‘সাক্ষী কেবল চৈত্রমাসের দিন’ এক চিরায়ত প্রেমের গল্প। নিখাদ প্রেম। এখানে স্বার্থ রয়েছে; সে স্বার্থ প্রেমঘটিত। প্রেম–বিরহ, মিলনের আকাঙ্ক্ষা এবং দুর্যোগ–দুর্ঘটনা পাঠককে আকৃষ্ট করবে, আন্দোলিত করবে। হৃদয়ে নতুন করে প্রেমাবেগ তৈরি করবে। বর্তমান থেকে অতীতের দিকে ফিরে তাকানোর যে সৌন্দর্যবোধ তা এরকম একটি উপন্যাস পড়লেই বোঝা যায়। যদিও লেখক এই উপন্যাসটিকে প্রেমাখ্যানের প্রথম ভাগ বলেছেন; ‘আদি পর্ব’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
দেওভোগ গ্রাম। নিরিবিলি। নিরাছাড়া গ্রাম। শত বছর আগের কথা। নায়ক ইউসুফ। নায়িকা জুলেখা। তীব্র আবেগ। শব্দের পরতে পরতে প্রেম। লেখক উপন্যাসের শুরুটা করেছেন শত বছর আগে থেকে। এটি চাট্টিখানি কথা নয়। এখন, এসময়ে বসে শত বছর পূর্বের ঘটনা বর্ণনা করা, তা আবার পাঠকমহলে রীতিমতো সাড়া ফেলা– সত্যিই বিস্ময়কর ঘটনা।
চৈত্র মাস। ভর দুপুর। তীব্র দাবদাহ। গ্রামের আদি পিতারা চৈত্রমাসের ভর দুপুর থেকে তাদের বংশধরদের সাবধান করে গিয়েছিলেন– ‘চৈত্রমাসের দুপুরের কালরে কোনো অবস্থাতেই হালকাভাবে নিবা না।’ এই কথা বলে। কারণ এই সময়ে ‘আসমানে–জমিনে কী সব জানি বান–বাতাসের আনাগোনা চলে।’