অনেকদিন আগের কথা । একটি গ্রামের পুরনো একটি জমিদার বাড়ি ছিল। সে গ্রামের জমিদার ছিল খুব অত্যাচারী। সে বাড়ির কাজের ছেলের উপর খুব অত্যাচার করত। হঠাৎ একদিন সেই কাজের ছেলে মারা গেল। কিন্তু কেউ জানতো না সে কিভাবে মারা গেল।
এরপরে কেটে গেল পাঁচ বছর। বর্তমানে এখানে কেউ থাকেন না। জমিদার একটি ছেলে ছিল তার নাম রফিক। রফিক খুব সৎও ভালো মানুষ ছিল। একদিন তার বন্ধুর সাথে কথা বলছিল। হঠাৎ তাদের পুরনো বাড়ির কথা মনে পড়ল।
সে ঠিক করলো বাবাকে না জানিয়ে তাদের পুরনো বাড়িতে যাবে। যেই ভাবা সেই কাজ। কিছুদিন পর সে ও তার বন্ধু মিলে তাদের পুরনো বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হল।
তারা সেই পুরনো বাড়িতে থেকে পৌঁছালো। তারা দুজন মিলে একটি ঘরে ঘুমানোর সিদ্ধান্ত নিল। গভীর রাতের রফিক ঘুমাচ্ছিল। তার বন্ধুর ঘুম ভেঙ্গে গেল।
সে জানালা দিয়ে দেখতে পেল বাড়ির পিছনের কদম গাছের নিচে একটি ছায়া বসে আছে। হঠাৎ করে সেই ছায়াটি বিকট আওয়াজ করতে করতে তার দিকে এগিয়ে আসলো। তাকে ধরে গলায় ধরে চাপা দিল। সেই চিৎকার করতে শুরু করল। ঠিক সেই সময় এসে একটি বৃদ্ধ লোক। সেই ছায়াটির উপর কিছু ছাই ছোড়ে মারলো।তখন সাথে তাকে ছেড়ে দিল। সারাটি বলতে শুরু করল আজ থেকে পাঁচ বছর আগের জমিদার আমাকে কদম গাছে ফাঁসি দিয়ে মেরেছিল। আমার কঙ্কাল এখনো এই কদম গাছে ঝুলে আছে।আমাকে কবর না দিলে আমি অতৃপ্তি রয়ে যাব।
৷ সমাপ্ত৷