একটা ছোট্ট গ্রাম ছিল, নাম "নন্দনপুর"। সেখানে এক রহস্যময় পাতা গাছ ছিল, যেটি গ্রামের কেন্দ্রবিন্দুতে একটি বড় পাহাড়ের শীর্ষে দাঁড়িয়ে ছিল। গাছটির সাথে একটি অদ্ভুত কাহিনী জড়িয়ে ছিল— কেউ জানত না, তবে গাছটি প্রতি ৫ বছর পরেই একটি বিশেষ ফুল ফুটাত। এই ফুলের নাম ছিল "দূরফুল", যা দেখলে মানুষের সমস্ত কষ্ট, দুঃখ, এবং যন্ত্রণা এক লহমায় উবে যেতে পারত।
গ্রামের এক ছেলে, রোহিত, যে খুবই সাহসী ও রহস্যপ্রিয় ছিল, গাছটির রহস্য সমাধান করতে চেয়েছিল। শুনেছিল, যদি কেউ ফুলটি ধরতে পারে, তবে তার জীবনের সমস্ত সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু ফুলটি ধরতে গেলে, গাছটি একে একে নিজের শিকড় খোলস করে বের করে দিত, আর সেই শিকড়গুলো মানুষের ভয়ের কারণ হয়ে উঠত।
রোহিত একদিন গাছটির কাছাকাছি পৌঁছালো। সে দেখল, গাছের চারপাশে এক অদ্ভুত আলোর জ্যোতি ছড়িয়ে পড়ছে। ফুলটি আস্তে আস্তে ফুটতে শুরু করছিল, কিন্তু তার আগে, শিকড়গুলো যেন সজাগ হয়ে উঠেছিল। রোহিত জানত যে, ফুলটি ধরতে গেলেই শিকড়গুলো তাকে আক্রমণ করবে, তবে সে ভয় পায়নি। তার মনে ছিল শুধু একটাই চাওয়া—ফুলটি ছিঁড়ে তার জীবনটাকে পাল্টে ফেলতে চায়।