Posts

গল্প

মাই অবসেসন

February 3, 2025

Mohona

Original Author মোহনা

112
View

part 7

নতুন একটি ভোরের শুরু। পাখিরা কিচিরমিচির করছে।  সকাল  হহলেও একটা ভ্যাপসা গরম পড়েছে। সূর্য যেন তার সব তেজ পৃথিবীতে ঢেলে দিচ্ছে।  আআনায়া বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে।  মাত্রই সে নামাজ শেষ করে দাড়িছে। সে ভাবছে কারানের সাথে তার পরিচয়ের কথা। তাদের দেখা হয়েছিল রাস্তায়।  আনায়া রাস্তা তাড়াহুড়োয় পাড় হচ্ছিল।  সে তাড়ায় ছিল। তার একটা জরুরি ক্লাস ছিল। রাস্তা পার হওয়ার সময়ই একটা হাত তার বাহু ধরে শক্ত করে রাস্তার সাইডে নিয়ে আসে। আনায়া অবাক হয়। তখনি তাকে পাশ কাটিয়ে একটি গাড়ি চলে যায়। আনায়া তাকিয়ে দেখে একটা ছেলে পকেটে হাত গুজে তার দিকে ভ্রুকুটি করে তাকিয়ে আছে।  আনায়া তাকাতেই ছেলেটি বলল, এইযে মিস মরার শখ হলে বাসায় গিয়ে মরুন। আর মরবেনই বা কেন? জানেন না আত্মাহত্যা মহাপাপ। আনায়া নিচু স্বরে বলে, আসলে দেখতে পাই নি। ধন্যবাদ আমাকে বাঁচানোর জন্য।  ছেলেটি এবার আনায়াকে ভালো মতো দেখে। বেবি পিংক কালার একটা লং টপস একটা জিন্স ও বেবি পিংক কালারের স্কার্ফ পড়ে আছে। গায়ের রং উজ্জ্বল শ্যামলা। কালো বা শ্যাম বলা চলে না। তাকে ফর্সাই বলা চলে। ছেলেটি বলল, এরপর থেকে দেখেশুনে চলবেন। নাহলে অঘটন ঘটতে পারে।  আনায়া মাথা নাড়ে।  অর্থাৎ সে বুঝতে পারেছে। ছেলেটি জিজ্ঞেস করলো,  নাম কি? আনায়া ইতস্তত করে জবাব দিলো, আ আনায়া। ব্যাস পড়েই সে চলে যায়। কারান দাঁড়িয়ে থাকে এইযুগে এত নরম মনের মেয়ে পাওয়া দুষ্কর।  কারান ও চলে যায়। আনায়া ভাবছিলো হঠাৎই তার ধ্যান ভাঙে তার মায়ের ডাকে। তিনি বারান্দায় এসে দাড়ালেন। আনায়া কিছু বললো না। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কি ভাবলে তুমি?  কারানের সাথে থাকবে? তুমি না চাইলে জোর করবো না। আনায়া হালকা হেসে বলে, জোর করবেন কিভাবে? একবার জোর করে তো বুঝেছেন জোর করে কিছু হয় না। আর আমি যাবো। জোর করে বিয়ে দিয়েছেন কিন্তু সম্পর্ক তো মিথ্যা না। আমি যাবো। বলে আনায়া রেডি হতে চলে যায়। সে আজ মির্জা বাড়ি যাবে। 

অপরদিকে

কোমল রাস্তায় হাঁটছে।  সকাল বেলা  ততার হাঁটতে অনেক ভালো লাগে। হঠাৎ কেউ তাকে ডেকে উঠে, এইযে কোমল। কোমল পিছনে ফিরে।  দেখে আকাশ।  নরমাল টি শার্ট আর ট্রাউজার পড়ে আছে।  আকাশ এগিয়ে গিয়ে , কি খবর তোমার? দেখাই পাওয়া যায় না। কোমল বলে, একটু ব্যস্ত ছিলান। আকাশ বলে, পিচ্চি মানুষের ব্যস্ততা থাকে নাকি? কোমল নাকমুখ কুচকে বলে আমি আর বাচ্চা নেই। কলেজে পড়ি। আকাশ হাসে। মেয়েটা অনেক মায়াবি। অন্যের কাছে না হলেও তার কাছে মায়াবি। কোমলকে দেখেছিল যখন সে ক্লাস ১০ এ পড়ে।  তখন থেকেই দেখে সে কারানের খেয়াল রাখে। কারান বেখেয়ালি  স্বভাবের। কোমল তার সবকিছুই করে দিতো। কাপড় ধোয়া থেকে খাইয়ে দেওয়া অব্দি।  কোমল  আকাশকে দেখলেই কেমন জানি করতো। মনে হতো সে অস্বস্তি ফিল করছে। আকাশ বেশ মজা নিতো ব্যাপারটার। সে কোমলকে বলে, তা তুমি তো বড় হয়েছ বর সামলাতে পারবে? কোমল অবাক হয়ে আকাশের দিকে তাকায়। কোমল বলে,  নাহ। বিয়ে করবো না। আকাশ বলে, কেন? কোমল বলে ভাইকে কে দেখবে?  আকাশ  চুপ থাকে। কোমল কারানকে অনেক ভালোবাসে। যতদিন না কারানের জন্য কেউ আসবে সে কারানের সাথেই থাকবে।  হঠাৎি আকাশ বলল…..

চলবে…..

Comments

    Please login to post comment. Login