরে দেয় আমি সাথে সাথে তাকে এক ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেই আর দরজার ছিটকিনিটা লাগিয়ে দেই। সে বাইরে আহত দানবের মতো চিল্লাতে লাগলো। দরজা খুল আমি তগরে শেষ কইরা দিমু এক্কেবারে মাইরা মাটি চাপা দিয়া দিমু সবাইরে কমু বরডাই লা* নিয়া ভাগছে সাথে ছুট্টারে নিয়া ভাগছে আমি আটকাইবার চাইছি আমার হাতে কামর মারছে। তার কথা শুনে আমি ভয়ে তোকে জরিয়ে ধরে কান্না শুরু করে দেই। এক সময় সে দরজা ধাক্কানো শুরু করে দেয় ভেঙে ফেলার উদ্দেশ্যে। হটাত তার ভয়ানক এক আর্তনাদ শুনি সাথে সাথে সব থমকে যায়। তার পর মা বাইরে থেকে ডাক দেয় আমি আমায়ের কন্ঠ শুনে মনে সুস্থি পাই আর দৌড়ে দরজা খুলে দিয়ে কান্না করতে করতে মায়ের কোলে ঢলে পরি। দেখতে পেলাম মুরাদ মাটিতে পরে আছে মাথা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। তার পর মাকে সব বলি, মা রেগে আগুন, মাকে যখন তোর কথা বললাম তোকে এতো বাজে কথা বলছে সাথে সাথে মায়ের রাগ মনে হলো শীতল হয়ে গেলো মা বাকা একটা হাসি দিয়ে চোখ গুলো বড় বড় করে ঠান্ডা মাথায় বলল। উর্মি ঐশ্বর্যর কাপড় গুলো ব্যাগে ভর আর তুই একদিনের কপর ব্যাগে ভর কোনো কথা বা কোনো প্রশ্ন করবি না যা বলছি তাই কর। আমি ভয় পেয়ে যাই মায়ের ওই রুপ দেখে তাই আর কথা না বারিয়ে মায়ের কথা মতো তকে রেডি করে তোর কাপর একটা ব্যাগে ঢুকিয়ে আমার জন্য এক দিনের কাপর ব্যাগে ঢুকিয়ে বাইরে আসি মাকে দেখি মুরাদের হাত পা বাধছে মায়ের পাশে কোরবানির সময় যে অস্ত্র ব্যবহার হয় তা রাখা। মা বলল বাইরে আমি রহিমের বাবাকে বলে রেখেছি তার কাছে ঐশি কে দিয়ে তুই ভিতরে আই। আমি তাই করলাম রহিমের বাবাকে জিজ্ঞেস করলাম রহমত কাকা কোথাই জাইতে বলছে আম্মা? রহিমের বাবা বলল তুমার নানির বাড়ি। ওহ আচ্ছা আপনাকে একটু তারা তারি যেতে বলেছে তার পর রহমত কাকা আমাকে জিজ্ঞেস করলো কি অইছে কুনু সমস্যা? আমি বলে দেই তেমন কিছু না নানুর শরীর খারাপ। তিনি চলে যায় আমি ভিতরে এসে দেখি মা অস্ত্র গুলো ধার দিচ্ছে আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না আমি কিছু বলারো সাহস পাচ্ছিলাম না মা বলল ঘরে যা বাইরে যাই হোক উকিও দিবি না আমি ডাকলে বের হবি। আমি এমন ভয়ংকর রুপ মায়ের কোনো দিন দেখিনি মায়ের চোখ গুলো বড় বড় হয়ে আছে চোখের কালো মনিটাও ছোটো মনে হচ্ছে ঠোট বাকানো একটা হাসি দাত গুলো কির মির করছে মনে হচ্ছে অশড়রির ভর হয়েছে। আমি ঘরে এসে চোখ বন্ধ করে চুপ করে বসে আছি একটু পর গলা ফেটে কারোর চিতকারের আওয়াজ শুনতে পেলাম মা বলছে আজকে তোর চিতকারে রহমান বাড়ির দেয়াল গুলোও ভয় কেপে উঠবে। মুরাদের মুখে উপরে নিচে দাতের মাঝখানে কাপড় বাধা ছিলো তাই চিৎকার দিতে পারছিলো কিন্তু স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছিলো না। একটা সময় চিৎকার থেমে গংয়ানোর আওয়াহ আসছিলো। এভাবে কেটে যায় একটা ঘন্টা এক সময় গোংআনোর শব্দটাও থেমে যাই। মা আমাকে বলে উর্মি বের হ আমি তখন অনেক ভয় পেয়ে যায় আমার মাকে দেখে আরো বেশি ভয় করছিলো। কিন্তু মা আমাকে খুব আদুরে কন্ঠে ডাক দেয় বের হ উর্মি আমি তো আছি তোর মা তোর কষ্ট কমাতে সব করতে পারে। তোর জীবনের আরেকটা বাধার সমাপ্তি ঘটলো আজকে।  আমা আমার সারা শরীরে একটা শিহরন বয়ে গেলো আমি আর ভয় পেলাম না কছু চিন্তাও করলাম না দরজাটা খুলে বের হই সারা উঠনে রক্তের বন্যা আমি ধিরে ধিরে এগোতে লাগলাম যেন একটি জেন্ত লাশ হয়ে গেছি। মুরাদের হাত পা মাথা কেটে একটি পাটির উপর সুন্দর করে সাজানো। মা রক্ত মাখা চেয়ারটিতে চুল এলো মেলো অবস্থায় বসে আছে তার সারা শরীরে রক্তের ঝর্নার মতো টিপ টিপ করে রক্ত পরছে মা যেনো বনের বাঘিনির মতো শিকার করে এখন শিকারের রক্ত খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। চেয়ারের পাশেয় বালতি রাখা তাতেও রক্ত মা আমাকে কাছে টেনে নিয়ে গেলো আমি শুধু সব পর্জবেক্ষন করছিলাম বোবা প্রানির মতো। তার পর রক্তের বালতি টা মা হাতে নিয়ে আমার মাথায় ঢেলে দিলো। কিছু ক্ষনের মধ্যেই আকাশ অন্ধকার করে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো। সেদিন মনে হচ্ছিলো এই পাপির অস্তিত্ব মহান আল্লাহতালাও রাখতে চাই না। কিছুক্ষণের মধ্যে সারা উঠোনের রক্ত বৃষ্টির পানিতে পরিষ্কার হয়ে যায়। আমি মুরাদের দেহের দিকে তাকিয়ে চিতকার করে বললাম তোর মতো জানোয়ারের সাথে এমন টাই হওয়া উচিত আমি হাটু গেরে বসে পরি আর চিতকার করে কান্না করতে থাকি সেদিন না ছিলো কলক্ঙের ভয় না ছিলো মৃত্যুর  ভয় কিছুক্ষণ পর মা আমাকে তারা তারি শুখনো কাপড় পরে আসতে বলে আমি তাই করি মা আমাকে কিছু টাকা হাতে দিয়ে বলে বোরকাটা পরে যতো তারা তারি সম্ভব গ্রাম ছেড়ে তোর নানির বাসায় যা পরের দিন ঐশ্বর্য কে রেখে তুই তোর নানির সাথে চলে আসবি। আমি বলি তুমিও চলো আমার সাথে। মা বলল না আমি এখানেই থাকবো আমি সারা গ্রাম কে জানাতে চাই আমার মেয়েদের উপর কেউ চোখ দিলে আমি কি করতে পারি। এখনো মায়ের চোখের হিংস্রতা কমেনি আমি কিছু বলার সাহস পেলাম না। চলে আসি নানুর বাসায়। বাকিটা বাবার মুখে শুনেছি। নানুকে সব বলি রাতে খবর এলো মাকে পুলিশ ধরে নিয়েছে আমি কান্না শুরু করে দেই ।নানু আমাকেও খুব আদর করে কোনো দিন পর ভাবেনি। নানু আমাকে সান্ত্বনা দেয় আর বলে ঐশ্বর্য কে কিছুই জানানো যাবে না ছোটো মেয়ে কান্না করবে আমি নিজেকে শক্ত করি। পরের দিন তোকে মামির কাছে রেখে চলে আসি নানুর সাথে এসে রহমান বাড়ির সামনে দেখি অনেক ভির। যারা আমাকে সারা জীবন এতো কুটো কথা শুনিয়েছে তারা আজ আমার চোখের দিকেই তাকাতে ভয় পাচ্ছে সবাই মাথা নিচু করে আছে। আমি দৌড়ে বাড়ির ভেতরে চলে যাই দেখি পুলিশ মুরাদের লাশ নিয়ে এসেছে আমি বুঝতে পারি মুরাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেওয়া হয়েছিলো। পুলিশ বলে পুরো এক ঘন্টার মতো টরচার করা হয় আর খুব ভয়াবহ মৃত্যু হয়েছে ইনার আমরা এতটুকুই জানতে পারি। তার পর পুলিশ বলে কোর্টে আসবেন ওখানে সব খুলে বলবেন আপনাদের নেই পাউয়ার আশা কামোনা করি বলে চলে যায়। আমি বাবাকে দেখি এক কোনে চুপ চাপ দারিয়ে আছে আমি তার কাছে যেতেই বাবা আমাকে বলল তুই এসেছিস ঘরে যা বের হবি না তোর মায়ের নিষেধ আছে। আমি বললাম মা কেমন আছে বাবা বলল জানি না তোর মায়ের নাম আমার সামনে আর নিবি না আমি তোর মাকে এই বাড়িতে ফিরিয়ে আনবো তার পর চলে যাবো। আবার আমি বললাম বাবা মায়ের কোনো দোষ নেই তুমার ভাই কি করছে তুমি জানো না। এটা বলতেই বাবা আমাকে ধমক দেয় আর ঘরে টেনে নিয়ে আসে আর বলে যাই করুক একটা মানুষকে এভাবে মারতে হয়। আমি আর বলতে পারলাম না বাবাকে তার ভাই কেমন ছিলো। আমি বললাম  সবার মতো তুমিও অবিশ্বাস করলে কি করে হবে তুমি একদিন সঠিকটা জানতে পারবে। তার পর বাবা বলল তুই জানিস আমরা বাড়িতে ঢুকে কি দেখি তাহলে শোন। 
.
ঐশ্বর্যর চোখ কপালে উঠে যায় সে ভাবতেও পারছে না তার সান্তসিষ্ট মা এতোটা ভয়ানক হতে পারে। তিন নাম্বার চিঠিটা পরার আগেই তার মা তাকে ডাক দেয় ঐশি তোর বাবা তোর জন্য কি নিয়ে এসেছে দেখ। ঐশ্বর্য আর না পরে উঠে দারায় আর ধিরে ধিরে গিয়ে দরজাটা খুলে দেয়। আর তার মায়ের হাত ধরে বাইরে আসে এসে দেখে তার বাবা তার জন্য অনেক কিছু নিয়ে এসেছে মনে হয় পুরো বাজার তুলে নিয়ে এসেছে। ঐশ্বর্য তার বাবা কে সালাম দেয় আর বলে এতো কিছু কেন আনলেন বাবা। রবি বলল কালকে ঈদের দিন আর তাছারা আমি কিছু দিন পর আবার শহরে চলে জাবো যেই কদিন আছি আমার মা ভালো মন্দই খাবে। অপর দিকে শান্তি চেচিয়ে বলে উঠলো ঐশ্বর্য তোর বাবাকে বলে দে তুমি না থাকলেও মা আমাকে ভালো মন্দই খাউয়াই। রবি শুনে দুষ্টির হাসি দেয় ঐশ্বর্য বলল বাবা তুমি কিছু খায়েছো? রবি বলল আরে এভাবে তো আমার মা বলতো আমাকে। সাথে সাথে সবাই হেসে উঠে। শান্তি বলল সবাই খেতে আই রাতের খাবার হয়ে গেছে। সবাই পাটি পেতে খেতে বসে পরে। ঐশ্বর্য এখনো তার বুবুর দেওয়া চিঠি গুলোর কথা ভাবছে। রবি জিজ্ঞেস করলো মা কি ভাবছিস? ঐশ্বর্য হাসি দিয়ে মাথা নারিয়ে না বলে । শান্তি খাবার এনে দেয় সবাই এক সাথে খেতে বসে শান্তি ভাত বেরে দিচ্ছে। ঐশ্বর্য অবাক হয়ে তার মায়ের দিকে তাকিয়ে ভাবছে ওইরকম একটা হিংস্র মানুষ কি করে এতো টা বদলে গেলো চোখে সেই হিংস্রতা আছে কিন্তু মোনোবল নেই পুরো ভেঙে পরা একটা মানুষ কি হয়েছিলো জানতে হলে আরো দুটি চিঠি পরে দেখতে হবে। খাবার শেষ হবার পর শান্তি আবার ঐশ্বর্য কে তার ঘরে দিয়ে আসে। ঐশ্বর্যকে বলল কালকে ঈদের দিন মনে আছে তো তারা তারি ঘুমিয়ে নে তোর বাবা কালকে আমাদের নিয়ে ঘুরতে বের হবে। ঐশ্বর্য এখনো তার মায়ের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। শান্তি জিজ্ঞেস করলো কি দেখছিস? ঐশ্বর্য বলল বুবু এখন কোথায় আছে তুমি কি কিছুই জানো না। শান্তি বলল জানলে এমন কোনো শক্তি ছিলো যে আমার মেয়ের কাছে যেতে আমাকে আটকাবে! বলে শান্তি চলে যায়। ঐশ্বর্য শান্তির মুখের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দেয় আর হ্যরিকেনটা জালিয়ে আবার তৃতীয় চিঠিটা বের করে। শান্তি তখনি আবার ডেকে বলে জানালাটা কিন্তু খুলিস না গ্রামে চোরের ওতপাত বেরেছে।
.
.
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ 
পর্ব ১২ জলদি আসবে পাশে থাকবেন।

Comments

    Please login to post comment. Login