হটাৎ করে এলার্ম বেজে উঠলো বুঝলাম সকাল হয়ে গেছে বিছানায় কিছুক্ষণ শুয়ে থেকে আমি উঠে গেলাম ফ্রেশ হলাম ব্রাশ করলাম তারপর গোসল করলাম গোসল করে এসে নাস্তা বানাতে বানাতে আমার ফোনটা হঠাৎ বেজে উঠল ফোনটা হাতে নিয়ে দেখলাম মায়ের ফোন। ফোনটা রিসিভ করে মায়ের সাথে কথা বলতে লাগলাম মা বলল বাবা খুব অসুস্থ আজ কালকের মধ্যে গেলে ভালো হয় আমি মাকে বললাম আজকে তো পারবো না কালকে যদি ছুটি নিয়ে যেতে পারি তাহলে যাব এখন রাখি এই বলে ফোনটা কেটে দিলাম তারপর নাস্তা খেয়ে আমি অফিসে যাচ্ছিলাম তখন কে যেন আমাকে বলল ফোনের চার্জার টা নিয়ে যাবি না আমি অবাক হয়ে গেলাম। ব্যাগে হাত দিতেই দেখলাম মায়ের সাথে কথা বলার পর রেডি হতে হতে সত্যিই আমি চার্জারটা নিতে ভুলে গেছি কিন্তু কে বলল অফিসে দেরি হয়ে যাচ্ছিল তাই তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে গেলাম।
বাড়ির নিচে যেতেই দেখি রাস্তা পুরো ফাঁকা একটাও গাড়ি নেই স্বাভাবিক শীতের সকাল কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম গাড়ির জন্য, তারপর দেখি দেরি হয়ে যাচ্ছে তাই হাঁটতে শুরু করলাম দেখা যাক সামনে থেকে কোন গাড়ি পাই কিনা তাই হাঁটতে হাঁটতে প্রায় অর্ধেক রাস্তা পার হয়ে গেলাম কিন্তু গাড়ি দেখা মিলল না রাস্তা এত ফাঁকা থাকার কথা না এই ভাবতে ভাবতে হঠাৎ দুচোখের সামনে একটা রিক্সা এসে যায় বলে রাখা ভালো আমি মিরপুরে থাকি এখান থেকে ৪০ মিনিটের রাস্তা আমার অফিস, আমার অফিসের নাম ফ্যাশন ফ্যাক্টরি রিক্সাওয়ালা মামা বলল: ফ্যাশন ফ্যাক্টরিতে যাবেন আমি অবাক হয়ে গেলাম সে কিভাবে জানল আমি কোথায় যাব তারপর চিন্তা করলাম এখানে আশেপাশে আর কোন অফিস নেই তাই হয়তো ওর ধারণা করেছে আমিও রিক্সায় উঠে পড়লাম।
চারিদিকে কুয়াশা রিক্সাওয়ালার চেহারা দেখা যাচ্ছে না আমিও সেদিকে খুব একটা পাত্তা দিলাম না মনে মনে ভাবছিলাম দেরি যেন না হয়ে যায় তাহলে তো আর বসের কাছে বকুনি খেতে হবে এই ভাবতে ভাবতে দেখলাম চলে এসেছি এত তাড়াতাড়ি যদিও আশার কথা না হয় তো অটোরিকশা তাই আমি যখনই ভাড়া দিতে গেলাম উনি বললেন নিবেন না লাগবেনা আমি জিজ্ঞেস করলাম আপনি তো আমাকে এখানে নিয়ে এসেছেন তাহলে কেন নিবেন না উনি বললেন উনি নাকি রিকশা প্রথম প্যাসেঞ্জারের ভাড়া নেন না আমারও দেরি হয়ে গিয়েছিল তাই আর বেশী জোড়াজুড়ি করলাম না ধন্যবাদ দিয়ে অফিসে চলে গেলাম